Ajker Patrika

চাঁদাবাজি ও পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে বাসমালিক-চালকদের বিক্ষোভ

আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩, ১৫: ৫৩
চাঁদাবাজি ও পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে বাসমালিক-চালকদের বিক্ষোভ

গাজীপুরের শ্রীপুরে সড়কে অতিরিক্ত চাঁদাবাজি ও পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে আজ সোমবার বিক্ষোভ করছেন প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের মালিক ও চালকেরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকাগামী শতাধিক যাত্রী। মালিক ও চালকদের অভিযোগ, প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন লিমিটেডের আহ্বায়ক কমিটি প্রতিটি বাস থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে চাঁদার পরিমাণ ও পুলিশি হয়রানিও বেড়েছে বহুগুণ।

আজ শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার, মাওনা, বরমী ও ত্রিমোহনী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, প্রভাতী বনশ্রী বাসমালিক ও চালকেরা বাস বন্ধ করে অতিরিক্ত চাঁদাবাজি ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন। এতে এসব বাসস্ট্যান্ড থেকে চলাচলকারী ঢাকাগামী যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অনেককে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে বাসের জন্য।

মালিক ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি বিনা রিসিটে প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে এই পরিবহনের আহ্বায়ক কমিটির নেতারা অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। অপর দিকে পুলিশের সঙ্গে বোঝাপড়া না করার কারণে বেড়েছে হয়রানিও।

প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের বাসমালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন লিমিটেডের আহ্বায়ক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহমেদ জৈনা বাজার, বরমী বাজার, ত্রিমোহনী ও মাওনা চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁদের লোকজন দিয়ে চাঁদা নিচ্ছেন। চাঁদা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বোঝাপড়া করার কথা, কিন্তু তাঁরা সেটি করছেন না। এতে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে হয়রানি করছে। বিনা কারণে মামলা দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের শতাধিক বাস চলাচল করে ঢাকা অভিমুখে।

প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের আরেক বাসমালিক আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিদিন গাড়িপ্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা চাঁদা দিতে হয় বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে। এর পরিমাণ গত এক মাস আগেও খুবই কম ছিল। হঠাৎ করে প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন লিমিটেডের আহ্বায়ক কমিটির নেতারা এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে শ্রীপুর থেকে সকল প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন চলাচল বন্ধ করে আন্দোলন করছি। সমাধান না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।’

বাসচালক মো. রিপন মিয়া বলেন, জৈনা বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু চাঁদাবাজি। শেষ হয় ঢাকায় গিয়ে। জৈনা বাজার বাসস্ট্যান্ডে ৫০, মাওনা চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডে ৫০, ত্রিমোহনী বাসস্ট্যান্ডে ২৫০, বরমী বাসস্ট্যান্ডে ২০০, গাজীপুর বাসস্ট্যান্ডে ৭০ ও সর্বশেষ গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ডে ১ হাজার ১৩০ টাকা চাঁদা দিতে হয় বিনা রিসিটে। দিন শেষে মালিক-কর্মচারীদের কিছু থাকে না। চাঁদাবাজির জন্য আমরা অতিষ্ঠ। সঙ্গে পুলিশি হয়রানি তো রয়েছেই।’

‘কয়েক সপ্তাহ ধরে পুলিশ বিনা কারণে মামলা দিচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, নেতারা পুলিশের সঙ্গে বোঝাপড়া করছে না।’ যুক্ত করেন বাসচালক রিপন মিয়া।

অতিরিক্ত চাঁদাবাজি ও পুলিশি হয়রানির বন্ধের দাবিতে বাস মালিক-চালকদের বিক্ষোভত্রিমোহনী বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় লোকমান হোসেন নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে এসে জানতে পারলাম বাস চলাচল বন্ধ। বিড়ম্বনায় পড়েছি। অন্য কোনো পরিবহনে মহাসড়ক পর্যন্ত যেতে হবে। এরপর আরেকটি বাসে ঢাকায় যেতে হবে।

এই যাত্রী আরও বলেন, ‘চাঁদাবাজদের জন্য বাড়ির পাশে বাসস্ট্যান্ড পেয়েও সুখ পেলাম না। কয়েক দিন পরপরই চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বাস বন্ধ হয়। তাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের।’

প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন লিমিটেডের আহ্বায়ক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহমেদ চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি যে কয়েকটি বাসস্ট্যান্ডে টাকা তুলি সেগুলো দিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে বোঝাপড়া করি। গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত পুলিশ হয়রানি করে না। এরপর অন্য নেতারা দেখেন। আর এটা চাঁদাবাজি বলা যাবে না। এই টাকা দিয়ে লাইনম্যান ও সুপারভাইজারের বেতন দেওয়া হয়। বেশি টাকা নেওয়ার বিষয়টি ঢাকার নেতারা বলতে পারবেন।’

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শ্রীপুরে বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। তবে আজ বাস বন্ধ করে রেখেছে মালিকপক্ষ। আর পুলিশি হয়রানির বিষয়টি আমার নির্ধারিত সীমানার মধ্যে নয়। বিষয়গুলোর খোঁজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো কার্যালয়ে পুলিশের ব্যারিকেড, সিআইডির নমুনা সংগ্রহ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানী কারওয়ান বাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ভবনের সামনে চারপাশে হিসেবে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে।

আজ শুক্রবার সকালে জমিনে দেখা গেছে, প্রথম আলো চারতলা ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা ভবনটির চারপাশে ঘিরে রাখে।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করার জন্য প্রথম আলো ভবনে এসেছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ সময় সরেজমিনে দেখা গেছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আসেন। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরপর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর পরপরই ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিসংযোগের পর ভবনের ভেতর ৩০-৩৫ জন সাংবাদিক ও কর্মী আটকা পড়েন। বিক্ষোভের শুরুতেই রাত ১০টার সময় ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও স্টেশন থেকে কয়েকটি ইউনিট ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে দিকে রওনা হয়। তবে তাদের বাধা দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদগঞ্জে আলাদা স্থান থেকে ঝুলন্ত দুই মরদেহ উদ্ধার

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আলাদা স্থান থেকে দুটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রাম ও রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন খাজুরিয়া গ্রামের শফিউল্লা মোল্লার ছেলে বিটু মোল্লা (৪০) ও গাব্দেরগাঁও গ্রামের বাবুল ব্যাপারীর স্ত্রী সেলিনা বেগম (৫০)।

বিটু মোল্লার স্বজন মিজান মোল্লা বলেন, ‘আমরা একই বাড়ির বাসিন্দা। শুনেছি রাতে বিটু মোল্লা ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়েছে। পরে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যায় বিটু মোল্লা নিজেদের বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে আছে। পরিবারের সদস্যদের ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশকে খবর দেয়।’

এদিকে সেলিনা বেগমের মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম মৃধা বলেন, ‘বিভিন্ন স্থান থেকে ঋণ করে তার এক ছেলেকে প্রবাসে পাঠানো হয়েছে। এখনো ঋণ পরিশোধ করা হয়নি, এর মধ্যে ছেলে বিদেশ থেকে চলে আসতে চায়। এই খবরে তার পরিবারে কলহের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে সেলিনা বেগম ঘুমিয়ে পড়লেও সকালে বসতঘরের পাশে একটি কাঁঠালগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্বজনেরা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগে ছাত্র-জনতার অবস্থান বাড়ছে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্র-জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্র-জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়ছে।

হাদির মারা যাওয়ার খবর ঘোষণার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা। পরে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ছাত্র-জনতার বিভিন্ন অংশ সেখানে যোগ দেয়। আজ সকাল থেকেও ছাত্র-জনতা শাহবাগে উপস্থিত হন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঙ্গে অনেকেই যোগ দিচ্ছেন।

এ দিকে ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামের সেনানী শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে’ আজ বিকেল ৩টায় শাহবাগে আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন ডাকসুর নেতারা।

গতকাল রাতে শাহবাগের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এখন কার্যত একটি যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-তরুণ এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের জীবন আজ হুমকির মুখে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না।

নাহিদ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় যেসব স্পটে আপনারা নেমে এসেছিলেন—যেমন চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, রংপুর এবং ঢাকায় যাত্রাবাড়ী ও উত্তরাসহ সব জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করুন। শাহবাগে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে থানায় নিখোঁজের জিডি

বগুড়া প্রতিনিধি
অভিযুক্ত মুকুল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযুক্ত মুকুল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় স্ত্রী মারুফা আক্তারকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর স্বামী মুকুল মিয়া থানায় স্ত্রী নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে মুকুল মিয়াকে সন্দেহের মধ্যে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া সদরের নুরইল মধ্যপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুকুল মিয়া স্বীকার করেছেন যে তাঁর স্ত্রী টিকটক ভিডিও করার কারণে দাম্পত্য কলহের জেরে তিনি শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিলেন।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত মারুফা আক্তার পীরগাছা গ্রামের বাসিন্দা। মুকুল মিয়া নুরইল গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় ঢালাই মিস্ত্রি। তাঁদের বিয়ে হয়েছিল ৯ বছর আগে।

জানা যায়, টিকটক ভিডিওর কারণে গত বছরের ডিসেম্বরে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তিন মাস আগে পুনর্বিবাহের মাধ্যমে সংসার শুরু করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের ছয় বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ১১ ডিসেম্বর মারুফা তাঁর চাচাতো বোনের বিয়েতে নাচের একটি ভিডিও টিকটকে প্রকাশ করেন। এই কারণে ১৩ ডিসেম্বর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মুকুল মিয়া স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং লাশ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। পরে ১৫ ডিসেম্বর তিনি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করার পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত