পুলিশি হয়রানির কারণে ঢাবি সিনেট নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা স্বতন্ত্র প্যানেলের 

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ২১: ১৩

পুলিশি হয়রানি, মামলা ও প্যানেল সদস্য আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তারের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন-২০২৩ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্যানেল লিডার অধ্যাপক ড. আব্দুর রব। 

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে ড. আব্দুর রব বলেন, ‘আমাদের প্যানেল সদস্য আব্দুল মান্নানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রার্থী ও ভোটারদের হয়রানি শুরু করে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছে। নির্বাচনের পূর্বেই যদি এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে আমরা কী ভাবতে পারি যে, প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে নির্বাচনী প্রচার কাজ পরিচালনা করতে পারবে? আমরা কী করে নিশ্চিত হতে পারি যে, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারবে বলে কোনোমতেই বিশ্বাস করতে পারছি না। এহেন নাজুক ও অনিরাপদ পরিস্থিতিতে কোনো শিক্ষিত, বিবেকবান ও সমাজ সচেতন ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন সিনেট নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। বিদ্যমান এ পরিস্থিতিতে আমরা (২৫ জন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচন ২০২৩ বর্জন করছি।’ 

নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন-মোহাম্মদ আব্দুর রব, উম্মে কুলসুম রওজাতুর রোম্মান, মুহাম্মদ মুয়াযযম হোসাইন, এ. বি. এম. ফজলুর করীম, মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, মো. আতিয়ার রহমান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান, মো. নূর নবী, মো. ইউসুফ আলী, হাবিবা আখতার চৌধুরী, সাবিকুন্নাহার, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. নূরুল হুদা, এ. কে. এম. রফিকুন্নবী, মো. আব্দুল মতিন খান, মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, কাজী মো. বরকত আলী, মো. আব্দুল বাসেত খান, মো. শফিকুল আলম হেলাল, মো. আব্দুল হান্নান, মো. আহসান হাবীব এবং মো. আমজাদ হোসেন খান। 

সংবাদ সম্মেলনে ড. রব আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে সেহেতু ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের লক্ষ্যে আয়োজিত ঢাবি সিনেট নির্বাচন ২০২৩ অনেক গুরুত্বের দাবিদার। সেই বিষয় সামনে রেখেই আমরা আসন্ন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন ২০২৩-এ অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। কিন্তু সারা দেশের অন্যান্য নির্বাচনের মতো এখানেও স্বাভাবিক ও স্বস্তিদায়ক পরিবেশে নির্বাচনের কাজ করার কোনো সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।’ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হওয়া গ্র্যাজুয়েটরা দেশের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দেশ পরিচালনায় বরাবরই নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখে থাকেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের বিশাল অবদান রয়েছে। দুঃশাসন বিরোধী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাবির ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু বর্তমানে সারা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার মতো এখানেও ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ড. আব্দুর রব। 

 

 

 

 

 

 

 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত