নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে গণপরিবহনের গতি বাড়াতে ও যানজট মুক্ত করতে সরকার ২০১১ সালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প হাতে নেয়। ইতিমধ্যে গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। একজন পরিকল্পনাবিদ বলছেন, র্যাম্পের কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে। একই সঙ্গে বর্তমান যে অবস্থায় এটি রয়েছে তা বাস্তবতার নিরিখে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না আবার অস্বীকার করারও উপায় নেই।
আজ বুধবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে-পরিকল্পনাগত পর্যালোচনা শীর্ষক আলোচনাতে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন। ইনস্টিটিউট ফর প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ভার্চুয়াল মাধ্যম জুমে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, বর্তমান সময়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যে বাস্তবতা সেটি অস্বীকার করার উপায় নেই আবার এতে যে অসুবিধাগুলো সৃষ্টি হয়েছে তা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
এই পরিকল্পনাবিদ বলেন, ‘এমন মেগা প্রকল্প করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়নকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এতে করে এখানে জনগণের স্বার্থ কম থাকছে।’
আকতার মাহমুদ বলেন, ‘যখন সমীক্ষা করা হয় সেটি আগে থেকেই করা হয়, পরে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে আগে আলোচনা করে পরে সমীক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন স্থানে র্যাম্পের কারণে এক্সপ্রেসওয়ের যে উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে। গণপরিবহন এখানে উঠতে পারছে না। বিমানবন্দর এলাকায় একসঙ্গে চার রুটের গাড়ি এসে চাপ সৃষ্টি করছে।’
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য প্রধানত ডিজাইন করা হয়নি; তদুপরি এই এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব রাখবে। সাম্প্রতিক সময়ে যানজট নিরসনে বিভিন্ন ধরনের ব্যয়বহুল প্রকল্প নেয়া হয়েছে যার অধিকাংশই ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। অথচ গণ পরিবহন এর উন্নয়ন, বাস-সার্ভিস ও কমিউটার ট্রেন নেটওয়ার্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কাজ করা হয়নি, ফলে নগর পরিবহন টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হচ্ছে না।
আইপিডির পরিচালক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এমন নতুন পরিকল্পনাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। তবে এই এক্সপ্রেসওয়ের কারণে গাড়ি ও মানুষ শহরের কেন্দ্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।’
আরিফুল ইসলাম বলেন, এসব পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আরও অনেক চিন্তা ভাবনার দরকার ছিল। এ ছাড়া শহরে রাস্তা ও ওয়াটারওয়েকেন্দ্রিক নতুন করে চিন্তার কোনো পরিকল্পনা নেই। সব মানুষ যেন এমন প্রকল্প ব্যবহার করতে পারে সেটির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাদের জন্য উন্নয়ন আর কতটা যুক্তিযুক্ত সেগুলো ভেবে দেখতে হবে। এমন পরিকল্পনাতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ চাইলেও আকাশ দেখতে পারছে না। একটা যান্ত্রিকতার মধ্যে থাকতে হচ্ছে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ নুরুল হাসান বলেন, তৃতীয় চোখ দিয়ে এসব মেগা প্রকল্পের দুর্বলতা দেখিয়ে দিতে হবে। যেমন চট্টগ্রামে ‘হাজার বছর ধরে’ এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। সেটি আদতে কতখানি এই শহরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তা কেউ জানে না।
নুরুল হাসান বলেন, ঢাকায় যে এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে সেখানে গণপরিবহনের জন্য সুবিধা দিতে হবে। ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচল বা এয়ারপোর্ট থেকে ইন্দিরা রোড পর্যন্ত চলাচলের সুযোগ থাকতে হবে।
পরিবহন পরিকল্পনাবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক বলেন, এমন প্রকল্পের কারণে ৯৭ দশমিক ৬ শতাংশ ট্রাফিক ওই স্থান থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে যাবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন র্যাম্পগুলো শহরের মধ্যে থাকবে তখন তা ওই স্থানে নামার ফলে যানজট বাড়বে।
রাজধানীতে গণপরিবহনের গতি বাড়াতে ও যানজট মুক্ত করতে সরকার ২০১১ সালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প হাতে নেয়। ইতিমধ্যে গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। একজন পরিকল্পনাবিদ বলছেন, র্যাম্পের কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে। একই সঙ্গে বর্তমান যে অবস্থায় এটি রয়েছে তা বাস্তবতার নিরিখে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না আবার অস্বীকার করারও উপায় নেই।
আজ বুধবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে-পরিকল্পনাগত পর্যালোচনা শীর্ষক আলোচনাতে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন। ইনস্টিটিউট ফর প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ভার্চুয়াল মাধ্যম জুমে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, বর্তমান সময়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যে বাস্তবতা সেটি অস্বীকার করার উপায় নেই আবার এতে যে অসুবিধাগুলো সৃষ্টি হয়েছে তা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
এই পরিকল্পনাবিদ বলেন, ‘এমন মেগা প্রকল্প করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়নকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এতে করে এখানে জনগণের স্বার্থ কম থাকছে।’
আকতার মাহমুদ বলেন, ‘যখন সমীক্ষা করা হয় সেটি আগে থেকেই করা হয়, পরে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে আগে আলোচনা করে পরে সমীক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন স্থানে র্যাম্পের কারণে এক্সপ্রেসওয়ের যে উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে। গণপরিবহন এখানে উঠতে পারছে না। বিমানবন্দর এলাকায় একসঙ্গে চার রুটের গাড়ি এসে চাপ সৃষ্টি করছে।’
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য প্রধানত ডিজাইন করা হয়নি; তদুপরি এই এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব রাখবে। সাম্প্রতিক সময়ে যানজট নিরসনে বিভিন্ন ধরনের ব্যয়বহুল প্রকল্প নেয়া হয়েছে যার অধিকাংশই ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। অথচ গণ পরিবহন এর উন্নয়ন, বাস-সার্ভিস ও কমিউটার ট্রেন নেটওয়ার্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কাজ করা হয়নি, ফলে নগর পরিবহন টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হচ্ছে না।
আইপিডির পরিচালক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এমন নতুন পরিকল্পনাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। তবে এই এক্সপ্রেসওয়ের কারণে গাড়ি ও মানুষ শহরের কেন্দ্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।’
আরিফুল ইসলাম বলেন, এসব পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আরও অনেক চিন্তা ভাবনার দরকার ছিল। এ ছাড়া শহরে রাস্তা ও ওয়াটারওয়েকেন্দ্রিক নতুন করে চিন্তার কোনো পরিকল্পনা নেই। সব মানুষ যেন এমন প্রকল্প ব্যবহার করতে পারে সেটির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাদের জন্য উন্নয়ন আর কতটা যুক্তিযুক্ত সেগুলো ভেবে দেখতে হবে। এমন পরিকল্পনাতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ চাইলেও আকাশ দেখতে পারছে না। একটা যান্ত্রিকতার মধ্যে থাকতে হচ্ছে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ নুরুল হাসান বলেন, তৃতীয় চোখ দিয়ে এসব মেগা প্রকল্পের দুর্বলতা দেখিয়ে দিতে হবে। যেমন চট্টগ্রামে ‘হাজার বছর ধরে’ এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। সেটি আদতে কতখানি এই শহরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তা কেউ জানে না।
নুরুল হাসান বলেন, ঢাকায় যে এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে সেখানে গণপরিবহনের জন্য সুবিধা দিতে হবে। ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচল বা এয়ারপোর্ট থেকে ইন্দিরা রোড পর্যন্ত চলাচলের সুযোগ থাকতে হবে।
পরিবহন পরিকল্পনাবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক বলেন, এমন প্রকল্পের কারণে ৯৭ দশমিক ৬ শতাংশ ট্রাফিক ওই স্থান থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে যাবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন র্যাম্পগুলো শহরের মধ্যে থাকবে তখন তা ওই স্থানে নামার ফলে যানজট বাড়বে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
৭ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৩১ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
৪১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে