এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ছিল উৎসবমুখর। আইনজীবীরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে নিজের এবং তাদের প্যানেলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গন। তবে কখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ব্যতিক্রম গত দুটি নির্বাচনে। বিশেষ করে গত বছর নির্বাচন ছিল নজিরবিহীন। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে এক পক্ষ অনড় থেকে ভোট গ্রহণে বাধা দেয়। এতে পুলিশি হামলার শিকার হন তাঁদের অনেকেই। এমনকি সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন গণমাধ্যমকর্মীরাও। পরে একতরফা নির্বাচনে পুরো প্যানেলে বিজয় পান সরকার সমর্থক আইনজীবীরা।
একতরফা নির্বাচনের পর উভয় দলের সমর্থক আইনজীবীদের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগান, মিছিল-সমাবেশে প্রায় সারা বছরই উত্তপ্ত ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত অঙ্গন। আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। একাধিকবার ভাঙচুর করা হয়েছে সম্পাদকের কক্ষও। মামলা হয়েছে। আর বারের কমিটির বিপরীতে সারা বছর সরব ছিল পাল্টা ঘোষণা করা অ্যাডহক কমিটি। এমনকি বারের ইফতার-ভোজের বিপরীতে পাল্টা ইফতার এবং ভোজের আয়োজনও ছিল একপক্ষের আইনজীবীদের।
আইনজীবীরা বলছেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বার। এই বারের একটি ঐতিহ্য ছিল, যা এখন নেই। তাই সমিতির পরিবেশ ঠিক রাখতে বারকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা প্রয়োজন। গত দুটি নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রয়োজনে সমিতির সিনিয়র সদস্যদের মতামত নিতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বের করতে হবে।
দুই প্যানেলের বাইরে গিয়ে এবার স্বতন্ত্রভাবে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। তিনি বলেন, গত দুটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। গতবারের নির্বাচন প্রতিনিধিত্বমূলক হয়নি। এর আগের নির্বাচনে ভোট গণনা নিয়ে সমস্যা হয়েছে, তালা ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। এর থেকে বের হতে হলে দক্ষ, নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটি গঠন করতে হবে। আর তাদের যা যা সহযোগিতা দরকার, সেটা দিতে হবে বলে জানান তিনি।
আগামী ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের জন্য গত ১১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান সম্পাদকের স্বাক্ষর করা তফসিল অনুযায়ী ১২ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিলের পর এরই মধ্যে সরকারসমর্থক আইনজীবীরা তাঁদের প্যানেল চূড়ান্ত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি পদে সিনিয়র আইনজীবী আবু সাঈদ সাগর আর সম্পাদক পদে সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সহসভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার ও ড. দেওয়ান মোহাম্মদ আবু ওবায়েদ হোসেন সেতু, ট্রেজারার পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনসারী, সহসম্পাদক পদে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও হুমায়ুন কবিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আর সদস্য পদে লড়বেন সৌমিত্র সরদার রনী, মো. খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, রাশেদুল হক খোকন, মাহমুদা আফরোজ, বেলাল হোসেন শাহীন, খালেদ মোশাররফ রিপন ও রায়হান রনী।
তফসিল ঘোষণা হলেও এখনো গঠন করা হয়নি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। ঘোষণা করা হয়নি বিএনপি–জামায়াত সমর্থক আইনজীবীদের প্যানেলও। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে গত বছরের ঘোষিত প্যানেলেই নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তারা। যদিও সভাপতি ও সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন কয়েকজন। সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ছাড়াও আলোচনায় আছে আইনজীবী মো. ফজলুর রহমান ও ব্যারিস্টার বদরদ্দোজা বাদলের নাম। আর সম্পাদক পদে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ছাড়াও আলোচনায় আছেন মোহাম্মদ আলী, মোর্শেদ আল মামুন লিটন, কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত নির্বাচন কমিশন গঠনের দিকেই তাকিয়ে আছে বিএনপি–জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা। তাঁরা আলোচনা করে আগামী সপ্তাহে প্যানেল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। আর কমিশন গঠন সঠিকভাবে না হলে নির্বাচনে যাবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।
গত নির্বাচনে সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২২ সালে নির্বাচনের ৪২ দিন পর তালা ভেঙে নিজেরা ঘোষণা দিয়ে সম্পাদকের কক্ষ দখলে নিয়েছিল। আর গত বছর পুলিশ দিয়ে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে। যেখানে সাধারণ আইনজীবী এমনকি সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। এটা কোনো নির্বাচন ছিল না। আশা করি এবার সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে আলোচনা করে তা প্রতিহত করা হবে।’
এ দিকে বারের নির্বাচনের বিষয়ে বর্তমান কমিটির সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। আমি কথা দিচ্ছি নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে। আর দু-এক দিনের মধ্যেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে।’
আর জামায়াত সমর্থক আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিলের ট্রেজারার মো. ইউসুফ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। কমিশন সঠিক না হলে নির্বাচন ভালো হবে না। তাই বিষয়টি নিয়ে আমাদের আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছে। আমরা চাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে।’ আর তা না হলে পরে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি।
গত বছর নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে ব্যারিস্টার খোকন ও কাজলের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীদের প্যানেলে সহসভাপতি পদে হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও সরকার তাহমিনা বেগম সন্ধ্যাকে প্রার্থী করা হয়েছিল। কোষাধ্যক্ষ পদে ছিলেন রেজাউল করিম। সহসম্পাদক পদে ছিলেন মাহফুজুর রহমান মিলন ও আব্দুল করিম। আর সদস্য পদে ফাতিমা আক্তার, সৈয়দ ফজলে এলাহি অভি, শফিকুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, আশিকুজ্জামান নজরুল, ফয়সাল দস্তগীর ও কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদকে প্রার্থী করা হয়েছিল।
এ বছর দুই প্যানেলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক ট্রেজারার নাহিদ সুলতানা যুথি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতবার নির্বাচন হয়নি। আমি চাই আইনজীবীরা ভোট দিয়ে তাঁদের প্রার্থী নির্বাচন করবেন। সুপ্রিম কোর্ট বারের এটি ঐতিহ্য। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হতে হবে, গতবার হয়নি। তারা (গত কমিটি) যে চালিয়েছে (আইনজীবী সমিতি), এটি অবৈধ।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ছিল উৎসবমুখর। আইনজীবীরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে নিজের এবং তাদের প্যানেলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গন। তবে কখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ব্যতিক্রম গত দুটি নির্বাচনে। বিশেষ করে গত বছর নির্বাচন ছিল নজিরবিহীন। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে এক পক্ষ অনড় থেকে ভোট গ্রহণে বাধা দেয়। এতে পুলিশি হামলার শিকার হন তাঁদের অনেকেই। এমনকি সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন গণমাধ্যমকর্মীরাও। পরে একতরফা নির্বাচনে পুরো প্যানেলে বিজয় পান সরকার সমর্থক আইনজীবীরা।
একতরফা নির্বাচনের পর উভয় দলের সমর্থক আইনজীবীদের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগান, মিছিল-সমাবেশে প্রায় সারা বছরই উত্তপ্ত ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত অঙ্গন। আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। একাধিকবার ভাঙচুর করা হয়েছে সম্পাদকের কক্ষও। মামলা হয়েছে। আর বারের কমিটির বিপরীতে সারা বছর সরব ছিল পাল্টা ঘোষণা করা অ্যাডহক কমিটি। এমনকি বারের ইফতার-ভোজের বিপরীতে পাল্টা ইফতার এবং ভোজের আয়োজনও ছিল একপক্ষের আইনজীবীদের।
আইনজীবীরা বলছেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বার। এই বারের একটি ঐতিহ্য ছিল, যা এখন নেই। তাই সমিতির পরিবেশ ঠিক রাখতে বারকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা প্রয়োজন। গত দুটি নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রয়োজনে সমিতির সিনিয়র সদস্যদের মতামত নিতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বের করতে হবে।
দুই প্যানেলের বাইরে গিয়ে এবার স্বতন্ত্রভাবে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। তিনি বলেন, গত দুটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। গতবারের নির্বাচন প্রতিনিধিত্বমূলক হয়নি। এর আগের নির্বাচনে ভোট গণনা নিয়ে সমস্যা হয়েছে, তালা ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। এর থেকে বের হতে হলে দক্ষ, নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটি গঠন করতে হবে। আর তাদের যা যা সহযোগিতা দরকার, সেটা দিতে হবে বলে জানান তিনি।
আগামী ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের জন্য গত ১১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান সম্পাদকের স্বাক্ষর করা তফসিল অনুযায়ী ১২ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিলের পর এরই মধ্যে সরকারসমর্থক আইনজীবীরা তাঁদের প্যানেল চূড়ান্ত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি পদে সিনিয়র আইনজীবী আবু সাঈদ সাগর আর সম্পাদক পদে সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সহসভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার ও ড. দেওয়ান মোহাম্মদ আবু ওবায়েদ হোসেন সেতু, ট্রেজারার পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনসারী, সহসম্পাদক পদে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও হুমায়ুন কবিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আর সদস্য পদে লড়বেন সৌমিত্র সরদার রনী, মো. খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, রাশেদুল হক খোকন, মাহমুদা আফরোজ, বেলাল হোসেন শাহীন, খালেদ মোশাররফ রিপন ও রায়হান রনী।
