আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাদারীপুরের কালকিনিতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন হত্যার ঘটনায় উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তাঁর ভাই মশিউর রহমান রাজন ব্যাপারী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
পুলিশ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ভয়ে আক্তার শিকদার ও তাঁর পরিবারসহ শিকদার বংশের অনেক পরিবার বাসা ভাড়া করে অন্যত্র থাকেন। কেউ বাড়িতে এলে চেয়ারম্যানের লোকজনের ভয়ে আবার পালিয়ে যেতে হতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে আক্তার শিকদার, তাঁর চাচা আলা বক্স শিকদার, মোশারফ শিকদার, হেলাল শিকদার, আবুল কালাম শিকদার, দুলাল শিকদার, মামুন শিকদার, আকবর শিকদার, আজাহার ঘরামী, ইসমাইল শিকদার, আজহার হাওলাদারসহ প্রায় ১৫টি ঘরে আগুন, ভাঙচুরসহ ঘরের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যান চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন।
এ খবর পেয়ে শুক্রবার মেম্বার আক্তার শিকদার তাঁর ছেলে মারুফ শিকদারের বাড়িতে আসেন। এ সংবাদ জানতে পেরে চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন শিকদারবাড়িতে হামলা চালায়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাড়ি থেকে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করেন আক্তার শিকদার ও তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার। তাঁদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সকালে পুলিশ একই ইউনিয়নের খাশেরহাট সেতুর নিচ থেকে হাত-পা কাটা ও মুখ থেঁতলানো আক্তার শিকদার ও তাঁর ছেলে মারুফ শিকদারের লাশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে পাশের এলাকা খুনেরচরের সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। এ সময় আহত হন আরও ১০ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পা কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় কোন্দলের জেরে বাঁশগাড়ী ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আক্তার শিকদার, তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার ও সহযোগী সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ও মেম্বার আক্তার শিকদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এই তিনজন খুন হন বলে স্থানীয় লোকজন ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি। গত শুক্রবার ভোরে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ভাদুরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘটনার পর থেকে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ভাদুরী ও মধ্যচর এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভয় ও আতঙ্কে এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব মোতায়েন আছে।
প্রতিবেশী মোশারফ শিকদার (৬২) চেয়ারম্যান সুমনের ভয়ে নিজ বাড়িতে থাকেন না। কালকিনিতে বাসা ভাড়া করে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন। তাঁর বাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনো কথা বললে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকেও মেরে ফেলবে। আমি তো কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত না। আমার এক ছেলে বিদেশ থাকে, অন্য ছেলে সিলেটে চাকরি করে। তবুও ভয়ে নিজ বাড়িতে থাকতে পারি না। বাসা ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। এই অত্যাচার কবে শেষ হবে আমি জানি না। এই বয়সেও নিজ বাড়িতে থাকতে পারছি না।’
নিহত আক্তারের চাচা আলা বক্স শিকদার বলেন, ‘আমাদের তো সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের ছেলে ও নাতিকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমাদের ঘরের সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এখন আর ভয় পাই না। এই চেয়ারম্যান সুমন আমাদের মেরে ফেলবে, ফেলুক। তবু এর বিচার চাই। এই অত্যাচার বন্ধ হোক। এখানকার মানুষ একটু শান্তিতে থাকুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর আগে আমার ভাই আবুল বাশারকে ওই চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন হত্যা করে লাশ গুম করেছে। ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। এ সময় থানায়ও অভিযোগ দেওয়ার সাহস হয়নি। এখন আবার আমার ভাইয়ের ছেলে ও নাতিকে হত্যা করল। এসব ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিচার চাই।’
নিহত আক্তার শিকদারের বাবা মতিন শিকদার বলেন, ‘আমাদের বাড়িঘর কয়েক দিন আগে সুমন চেয়ারম্যানের লোকজন পুড়িয়ে দেয়, আর সেই পোড়াবাড়ি ঢাকা থেকে দেখতে আসছিল আক্তার আর আমার নাতি মারুফ। তাদের ওপর হামলা করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সুমন ও তার লোকজন। আমার আর কোনো ছেলেও নাই, নাতিও নাই। আমার পুরো বংশ শেষ করে দিল। আমি এদের বিচার চাই।’
অভিযুক্ত বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তাঁর ভাই রাজন ব্যাপারীকেও পাওয়া যায়নি। তাঁদের ঘর তালাবন্ধ ছিল। এ সময় তাঁদের দুই চাচি সেফালী বেগম ও আফরোজা বেগম বলেন, ‘চেয়ারম্যান সুমন ও তাঁর ভাই রাজন ঢাকাতেই থাকেন। তাঁর মা অসুস্থ হওয়ায় অনেক দিন ধরে ঢাকায় আছেন। তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁরা কীভাবে জড়িত থাকেন। এগুলো মিথ্যা কথা। তাঁরা কেউ জড়িত না।’
এদিকে খুনের ঘটনার মাঠপর্যায়ের তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ। গতকাল শনিবার দুপুরে নিহত তিনজনের বাড়িতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।
অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ বলেন, ঘটনাটিকে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এভাবে তিনজনকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ফলে হেডকোয়ার্টার থেকে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে বিষয়টি অনুধাবনের জন্য আসা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে সম্ভাব্য খুঁটিনাটি দেখা হচ্ছে। তবে এখানে চেয়ারম্যান সুমন আর মেম্বার আক্তারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা ছিল, বিষয়টি এমনই বোঝা যাচ্ছে। তার পরেও তদন্ত করে স্পষ্ট হওয়া যাবে।

মাদারীপুরের কালকিনিতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন হত্যার ঘটনায় উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তাঁর ভাই মশিউর রহমান রাজন ব্যাপারী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
পুলিশ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ভয়ে আক্তার শিকদার ও তাঁর পরিবারসহ শিকদার বংশের অনেক পরিবার বাসা ভাড়া করে অন্যত্র থাকেন। কেউ বাড়িতে এলে চেয়ারম্যানের লোকজনের ভয়ে আবার পালিয়ে যেতে হতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে আক্তার শিকদার, তাঁর চাচা আলা বক্স শিকদার, মোশারফ শিকদার, হেলাল শিকদার, আবুল কালাম শিকদার, দুলাল শিকদার, মামুন শিকদার, আকবর শিকদার, আজাহার ঘরামী, ইসমাইল শিকদার, আজহার হাওলাদারসহ প্রায় ১৫টি ঘরে আগুন, ভাঙচুরসহ ঘরের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যান চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন।
এ খবর পেয়ে শুক্রবার মেম্বার আক্তার শিকদার তাঁর ছেলে মারুফ শিকদারের বাড়িতে আসেন। এ সংবাদ জানতে পেরে চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন শিকদারবাড়িতে হামলা চালায়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাড়ি থেকে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করেন আক্তার শিকদার ও তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার। তাঁদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সকালে পুলিশ একই ইউনিয়নের খাশেরহাট সেতুর নিচ থেকে হাত-পা কাটা ও মুখ থেঁতলানো আক্তার শিকদার ও তাঁর ছেলে মারুফ শিকদারের লাশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে পাশের এলাকা খুনেরচরের সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। এ সময় আহত হন আরও ১০ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পা কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় কোন্দলের জেরে বাঁশগাড়ী ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আক্তার শিকদার, তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার ও সহযোগী সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ও মেম্বার আক্তার শিকদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এই তিনজন খুন হন বলে স্থানীয় লোকজন ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি। গত শুক্রবার ভোরে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ভাদুরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘটনার পর থেকে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ভাদুরী ও মধ্যচর এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভয় ও আতঙ্কে এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব মোতায়েন আছে।
প্রতিবেশী মোশারফ শিকদার (৬২) চেয়ারম্যান সুমনের ভয়ে নিজ বাড়িতে থাকেন না। কালকিনিতে বাসা ভাড়া করে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন। তাঁর বাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনো কথা বললে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকেও মেরে ফেলবে। আমি তো কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত না। আমার এক ছেলে বিদেশ থাকে, অন্য ছেলে সিলেটে চাকরি করে। তবুও ভয়ে নিজ বাড়িতে থাকতে পারি না। বাসা ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। এই অত্যাচার কবে শেষ হবে আমি জানি না। এই বয়সেও নিজ বাড়িতে থাকতে পারছি না।’
নিহত আক্তারের চাচা আলা বক্স শিকদার বলেন, ‘আমাদের তো সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের ছেলে ও নাতিকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমাদের ঘরের সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এখন আর ভয় পাই না। এই চেয়ারম্যান সুমন আমাদের মেরে ফেলবে, ফেলুক। তবু এর বিচার চাই। এই অত্যাচার বন্ধ হোক। এখানকার মানুষ একটু শান্তিতে থাকুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর আগে আমার ভাই আবুল বাশারকে ওই চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন হত্যা করে লাশ গুম করেছে। ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। এ সময় থানায়ও অভিযোগ দেওয়ার সাহস হয়নি। এখন আবার আমার ভাইয়ের ছেলে ও নাতিকে হত্যা করল। এসব ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিচার চাই।’
নিহত আক্তার শিকদারের বাবা মতিন শিকদার বলেন, ‘আমাদের বাড়িঘর কয়েক দিন আগে সুমন চেয়ারম্যানের লোকজন পুড়িয়ে দেয়, আর সেই পোড়াবাড়ি ঢাকা থেকে দেখতে আসছিল আক্তার আর আমার নাতি মারুফ। তাদের ওপর হামলা করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সুমন ও তার লোকজন। আমার আর কোনো ছেলেও নাই, নাতিও নাই। আমার পুরো বংশ শেষ করে দিল। আমি এদের বিচার চাই।’
অভিযুক্ত বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তাঁর ভাই রাজন ব্যাপারীকেও পাওয়া যায়নি। তাঁদের ঘর তালাবন্ধ ছিল। এ সময় তাঁদের দুই চাচি সেফালী বেগম ও আফরোজা বেগম বলেন, ‘চেয়ারম্যান সুমন ও তাঁর ভাই রাজন ঢাকাতেই থাকেন। তাঁর মা অসুস্থ হওয়ায় অনেক দিন ধরে ঢাকায় আছেন। তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁরা কীভাবে জড়িত থাকেন। এগুলো মিথ্যা কথা। তাঁরা কেউ জড়িত না।’
এদিকে খুনের ঘটনার মাঠপর্যায়ের তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ। গতকাল শনিবার দুপুরে নিহত তিনজনের বাড়িতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।
অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ বলেন, ঘটনাটিকে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এভাবে তিনজনকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ফলে হেডকোয়ার্টার থেকে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে বিষয়টি অনুধাবনের জন্য আসা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে সম্ভাব্য খুঁটিনাটি দেখা হচ্ছে। তবে এখানে চেয়ারম্যান সুমন আর মেম্বার আক্তারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা ছিল, বিষয়টি এমনই বোঝা যাচ্ছে। তার পরেও তদন্ত করে স্পষ্ট হওয়া যাবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাদারীপুরের কালকিনিতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন হত্যার ঘটনায় উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তাঁর ভাই মশিউর রহমান রাজন ব্যাপারী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
পুলিশ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ভয়ে আক্তার শিকদার ও তাঁর পরিবারসহ শিকদার বংশের অনেক পরিবার বাসা ভাড়া করে অন্যত্র থাকেন। কেউ বাড়িতে এলে চেয়ারম্যানের লোকজনের ভয়ে আবার পালিয়ে যেতে হতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে আক্তার শিকদার, তাঁর চাচা আলা বক্স শিকদার, মোশারফ শিকদার, হেলাল শিকদার, আবুল কালাম শিকদার, দুলাল শিকদার, মামুন শিকদার, আকবর শিকদার, আজাহার ঘরামী, ইসমাইল শিকদার, আজহার হাওলাদারসহ প্রায় ১৫টি ঘরে আগুন, ভাঙচুরসহ ঘরের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যান চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন।
এ খবর পেয়ে শুক্রবার মেম্বার আক্তার শিকদার তাঁর ছেলে মারুফ শিকদারের বাড়িতে আসেন। এ সংবাদ জানতে পেরে চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন শিকদারবাড়িতে হামলা চালায়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাড়ি থেকে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করেন আক্তার শিকদার ও তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার। তাঁদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সকালে পুলিশ একই ইউনিয়নের খাশেরহাট সেতুর নিচ থেকে হাত-পা কাটা ও মুখ থেঁতলানো আক্তার শিকদার ও তাঁর ছেলে মারুফ শিকদারের লাশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে পাশের এলাকা খুনেরচরের সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। এ সময় আহত হন আরও ১০ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পা কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় কোন্দলের জেরে বাঁশগাড়ী ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আক্তার শিকদার, তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার ও সহযোগী সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ও মেম্বার আক্তার শিকদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এই তিনজন খুন হন বলে স্থানীয় লোকজন ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি। গত শুক্রবার ভোরে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ভাদুরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘটনার পর থেকে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ভাদুরী ও মধ্যচর এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভয় ও আতঙ্কে এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব মোতায়েন আছে।
প্রতিবেশী মোশারফ শিকদার (৬২) চেয়ারম্যান সুমনের ভয়ে নিজ বাড়িতে থাকেন না। কালকিনিতে বাসা ভাড়া করে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন। তাঁর বাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনো কথা বললে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকেও মেরে ফেলবে। আমি তো কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত না। আমার এক ছেলে বিদেশ থাকে, অন্য ছেলে সিলেটে চাকরি করে। তবুও ভয়ে নিজ বাড়িতে থাকতে পারি না। বাসা ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। এই অত্যাচার কবে শেষ হবে আমি জানি না। এই বয়সেও নিজ বাড়িতে থাকতে পারছি না।’
নিহত আক্তারের চাচা আলা বক্স শিকদার বলেন, ‘আমাদের তো সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের ছেলে ও নাতিকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমাদের ঘরের সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এখন আর ভয় পাই না। এই চেয়ারম্যান সুমন আমাদের মেরে ফেলবে, ফেলুক। তবু এর বিচার চাই। এই অত্যাচার বন্ধ হোক। এখানকার মানুষ একটু শান্তিতে থাকুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর আগে আমার ভাই আবুল বাশারকে ওই চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন হত্যা করে লাশ গুম করেছে। ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। এ সময় থানায়ও অভিযোগ দেওয়ার সাহস হয়নি। এখন আবার আমার ভাইয়ের ছেলে ও নাতিকে হত্যা করল। এসব ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিচার চাই।’
নিহত আক্তার শিকদারের বাবা মতিন শিকদার বলেন, ‘আমাদের বাড়িঘর কয়েক দিন আগে সুমন চেয়ারম্যানের লোকজন পুড়িয়ে দেয়, আর সেই পোড়াবাড়ি ঢাকা থেকে দেখতে আসছিল আক্তার আর আমার নাতি মারুফ। তাদের ওপর হামলা করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সুমন ও তার লোকজন। আমার আর কোনো ছেলেও নাই, নাতিও নাই। আমার পুরো বংশ শেষ করে দিল। আমি এদের বিচার চাই।’
অভিযুক্ত বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তাঁর ভাই রাজন ব্যাপারীকেও পাওয়া যায়নি। তাঁদের ঘর তালাবন্ধ ছিল। এ সময় তাঁদের দুই চাচি সেফালী বেগম ও আফরোজা বেগম বলেন, ‘চেয়ারম্যান সুমন ও তাঁর ভাই রাজন ঢাকাতেই থাকেন। তাঁর মা অসুস্থ হওয়ায় অনেক দিন ধরে ঢাকায় আছেন। তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁরা কীভাবে জড়িত থাকেন। এগুলো মিথ্যা কথা। তাঁরা কেউ জড়িত না।’
এদিকে খুনের ঘটনার মাঠপর্যায়ের তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ। গতকাল শনিবার দুপুরে নিহত তিনজনের বাড়িতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।
অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ বলেন, ঘটনাটিকে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এভাবে তিনজনকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ফলে হেডকোয়ার্টার থেকে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে বিষয়টি অনুধাবনের জন্য আসা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে সম্ভাব্য খুঁটিনাটি দেখা হচ্ছে। তবে এখানে চেয়ারম্যান সুমন আর মেম্বার আক্তারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা ছিল, বিষয়টি এমনই বোঝা যাচ্ছে। তার পরেও তদন্ত করে স্পষ্ট হওয়া যাবে।

মাদারীপুরের কালকিনিতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন হত্যার ঘটনায় উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তাঁর ভাই মশিউর রহমান রাজন ব্যাপারী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
পুলিশ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ভয়ে আক্তার শিকদার ও তাঁর পরিবারসহ শিকদার বংশের অনেক পরিবার বাসা ভাড়া করে অন্যত্র থাকেন। কেউ বাড়িতে এলে চেয়ারম্যানের লোকজনের ভয়ে আবার পালিয়ে যেতে হতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে আক্তার শিকদার, তাঁর চাচা আলা বক্স শিকদার, মোশারফ শিকদার, হেলাল শিকদার, আবুল কালাম শিকদার, দুলাল শিকদার, মামুন শিকদার, আকবর শিকদার, আজাহার ঘরামী, ইসমাইল শিকদার, আজহার হাওলাদারসহ প্রায় ১৫টি ঘরে আগুন, ভাঙচুরসহ ঘরের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যান চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন।
এ খবর পেয়ে শুক্রবার মেম্বার আক্তার শিকদার তাঁর ছেলে মারুফ শিকদারের বাড়িতে আসেন। এ সংবাদ জানতে পেরে চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন শিকদারবাড়িতে হামলা চালায়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাড়ি থেকে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করেন আক্তার শিকদার ও তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার। তাঁদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সকালে পুলিশ একই ইউনিয়নের খাশেরহাট সেতুর নিচ থেকে হাত-পা কাটা ও মুখ থেঁতলানো আক্তার শিকদার ও তাঁর ছেলে মারুফ শিকদারের লাশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে পাশের এলাকা খুনেরচরের সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। এ সময় আহত হন আরও ১০ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পা কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় কোন্দলের জেরে বাঁশগাড়ী ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আক্তার শিকদার, তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার ও সহযোগী সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ও মেম্বার আক্তার শিকদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এই তিনজন খুন হন বলে স্থানীয় লোকজন ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি। গত শুক্রবার ভোরে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ভাদুরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘটনার পর থেকে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ভাদুরী ও মধ্যচর এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভয় ও আতঙ্কে এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব মোতায়েন আছে।
প্রতিবেশী মোশারফ শিকদার (৬২) চেয়ারম্যান সুমনের ভয়ে নিজ বাড়িতে থাকেন না। কালকিনিতে বাসা ভাড়া করে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন। তাঁর বাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনো কথা বললে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকেও মেরে ফেলবে। আমি তো কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত না। আমার এক ছেলে বিদেশ থাকে, অন্য ছেলে সিলেটে চাকরি করে। তবুও ভয়ে নিজ বাড়িতে থাকতে পারি না। বাসা ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। এই অত্যাচার কবে শেষ হবে আমি জানি না। এই বয়সেও নিজ বাড়িতে থাকতে পারছি না।’
নিহত আক্তারের চাচা আলা বক্স শিকদার বলেন, ‘আমাদের তো সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের ছেলে ও নাতিকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমাদের ঘরের সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এখন আর ভয় পাই না। এই চেয়ারম্যান সুমন আমাদের মেরে ফেলবে, ফেলুক। তবু এর বিচার চাই। এই অত্যাচার বন্ধ হোক। এখানকার মানুষ একটু শান্তিতে থাকুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর আগে আমার ভাই আবুল বাশারকে ওই চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন হত্যা করে লাশ গুম করেছে। ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। এ সময় থানায়ও অভিযোগ দেওয়ার সাহস হয়নি। এখন আবার আমার ভাইয়ের ছেলে ও নাতিকে হত্যা করল। এসব ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিচার চাই।’
নিহত আক্তার শিকদারের বাবা মতিন শিকদার বলেন, ‘আমাদের বাড়িঘর কয়েক দিন আগে সুমন চেয়ারম্যানের লোকজন পুড়িয়ে দেয়, আর সেই পোড়াবাড়ি ঢাকা থেকে দেখতে আসছিল আক্তার আর আমার নাতি মারুফ। তাদের ওপর হামলা করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সুমন ও তার লোকজন। আমার আর কোনো ছেলেও নাই, নাতিও নাই। আমার পুরো বংশ শেষ করে দিল। আমি এদের বিচার চাই।’
অভিযুক্ত বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তাঁর ভাই রাজন ব্যাপারীকেও পাওয়া যায়নি। তাঁদের ঘর তালাবন্ধ ছিল। এ সময় তাঁদের দুই চাচি সেফালী বেগম ও আফরোজা বেগম বলেন, ‘চেয়ারম্যান সুমন ও তাঁর ভাই রাজন ঢাকাতেই থাকেন। তাঁর মা অসুস্থ হওয়ায় অনেক দিন ধরে ঢাকায় আছেন। তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁরা কীভাবে জড়িত থাকেন। এগুলো মিথ্যা কথা। তাঁরা কেউ জড়িত না।’
এদিকে খুনের ঘটনার মাঠপর্যায়ের তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ। গতকাল শনিবার দুপুরে নিহত তিনজনের বাড়িতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।
অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ বলেন, ঘটনাটিকে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এভাবে তিনজনকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ফলে হেডকোয়ার্টার থেকে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে বিষয়টি অনুধাবনের জন্য আসা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে সম্ভাব্য খুঁটিনাটি দেখা হচ্ছে। তবে এখানে চেয়ারম্যান সুমন আর মেম্বার আক্তারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা ছিল, বিষয়টি এমনই বোঝা যাচ্ছে। তার পরেও তদন্ত করে স্পষ্ট হওয়া যাবে।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৭ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
২৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
৩৩ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত দীপন উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে দীপন একটি গোডাউন থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভ্যানে করে কমলদহ এলাকা থেকে বড় দারোগার হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। কমলদহ এলাকায় মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁর রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত এক পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাকির রাব্বানি বলেন, কমলদহ এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত দীপন উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে দীপন একটি গোডাউন থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভ্যানে করে কমলদহ এলাকা থেকে বড় দারোগার হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। কমলদহ এলাকায় মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁর রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত এক পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাকির রাব্বানি বলেন, কমলদহ এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মাদারীপুরের কালকিনিতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন হত্যার ঘটনায় উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তাঁর ভাই মশিউর রহমান রাজন ব্যাপারী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিকে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
২৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
৩৩ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।
রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।
রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

মাদারীপুরের কালকিনিতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন হত্যার ঘটনায় উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তাঁর ভাই মশিউর রহমান রাজন ব্যাপারী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিকে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
৩৩ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।
ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।
ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

মাদারীপুরের কালকিনিতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন হত্যার ঘটনায় উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তাঁর ভাই মশিউর রহমান রাজন ব্যাপারী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিকে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৭ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
২৪ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাস্তার মাথা গ্রামের মনোহর আলমের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বড় ভেওলার ঈদমনি এলাকায় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন অটোরিকশায় থাকা শিশু তানিয়া ও তার মা-বাবাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মরদেহ তার পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। ওই শিশুর পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাস্তার মাথা গ্রামের মনোহর আলমের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বড় ভেওলার ঈদমনি এলাকায় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন অটোরিকশায় থাকা শিশু তানিয়া ও তার মা-বাবাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মরদেহ তার পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। ওই শিশুর পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।

মাদারীপুরের কালকিনিতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন হত্যার ঘটনায় উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তাঁর ভাই মশিউর রহমান রাজন ব্যাপারী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিকে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৭ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
২৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
৩৩ মিনিট আগে