জাবিতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের ৫ নেতা-কর্মী বহিষ্কার

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩, ১১: ৫০
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩, ১৫: ৩৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক সহসভাপতিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। গতকাল রাত ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে জরুরি শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বাদলের মাথায় আঘাত করেন ছাত্রলীগেরই অপর পাঁচজন নেতাকর্মী। পরে আহত ওই নেতাকে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় পরে সাইফুল ইসলাম বাদল প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগে করেন।

অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, ‘আলোচনা শেষে অডিটোরিয়াম থেকে বের হলে কতিপয় শিক্ষার্থী নামধারী সন্ত্রাসী রামদা, ছুরি ও রড দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। তৎক্ষণাৎ আমার মাথার পেছনের অংশ ফেটে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যাই।’

বাদল আরও বলেন, ‘অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে আইন ও বিচার বিভাগের ছাত্র ইমরুল হাসান অমি, বাংলা বিভাগের ছাত্র আহমেদ গালিব, দর্শন বিভাগের আরিফুল ইসলাম ও কাইয়ুম হাসান এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তানভীরুল ইসলাম। এরা সবাই ৪৭ ব্যাচের ছাত্র।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, এদের মধ্যে কাইয়ুম হাসান ও আহমেদ গালিব শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক এবং আমরুল হাসান অমি উপ আইন সম্পাদক। এ ছাড়া তানভীর ও আরিফুল ছাত্রলীগের কর্মী।

ছবি: সংগৃহীতএদিকে বাদল হামলার শিকার হলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ইউনিট ছাত্রলীগ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাত ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে জরুরি শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের ঘটনায় অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার ও আবাসিক হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি গত ১৯ ও ২২ মার্চ দুটি মারধর ও একটি সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগপত্র এবং আজকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ১৯ নম্বর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক এবং সদস্যসচিব হলেন আইন কর্মকর্তা মাহতাব উজ জাহিদ। অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক শাহেদ রানা, সহযোগী অধ্যাপক জুলকারনাইন ও মুর্শেদা বেগম।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় যারা হামলার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা ছাত্রলীগ করার অধিকার রাখে না। ছাত্রলীগের মধ্যে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করা তাদের লক্ষ্য। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত