Ajker Patrika

পাপিয়াকে ‘মাদক সরবরাহের অভিযোগে’ ৬ কারারক্ষী বদলি

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৩, ২০: ২৫
পাপিয়াকে ‘মাদক সরবরাহের অভিযোগে’ ৬ কারারক্ষী বদলি

গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ মাদক সাপ্লাই দিতেন কিছু অসাধু কারারক্ষী। তাঁদের মধ্যে অন্তত ছয়জনকে আজ রোববার তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ দিয়েছে কারা অধিদপ্তর। 

বদলির আদেশে বলা হয়, প্রশাসনিক কারণে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের মহিলা কারারক্ষী মোছা. আলেয়া চৌধুরীকে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে, শাম্মী আক্তারকে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে, মোছা. সোহেলা আক্তারকে ঝালকাঠি জেলা কারাগারে, সেলিনা আক্তারকে শেরপুর জেলা কারাগারে, ঝর্ণা আক্তারকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে এবং লাকী খাতুনকে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে বদলি করা হয়েছে। তবে কী কারণে বদলি করা হয়েছে, তা আদেশ বলা হয়নি। 

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারাগারে পাপিয়াকে ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ মাদক সাপ্লাই দিতেন কিছু অসাধু কারারক্ষী। তাঁদের মধ্যে এই ছয়জন অন্যতম। বিষয়টি কারা অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিরাও জানতেন। পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের পর এবার এই ছয়জনকেও তাৎক্ষণিক বদলি করা হলো।’ 

এর আগে ৩ জুলাই এক কারাবন্দীকে নির্যাতন করার অভিযোগে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারাবন্দী শামীমা নুর পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। 

কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর রুনার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তাঁর কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীরা ১৯ জুন রুনাকে নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। 

একপর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। এ নিয়ে কারাগারের ভেতরে কেস টেবিল বা সালিস বসে। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে পাপিয়ার ভয়ে সাধারণ কয়েদিরা রুনা লায়লার ওপর অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদও করতে পারেননি। এ ঘটনা তদন্ত করে কারা অধিদপ্তর। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকেই প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিল কারা অধিদপ্তর। 

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মফিজুর রহমান ও পাপিয়া দম্পতিকে আটক করা হয়। অস্ত্র আইনের মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত