টোল আদায়ের নামে লুটপাট হচ্ছে: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৫৭
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ১৪

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সদরঘাট নদীবন্দরসহ দেশের সব নৌবন্দর ও লঞ্চঘাট এবং খেয়া পারাপারের চার শতাধিক ঘাট পয়েন্টে বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা পরিষদের ইজারাদারেরা অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। এতে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। 

আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। 

বিবৃতিতে মোজাম্মেল বলেন, সদরঘাটে নদীতে নামতে-উঠতে যাত্রীপ্রতি টোল নেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী খেয়া পারাপারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের কথা বলা আছে। এখানে কেউ পরিবারের জন্য বাজার সদাই নিয়ে পারাপার হলে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ২০-১০০ টাকা হারে অবৈধভাবে চাঁদা নিচ্ছে ইজারাদার। 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, দেশের নৌপথের যাত্রী পারাপারে এই লুটপাট বাণিজ্য শুধু সদরঘাট নয়, বিআইডব্লিউটিএর ইজারা দেওয়া সারা দেশের চার শতাধিক নদীবন্দর ও খেয়াঘাটের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ঘাট ও খেয়া পারাপার পয়েন্টে এ ধরনের হরিলুটের মহোৎসব চলছে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যাত্রীরা অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদ করলে তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে। এসব ঘাটে টোল আদায়ের জন্য ইজারাদারেরা এলাকার মাস্তান প্রকৃতির উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের দায়িত্ব দেওয়ার ফলে যাত্রীরা অনেকেই তাদের চাহিদামতো অতিরিক্ত টোল ও অবৈধ চাঁদা দিয়ে নদী ও ঘাট পারাপার হচ্ছে। অনেকের দামি, মালামাল নদীর পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এমনকি মারধরের শিকার হচ্ছে অনেকে। এতে অসহায় যাত্রীরা সরকারের ওপর নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। 

এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত