ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ে (দক্ষিণ ভবন) সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শয়নের অনুসারীদের সম্মিলিত গ্রুপ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে মূল ভবনে হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমের কক্ষে (২০১) ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত হিসেবে প্রাথমিকভাবে হল ছাত্রলীগ নেতা ইমামুল হাসান, মাহমুদুল হাসান, পারভেজ রেদোয়ানুর, শাহরিয়ার হাসান কল্লোল, সাদমান রিসান এবং হাসিবুল হাসান শাহেদের নাম পাওয়া গেছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হলের একাধিক শিক্ষার্থী।
আবাসিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি আবাসিক হলে সিট বরাদ্দে প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একাধিপত্যের ভিত্তিতে সিট ভাগ–বাঁটোয়ারা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর চারজন নেতাকে কেন্দ্র করে হলগুলোতেও নতুন নতুন পক্ষ তৈরি হয়েছে। আসন বাঁটোয়ারা নিয়ে নিয়মিতই দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে গ্রুপগুলো।
ঘটনার বিষয়ে জানতে সরেজমিনে হলের ডজনের বেশি শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদকের।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারীদের অবস্থান শক্ত। এতে বাকি গ্রুপগুলো এককভাবে সৈকতের গ্রুপের সঙ্গে পেরে উঠছে না। বিভিন্ন সময় সৈকত গ্রুপের কর্তৃত্বের কাছে নতি স্বীকার করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি এক জোট হয় তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে সম্মিলিত গ্রুপের নেতা-কর্মীরা দক্ষিণ ভবনের ৫০০৬ নং কক্ষে থাকা সৈকতের অনুসারী সাব্বির অনিককে সিট থেকে নামিয়ে দেন। এর থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরে হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু নাঈমের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তাঁরই কক্ষে হামলা চালান সৈকতের অনুসারীরা।
হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংঘর্ষের একপর্যায়ে দুই পক্ষই কর্মী ও অনুসারীদের ভবনের সামনে খোলা স্থানে জড়ো করে। এ সময় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল থেকে সৈকত গ্রুপের মাজহারুল ইসলাম আকাশের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা এসে হলের বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর করেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আকাশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাঈমের কক্ষের দরজার কাচ ভেঙে পড়ে আছে, কক্ষের ভেতরে তছনছ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন নাঈম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আমি একটি “হাঁস পার্টির” আয়োজন করেছিলাম। রাত দেড়টার দিকে আমার রুমে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক শীর্ষস্থানীয় চার নেতাকে (সাদ্দাম, ইনান, শয়ন ও সৈকত) এবং হল প্রশাসনকে জানাই। যাঁরা আমার রুমে হামলা করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করেছি।’ হত্যাচেষ্টার মামলা করবেন বলেও জানান নাঈম।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। হল প্রশাসন বিষয়টি দেখবে, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।’
হল ছাত্রলীগের নেতা শাওন চৌধুরী, জিহাদুল ইসলাম, আসাদুল্লাহ আসাদ, আল-কাওসার, মাহিদুর রহমান বাঁধন ও সানজিদ হোসেন হলে সৈকতের গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। ঘটনার বিষয়ে সানজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাঈম ভাই আমাদের সভাপতি, শ্রদ্ধার মানুষ। তাঁর কক্ষে হামলা করার প্রশ্নই ওঠে না। হলের বাকি গ্রুপগুলো এক হয়ে আমাদের গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে, আমাদের এক কর্মীকে রুম থেকে বের করে দিয়েছে।’
ফিরোজ কবির, মাসুদ রানা, শাফিনুর রহমান, ফয়সাল হক জামি ও জাহিদ হাসান রুবেল হলে শেখ ইনানের গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন। জাহিদ হাসান রুবেল বলেন, ‘সৈকত ভাইয়ের গ্রুপের নেতা-কর্মীরা হলে বিভিন্ন সময় ঝামেলা করেন, মারধর করেন, সিট থেকে নামিয়ে দেন। তাই আমরা বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করলে তাঁরা আমাদের কক্ষ ভাঙচুর ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন।’
অপর দিকে রবিউল ইসলাম রবি, হুমায়ুন কবির সবুজ এবং মাকফুর রহমান সাদ্দাম হোসেনের গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘৩০১০ নম্বর পলিটিক্যাল রুমে তারা তাদের অনুসারীকে তোলে। আমরা ঝামেলায় জড়াইনি, ম্যান পাওয়ার কম। ৪০০১ রুমে এক বড় ভাইকে নামিয়ে দিতে চায়। ১০১৫ রুমে আমাদের ছেলেকে বের করে দেয়। বেড বাইরে ফেলে দেয়। ৫০০৬ নম্বর রুমে যেকোনো সময়ে ছোট ভাইদের নামিয়ে দিচ্ছে, রুম থেকে বের করে দেয়। সব সময় আমরা হুমকির মুখে থাকি।’
হলে শয়নের অনুসারী মাইনুদ্দিন চৌধুরী বাপ্পী বলেন, ‘সৈকত ভাইয়ের গ্রুপের লোকজন দক্ষিণ ভবন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। নিয়ন্ত্রণের জের ধরে এককভাবে বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে ঝামেলা করেন, তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগে অপরাধীর কোনো স্থান নেই। ফজলুল হক মুসলিম হলে যে বা যারা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যেন বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয় তার অনুরোধ থাকবে। পাশাপাশি ছাত্রলীগও তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ছাত্রলীগে গ্রুপভিত্তিক রাজনীতি কখনো কাম্য নয়, সকলেই ছাত্রলীগের কর্মী। গতরাতে যে ঘটনা ঘটেছে তার কোনো পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে চাই না। তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনা সম্পর্কে জেনেছেন এবং হল প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মাসুম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ে (দক্ষিণ ভবন) সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শয়নের অনুসারীদের সম্মিলিত গ্রুপ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে মূল ভবনে হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমের কক্ষে (২০১) ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত হিসেবে প্রাথমিকভাবে হল ছাত্রলীগ নেতা ইমামুল হাসান, মাহমুদুল হাসান, পারভেজ রেদোয়ানুর, শাহরিয়ার হাসান কল্লোল, সাদমান রিসান এবং হাসিবুল হাসান শাহেদের নাম পাওয়া গেছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হলের একাধিক শিক্ষার্থী।
আবাসিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি আবাসিক হলে সিট বরাদ্দে প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একাধিপত্যের ভিত্তিতে সিট ভাগ–বাঁটোয়ারা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর চারজন নেতাকে কেন্দ্র করে হলগুলোতেও নতুন নতুন পক্ষ তৈরি হয়েছে। আসন বাঁটোয়ারা নিয়ে নিয়মিতই দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে গ্রুপগুলো।
ঘটনার বিষয়ে জানতে সরেজমিনে হলের ডজনের বেশি শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদকের।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারীদের অবস্থান শক্ত। এতে বাকি গ্রুপগুলো এককভাবে সৈকতের গ্রুপের সঙ্গে পেরে উঠছে না। বিভিন্ন সময় সৈকত গ্রুপের কর্তৃত্বের কাছে নতি স্বীকার করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি এক জোট হয় তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে সম্মিলিত গ্রুপের নেতা-কর্মীরা দক্ষিণ ভবনের ৫০০৬ নং কক্ষে থাকা সৈকতের অনুসারী সাব্বির অনিককে সিট থেকে নামিয়ে দেন। এর থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরে হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু নাঈমের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তাঁরই কক্ষে হামলা চালান সৈকতের অনুসারীরা।
হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংঘর্ষের একপর্যায়ে দুই পক্ষই কর্মী ও অনুসারীদের ভবনের সামনে খোলা স্থানে জড়ো করে। এ সময় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল থেকে সৈকত গ্রুপের মাজহারুল ইসলাম আকাশের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা এসে হলের বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর করেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আকাশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাঈমের কক্ষের দরজার কাচ ভেঙে পড়ে আছে, কক্ষের ভেতরে তছনছ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন নাঈম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আমি একটি “হাঁস পার্টির” আয়োজন করেছিলাম। রাত দেড়টার দিকে আমার রুমে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক শীর্ষস্থানীয় চার নেতাকে (সাদ্দাম, ইনান, শয়ন ও সৈকত) এবং হল প্রশাসনকে জানাই। যাঁরা আমার রুমে হামলা করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করেছি।’ হত্যাচেষ্টার মামলা করবেন বলেও জানান নাঈম।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। হল প্রশাসন বিষয়টি দেখবে, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।’
হল ছাত্রলীগের নেতা শাওন চৌধুরী, জিহাদুল ইসলাম, আসাদুল্লাহ আসাদ, আল-কাওসার, মাহিদুর রহমান বাঁধন ও সানজিদ হোসেন হলে সৈকতের গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। ঘটনার বিষয়ে সানজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাঈম ভাই আমাদের সভাপতি, শ্রদ্ধার মানুষ। তাঁর কক্ষে হামলা করার প্রশ্নই ওঠে না। হলের বাকি গ্রুপগুলো এক হয়ে আমাদের গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে, আমাদের এক কর্মীকে রুম থেকে বের করে দিয়েছে।’
ফিরোজ কবির, মাসুদ রানা, শাফিনুর রহমান, ফয়সাল হক জামি ও জাহিদ হাসান রুবেল হলে শেখ ইনানের গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন। জাহিদ হাসান রুবেল বলেন, ‘সৈকত ভাইয়ের গ্রুপের নেতা-কর্মীরা হলে বিভিন্ন সময় ঝামেলা করেন, মারধর করেন, সিট থেকে নামিয়ে দেন। তাই আমরা বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করলে তাঁরা আমাদের কক্ষ ভাঙচুর ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন।’
অপর দিকে রবিউল ইসলাম রবি, হুমায়ুন কবির সবুজ এবং মাকফুর রহমান সাদ্দাম হোসেনের গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘৩০১০ নম্বর পলিটিক্যাল রুমে তারা তাদের অনুসারীকে তোলে। আমরা ঝামেলায় জড়াইনি, ম্যান পাওয়ার কম। ৪০০১ রুমে এক বড় ভাইকে নামিয়ে দিতে চায়। ১০১৫ রুমে আমাদের ছেলেকে বের করে দেয়। বেড বাইরে ফেলে দেয়। ৫০০৬ নম্বর রুমে যেকোনো সময়ে ছোট ভাইদের নামিয়ে দিচ্ছে, রুম থেকে বের করে দেয়। সব সময় আমরা হুমকির মুখে থাকি।’
হলে শয়নের অনুসারী মাইনুদ্দিন চৌধুরী বাপ্পী বলেন, ‘সৈকত ভাইয়ের গ্রুপের লোকজন দক্ষিণ ভবন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। নিয়ন্ত্রণের জের ধরে এককভাবে বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে ঝামেলা করেন, তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগে অপরাধীর কোনো স্থান নেই। ফজলুল হক মুসলিম হলে যে বা যারা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যেন বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয় তার অনুরোধ থাকবে। পাশাপাশি ছাত্রলীগও তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ছাত্রলীগে গ্রুপভিত্তিক রাজনীতি কখনো কাম্য নয়, সকলেই ছাত্রলীগের কর্মী। গতরাতে যে ঘটনা ঘটেছে তার কোনো পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে চাই না। তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনা সম্পর্কে জেনেছেন এবং হল প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মাসুম।
নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের অ্যারোসল কারখানায় বিস্ফোরণে ১০ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় একটি সোয়েটার কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। আজ রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফের সড়ক অবরোধ করেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকেরা। এতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধসহ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববার সকালে রাজধানী প্রেসক্লাবের সামনে তোপখানা ও পল্টন সড়ক, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, খিলগাঁও এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরে একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে...
২ ঘণ্টা আগে