তফসিল ঘোষণা হলেও এখনো গঠন করা হয়নি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। ঘোষণা করা হয়নি বিএনপি–জামায়াত সমর্থক আইনজীবীদের প্যানেলও। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে গত বছরের ঘোষিত প্যানেলেই নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তারা। যদিও সভাপতি ও সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন কয়েকজন। সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ছাড়াও আলোচনায় আছে আইনজীবী মো. ফজলুর রহমান ও ব্যারিস্টার বদরদ্দোজা বাদলের নাম। আর সম্পাদক পদে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ছাড়াও আলোচনায় আছেন মোহাম্মদ আলী, মোর্শেদ আল মামুন লিটন, কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত নির্বাচন কমিশন গঠনের দিকেই তাকিয়ে আছে বিএনপি–জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা। তাঁরা আলোচনা করে আগামী সপ্তাহে প্যানেল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। আর কমিশন গঠন সঠিকভাবে না হলে নির্বাচনে যাবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।
গত নির্বাচনে সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২২ সালে নির্বাচনের ৪২ দিন পর তালা ভেঙে নিজেরা ঘোষণা দিয়ে সম্পাদকের কক্ষ দখলে নিয়েছিল। আর গত বছর পুলিশ দিয়ে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে। যেখানে সাধারণ আইনজীবী এমনকি সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। এটা কোনো নির্বাচন ছিল না। আশা করি এবার সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে আলোচনা করে তা প্রতিহত করা হবে।’
এ দিকে বারের নির্বাচনের বিষয়ে বর্তমান কমিটির সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। আমি কথা দিচ্ছি নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে। আর দু-এক দিনের মধ্যেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে।’
আর জামায়াত সমর্থক আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিলের ট্রেজারার মো. ইউসুফ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। কমিশন সঠিক না হলে নির্বাচন ভালো হবে না। তাই বিষয়টি নিয়ে আমাদের আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছে। আমরা চাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে।’ আর তা না হলে পরে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি।
গত বছর নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে ব্যারিস্টার খোকন ও কাজলের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীদের প্যানেলে সহসভাপতি পদে হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও সরকার তাহমিনা বেগম সন্ধ্যাকে প্রার্থী করা হয়েছিল। কোষাধ্যক্ষ পদে ছিলেন রেজাউল করিম। সহসম্পাদক পদে ছিলেন মাহফুজুর রহমান মিলন ও আব্দুল করিম। আর সদস্য পদে ফাতিমা আক্তার, সৈয়দ ফজলে এলাহি অভি, শফিকুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, আশিকুজ্জামান নজরুল, ফয়সাল দস্তগীর ও কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদকে প্রার্থী করা হয়েছিল।
এ বছর দুই প্যানেলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক ট্রেজারার নাহিদ সুলতানা যুথি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতবার নির্বাচন হয়নি। আমি চাই আইনজীবীরা ভোট দিয়ে তাঁদের প্রার্থী নির্বাচন করবেন। সুপ্রিম কোর্ট বারের এটি ঐতিহ্য। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হতে হবে, গতবার হয়নি। তারা (গত কমিটি) যে চালিয়েছে (আইনজীবী সমিতি), এটি অবৈধ।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সংস্কৃতির নতুন রূপ হচ্ছে সিনেমা, যা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখে চলেছে। সিনেমার মাধ্যমে একটি জাতিকে উজ্জীবিত করা যায়। তাই ভালো সিনেমা বিনির্মাণের বিকল্প নেই।
৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কক্সবাজারগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহ আমানত সেতুর টোলবক্সের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে পড়ে। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
২৩ মিনিট আগেআহত শিক্ষার্থী সোহেলুল হক বলেন, “আমরা গিয়ে বলেছিলাম স্যার আমাদের জীবনটা বাঁচান স্যার। তিন বছরেও আপনি কিছু করতে পারেননি। আমরা এনওসি এনেছি। আপনি সাইন করে দেন। এনওসিতে লেখা ছিল, ‘আমরা যেহেতু ওদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে পারছি না। অন্য কোথাও পড়াশোনা করলে আমাদের আপত্তি নেই।’ এই এনওসিতে তিনি...
২৭ মিনিট আগেবরিশালের গৌরনদীতে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীতে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তাঁরাকূপি আরিফ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে