Ajker Patrika

উপসচিব পদোন্নতিতে কোটা বাতিল চায় আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ২০: ০৪
Thumbnail image

প্রশাসনে উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে থাকা ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বিসিএস ক্যাডারের আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’। তারা পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারের মতো সব ক্যাডারেই সুপারনিউমারারি পদোন্নতির দাবি জানায়। 

বিসিএসের ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিসিএস ক্যাডারের আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ যাত্রা শুরু করেছে। আজ শনিবার এই উপলক্ষে রাজধানীর ডিআরইউ অডিটরিয়ামে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। 

তাদের আরও দাবির মধ্যে রয়েছে—‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’ পদ্ধতি চালু করতে হবে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য ক্যাডার থেকে স্বাস্থ্যসচিব ও শিক্ষাসচিব হবেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা। পাশাপাশি সরকারি সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে সব ক্যাডারের একই ধরনের হতে হবে। সরকারের কোথাও আন্তক্যাডার বৈষম্য থাকবে না। 

সেখানে উল্লেখিত দাবিসহ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষা ক্যাডারের ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য-বেতার ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের এ এইচ এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন কৃষি ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচের মো. আরিফ হোসেন, পশুসম্পদ ক্যাডারের ২১ ব্যাচের আহসান হাবিব, গণপূর্ত ক্যাডারের ১৮ ব্যাচের জামিলুর রহমান, শিক্ষা ক্যাডারের ২৪ ব্যাচের ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রমুখ। সভায় শিক্ষা ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের মো. মফিজুর রহমান আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিধিমালা লঙ্ঘন করে একটা ক্যাডার উপসচিব পদে ৭৫ শতাংশ পদোন্নতি পাচ্ছে আর ২৫টি ক্যাডার পাচ্ছে ২৫ শতাংশের কম। এটা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এ ধারা উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পর্যায়েও বিরাজমান রয়েছে। উপসচিব কোনো ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত পদ নয়। সুতরাং, পরিপত্র জারি করে এ ধরনের সুবিধা গ্রহণ আইনসম্মত হতে পারে না। মেধাবী জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ক্যাডারের উচ্চপদগুলোতে পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সব ক্যাডারে প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারের মতো প্রয়োজনীয় সুপারনিউমারারি পদ তৈরি করে পদোন্নতির দাবি করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, জনপ্রশাসনের উচ্চস্তরে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা থাকেন বিধায় বিভিন্ন সময়ে জনকল্যাণমুখী বিধির পরিবর্তে নিজেদের ইচ্ছে মতো বিভিন্ন সময়ে চাকরি বিধিমালা তৈরি করে নিচ্ছে। সরকারের স্পর্শকাতর সময়ে তাঁরা একেকটা সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন। কিন্তু অন্যান্য ক্যাডারের পদোন্নতি, পদায়ন, সুযোগ-সুবিধা রুদ্ধ করে দিচ্ছে। এর ফলে অন্যান্য ক্যাডারে অসন্তোষ বিরাজ করছে। চাকরি ক্ষেত্রে কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে সব ক্যাডারে সমতা এবং ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতির দাবি করেন অনেকে। তাঁরা বলেন, প্রফেশনাল মন্ত্রণালয়ে আনপ্রফেশনাল কর্মকর্তারা চাকরি করায় টেকনিক্যাল কাজে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপক্বতা এবং কিছু কিছু সময় বিপরীত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই তাঁরা ক্যাডারভিত্তিক মন্ত্রণালয় দাবি করেন, যেখানে সব কর্মকর্তা ওই ক্যাডারের হবেন। 

বক্তারা আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীরা চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করেছে। কিন্তু চাকরিতে পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বৈষম্যের বিষয়ে হয়তো তারা অবগত নয়। চাকরিজীবীদের দায়িত্ব চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করা, যাতে নতুন প্রজন্ম চাকরিতে যোগদান করে একটা বৈষম্যহীন সাম্যাবস্থা পেতে পারে। ছাত্রছাত্রীরা হয়তো চাকরি ক্ষেত্রের এ বৈষম্য সম্পর্কে অবগত নয়। তাই তাদের এ বিষয়টি জানানো নৈতিক দায়িত্ব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী সহকর্মীর সঙ্গে রাতযাপন: হাইটেক পার্কের ডিডি আতিক বরখাস্ত

বাংলাদেশসহ ৩ দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের

পদ্মা সেতু ও ড. ইউনূসকে নিয়ে ভারত থেকে শেখ হাসিনার ভাষণ! ভাইরাল ভিডিওর পেছনের ঘটনা জানুন

২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু

আমরা বাংলাদেশকে আবার মহান করে তুলব: ট্রাম্পের বন্ধু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত