Ajker Patrika

সম্পত্তির দ্বন্দ্বে ছোট ভাইকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখেন বড় ভাই: পিবিআই

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১: ২৬
সম্পত্তির দ্বন্দ্বে ছোট ভাইকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখেন বড় ভাই: পিবিআই

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সম্পত্তির দ্বন্দ্বে ছোট ভাই মুকুল হোসেনকে হত্যা করে পুঁতে রেখেছিলেন সহোদর বড় ভাই সোহেল রানা। চাঞ্চল্যকর এই হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পিবিআই। এ ঘটনায় জড়িত সোহেল রানা ও তাঁর এক সহযোগী নাজমুল হোসেন ওরফে পরেশ চন্দ্র শীলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

আজ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজের ১৩ দিন পর ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পারখী ইউনিয়নের একটি বিলে মাটির নিচ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মুকুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে কালিহাতী থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় মুকুল হোসেনের স্ত্রী লিমা আক্তার বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় মামলা করেন। 

ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনের দায়িত্ব নেয় পিবিআই। মরদেহ উদ্ধারের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন টাঙ্গাইল জেলা পিবিআইয়ের সদস্যরা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল ও অন্য আলামত উদ্ধার করেন তাঁরা।

টাঙ্গাইল জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি সোহেল ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর বাজার থেকে একটি কোদাল ও কোদালের আছারি ক্রয় করেন। এরপর সোহেল তাঁর ভাই মুকুলকে মোবাইল পোনে জরুরি প্রয়োজনের কথা বলে ডেকে আনেন পারখীতে। পরে মুকুলকে কৌশলে বিলে নিয়ে গিয়ে সোহেলের গলায় থাকা মাফলার দিয়ে মুকুলকে হত্যা নিশ্চিত করেন। এরপর বিলের ধারে কোদাল দিয়ে গর্ত করে সেখানে মুকুলকে পুঁতে রাখেন। এ ঘটনার পর থেকেই সোহেল মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দেন। টাঙ্গাইল পিবিআই পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে গাজীপুর ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার মুকুলের বড় ভাই সোহেল ও তাঁর সহযোগী দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার দগরবাড়ি গ্রামের নাজমুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। নাজমুলের আগের নাম ছিল পরেশ চন্দ্র শীল। সে ওই গ্রামের রমনী কান্ত শীলের ছেলে।  

কালিহাতীর পারখী ইউনিয়নের সদস্য আব্দুস সাত্তার বলেন, কালিহাতী উপজেলার মৃত আবু হানিফের ছেলে সোহেল রানা ও মুকুল হোসেন তাঁরা সহোদর দুই ভাই। হত্যাকাণ্ডের শিকার মুকুল হোসেন সম্প্রতি বিদেশ গিয়েছিলেন। এ সময় বড় ভাই সোহেল রানার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন মুকুল। বিদেশ যাওয়ার পর মুকুল সুবিধাজনক কাজ না পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরে আসেন। এর পর থেকে তাঁদের সম্পত্তি ও টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। দ্বন্দ্বের কারণেই মুকুল শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। ১২ ফেব্রুয়ারি পারখী এলাকার বিলে মাটির নিচ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার হয়। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত