ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দীন খানের বিচার চেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে গভীর রাতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী, অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন ছাত্রলীগের এক নেতাকে শ্রেণিকক্ষে অপমান করেছেন, এ কারণে সেই ছাত্রলীগ নেতা আত্মহত্যা করতে চেয়েছেন। তাই তাঁরা (ছাত্রলীগ) অধ্যাপক তানজীমের বিচার চেয়েছেন।
এ নিয়ে রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি লিখেছেন, ‘আমার ভাইয়ের কিছু হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ছাত্রলীগেরও রক্তের মূল্য আছে। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে রক্তের মূল্য আদায় হবে। জয় বাংলা।’
তবে অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান বলেছেন, ‘পরিকল্পিতভাবে সাজিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ক্লাসে ‘অপমানিত’ হওয়া ছাত্রলীগ নেতা হলেন এসএম এহসান উল্লাহ ধ্রুব। তিনি ঢাবির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপসম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল রাতে ধ্রুবকে শহীদুল্লাহ হলের পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে জানান তাঁর একাধিক সহপাঠী।
গতকাল রাত ৯টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এহসান ধ্রুব লিখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সালাম জানবেন। আমার খুব ইচ্ছা ছিল আপনার সাথে দেখা করার। আপনার একটা ছবি তোলার। পূরণ হলো না। জীবনের সব ইচ্ছা পূরণ হয় না। কী আর করা। কিন্তু আপনার কাছে আমি আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার দিয়ে গেলাম!’
তিনি ফেসবুকে আরও লিখেন, ‘প্রিয় তানজিম স্যার, আপনার পরে আমার আর কোনো রাগ নেই। ভালো থাকবেন। বাবা মা, ক্ষমা করে দিও। ভেবেছিলাম দোকান ঘুরে ঘুরে দুই একটা করে কিনব। এক দোকানেই দুই পাতা বিক্রি করল। সন্দেহ হচ্ছে ঔষধে ভেজাল আছে। যদি ভেজাল না থেকে থাকে তাহলে। (এন্ড অফ দ্যা জার্নি)।’
ফেসবুক স্ট্যাটাসে অধ্যাপক তানজীমকে করা একটি ই–মেইলের স্ক্রিনশট যুক্ত করেন ধ্রুব। ই–মেইলের সাবজেক্টে লেখা, ‘থ্যাংকস ফর কিলিং মি স্যার’।
ই–মেইলে ধ্রুব লিখেন, ‘আই ডিড’ন্ট ডিজার্ভ দ্যাট। আই ওয়েন্ট টু ইউ অ্যাজ মাই টিচার কজ আই ওয়াজ’ন্ট গিল্টি। ইফ ইউ ওয়ান্টেড টু প্রিভেন্ট দ্য রিউমার, ইউ কুড ডু ইট জাস্ট বাই ওয়ার্নিং এভরিওয়ান, বাট ইউ চুজ টু হিউমিলিয়েটেড মি।’
‘আপনি আপনি যতই অস্বীকার করেন, আমি ছাত্রলীগ করি বলে আপনি এমন করেছেন। ডিইউ ক্যাম্পাস নোজ মি মোর অ্যাজ আ ফটোগ্রাফার দ্যান এ বিএসএল অ্যাকটিভিস্ট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্মীর চেয়ে ফটোগ্রাফার হিসেবেই আমার বেশি পরিচিতি)। আমি রাজনীতিতে সক্রিয়ও না দীর্ঘদিন ধরে। আমার সাথেই অন্যায় করা হয়েছে, আপনিও আমার সাথে অন্যায় করলেন। থ্যাংকস ফর কিলিং মি!’
এ বিষয়ে জানতে এহসান ধ্রুবের একাধিক সহপাঠীর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদকের। শ্রেণিকক্ষের ঘটনা সম্পর্কে তাঁরা বলেন, তানজীম স্যারের যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন আধা ঘণ্টা পরে ক্লাসে ঢোকে ধ্রুব। শেষের দিকে স্যার ধ্রুবকে দাঁড়াতে বলেন এবং বলেন, এই যে ক্লাসমেটদের সম্পর্কে এত বাজে গুজব তৈরি করলা, তোমাকে এসব কে বলেছে? স্যার কথাটা ধমকের স্বরেই বলেছেন। এরপর ধ্রুব বলে— ‘স্যার অনেকেই বলেছে। স্যার বলেন, নাম বলো। ধ্রুব বলে, আই ক্যান শো ইউ স্ক্রিনশটস স্যার, বাট আই ক্যান নট টেল মাই ফ্রেন্ডস নেইম। স্যার বলেন, না না, তোমার নাম বলতে হবে। এরপর স্যার ওকে কয়েকটা ধমক দেন এবং বলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একজন শিক্ষার্থীর এটা বোঝা উচিত তার নিজের ক্লাসমেটদের সম্পর্কে কী বলা যায়, কী বলা যায় না।’
সহপাঠীরা আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে ধ্রুবকে থামিয়ে দিয়ে স্যার বলেন, তুমি একজনকে প্রেমের প্রস্তাব দিবা, সেখান থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার কারণে তুমি তোমার ক্লাসমেটের সম্পর্কে এভাবে কুৎসা রটনা করতে পারো না। এরপর স্যার ক্লাস থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ধ্রুব স্যারের কাছে সরি বলতে যায় এবং স্যার আবার ওর সাথে নিচে নামেন এবং ফুচকাও খাওয়ান। পরে রাতে দেখি সে (ধ্রুব) স্ট্যাটাস দিয়ে সুইসাইড এটেম্পট নিয়েছে।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত সোমবার স্ব-প্রণোদিত হয়ে সে (ধ্রুব) আমার রুমে যায় এবং ট্যুরে যাওয়া ক্লাসমেট একজন মেয়ে সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে। তখন আমি তাকে বলি, তুমি কার সামনে এসব বলছ? আমি তোমার শিক্ষক। বেশ আগে আমি তাদের ট্যুরে নিয়ে গেছিলাম। তখন তাকে বলি, আমি এত দায়িত্বজ্ঞানহীন যে, আমি থাকাবস্থায় এসব হবে?’
‘তখন সে বলে, এসব সত্য। অনেকেই বলাবলি করে। তখন বলি, যারা বলে তাদের নামগুলো বলো। এটার সমাধান হওয়া দরকার। তখনো সে মেয়েকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। তখন আমি বলি, এসব তোমাদের ব্যক্তিগত বিষয়, আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না।— পরে শুনি, তার (ধ্রুব) সঙ্গে ওই মেয়ের বন্ধুত্ব ছিল। সে প্রেমের প্রস্তাব দিলে ওই মেয়ে রিজেক্ট করে। ধ্রুবের ভাষ্য হলো, তাকে ওই মেয়ে এবং বন্ধুরা রিজেক্ট করা নিয়ে খোঁচা মারে।’
অধ্যাপক তানজীম আরও বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক শিক্ষকের অনুরোধে একটি ক্লাস নিতে যাই, সে ক্লাসে ধ্রুব অনেক পরে ঢোকে। ক্লাস শেষের দিকে তাকে বলি, ডিপার্টমেন্ট নিয়ে রিউমার ছড়ানো ঠিক? তুমি এসব আজেবাজে বলা বন্ধ করো। তখন সে বলে, আমার কাছে স্ক্রিনশটস আছে। আমি তখন নাম বলতে বললে প্রথমে রাজি হয়নি, পরে নাম বলতে চাইলে আমি তাকে বলি, বসো। আর এসব বিষয়ে কথা বলতে চাই না।’
‘ক্লাস থেকে বের হলে সে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমি তাকে বলি, আমার সঙ্গে কথা বলবা না। পরে সে বলে, আপনি আমাকে হিউমিলিয়েট করছেন। লিফট থেকে নেমে নিচে তার দুজন সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলছিলাম, এমন সময়ে সে আমাদের ক্রস করে গেলে তাকে তার বন্ধুর মাধ্যমে ডাকাই। একসাথে ফুচকা খাওয়াই এবং বলি তুমি মানসিক চাপে আছ, তোমার বাবার নাম্বার দাও, কথা বলি। তখন আবার বলে, আমি ছাত্রলীগ করি বলে, আপনি অপমান করেছেন। তখনো আমি জানতাম না সে ছাত্রলীগ করে, এখানে ছাত্রলীগ কোন ইস্যু না, বিভাগের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পরে তাকে বুঝিয়ে বলি, পড়াশোনা করো। একটা মেয়ের পিছনে পড়ে থেকে লাভ নেই।’
অধ্যাপক তানজীম বলেন, ‘আমি পরে ক্লাবে যাই। রাতের দিকে এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে জানতে পারি তার স্ট্যাটাস সম্পর্কে। তখন তার বাবাকে ফোন দিলে, তিনি ফোন ধরেনি। মায়ের সঙ্গে কথা বলি। তার কয়েকজন বন্ধুকে হলে পাঠাই। তাকে ফোন দিলে সে কেটে দেয়। পরে লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে উদ্ধার করা হয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দীন খানের বিচার চেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে গভীর রাতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী, অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন ছাত্রলীগের এক নেতাকে শ্রেণিকক্ষে অপমান করেছেন, এ কারণে সেই ছাত্রলীগ নেতা আত্মহত্যা করতে চেয়েছেন। তাই তাঁরা (ছাত্রলীগ) অধ্যাপক তানজীমের বিচার চেয়েছেন।
এ নিয়ে রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি লিখেছেন, ‘আমার ভাইয়ের কিছু হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ছাত্রলীগেরও রক্তের মূল্য আছে। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে রক্তের মূল্য আদায় হবে। জয় বাংলা।’
তবে অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান বলেছেন, ‘পরিকল্পিতভাবে সাজিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ক্লাসে ‘অপমানিত’ হওয়া ছাত্রলীগ নেতা হলেন এসএম এহসান উল্লাহ ধ্রুব। তিনি ঢাবির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপসম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল রাতে ধ্রুবকে শহীদুল্লাহ হলের পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে জানান তাঁর একাধিক সহপাঠী।
গতকাল রাত ৯টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এহসান ধ্রুব লিখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সালাম জানবেন। আমার খুব ইচ্ছা ছিল আপনার সাথে দেখা করার। আপনার একটা ছবি তোলার। পূরণ হলো না। জীবনের সব ইচ্ছা পূরণ হয় না। কী আর করা। কিন্তু আপনার কাছে আমি আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার দিয়ে গেলাম!’
তিনি ফেসবুকে আরও লিখেন, ‘প্রিয় তানজিম স্যার, আপনার পরে আমার আর কোনো রাগ নেই। ভালো থাকবেন। বাবা মা, ক্ষমা করে দিও। ভেবেছিলাম দোকান ঘুরে ঘুরে দুই একটা করে কিনব। এক দোকানেই দুই পাতা বিক্রি করল। সন্দেহ হচ্ছে ঔষধে ভেজাল আছে। যদি ভেজাল না থেকে থাকে তাহলে। (এন্ড অফ দ্যা জার্নি)।’
ফেসবুক স্ট্যাটাসে অধ্যাপক তানজীমকে করা একটি ই–মেইলের স্ক্রিনশট যুক্ত করেন ধ্রুব। ই–মেইলের সাবজেক্টে লেখা, ‘থ্যাংকস ফর কিলিং মি স্যার’।
ই–মেইলে ধ্রুব লিখেন, ‘আই ডিড’ন্ট ডিজার্ভ দ্যাট। আই ওয়েন্ট টু ইউ অ্যাজ মাই টিচার কজ আই ওয়াজ’ন্ট গিল্টি। ইফ ইউ ওয়ান্টেড টু প্রিভেন্ট দ্য রিউমার, ইউ কুড ডু ইট জাস্ট বাই ওয়ার্নিং এভরিওয়ান, বাট ইউ চুজ টু হিউমিলিয়েটেড মি।’
‘আপনি আপনি যতই অস্বীকার করেন, আমি ছাত্রলীগ করি বলে আপনি এমন করেছেন। ডিইউ ক্যাম্পাস নোজ মি মোর অ্যাজ আ ফটোগ্রাফার দ্যান এ বিএসএল অ্যাকটিভিস্ট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্মীর চেয়ে ফটোগ্রাফার হিসেবেই আমার বেশি পরিচিতি)। আমি রাজনীতিতে সক্রিয়ও না দীর্ঘদিন ধরে। আমার সাথেই অন্যায় করা হয়েছে, আপনিও আমার সাথে অন্যায় করলেন। থ্যাংকস ফর কিলিং মি!’
এ বিষয়ে জানতে এহসান ধ্রুবের একাধিক সহপাঠীর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদকের। শ্রেণিকক্ষের ঘটনা সম্পর্কে তাঁরা বলেন, তানজীম স্যারের যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন আধা ঘণ্টা পরে ক্লাসে ঢোকে ধ্রুব। শেষের দিকে স্যার ধ্রুবকে দাঁড়াতে বলেন এবং বলেন, এই যে ক্লাসমেটদের সম্পর্কে এত বাজে গুজব তৈরি করলা, তোমাকে এসব কে বলেছে? স্যার কথাটা ধমকের স্বরেই বলেছেন। এরপর ধ্রুব বলে— ‘স্যার অনেকেই বলেছে। স্যার বলেন, নাম বলো। ধ্রুব বলে, আই ক্যান শো ইউ স্ক্রিনশটস স্যার, বাট আই ক্যান নট টেল মাই ফ্রেন্ডস নেইম। স্যার বলেন, না না, তোমার নাম বলতে হবে। এরপর স্যার ওকে কয়েকটা ধমক দেন এবং বলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একজন শিক্ষার্থীর এটা বোঝা উচিত তার নিজের ক্লাসমেটদের সম্পর্কে কী বলা যায়, কী বলা যায় না।’
সহপাঠীরা আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে ধ্রুবকে থামিয়ে দিয়ে স্যার বলেন, তুমি একজনকে প্রেমের প্রস্তাব দিবা, সেখান থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার কারণে তুমি তোমার ক্লাসমেটের সম্পর্কে এভাবে কুৎসা রটনা করতে পারো না। এরপর স্যার ক্লাস থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ধ্রুব স্যারের কাছে সরি বলতে যায় এবং স্যার আবার ওর সাথে নিচে নামেন এবং ফুচকাও খাওয়ান। পরে রাতে দেখি সে (ধ্রুব) স্ট্যাটাস দিয়ে সুইসাইড এটেম্পট নিয়েছে।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত সোমবার স্ব-প্রণোদিত হয়ে সে (ধ্রুব) আমার রুমে যায় এবং ট্যুরে যাওয়া ক্লাসমেট একজন মেয়ে সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে। তখন আমি তাকে বলি, তুমি কার সামনে এসব বলছ? আমি তোমার শিক্ষক। বেশ আগে আমি তাদের ট্যুরে নিয়ে গেছিলাম। তখন তাকে বলি, আমি এত দায়িত্বজ্ঞানহীন যে, আমি থাকাবস্থায় এসব হবে?’
‘তখন সে বলে, এসব সত্য। অনেকেই বলাবলি করে। তখন বলি, যারা বলে তাদের নামগুলো বলো। এটার সমাধান হওয়া দরকার। তখনো সে মেয়েকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। তখন আমি বলি, এসব তোমাদের ব্যক্তিগত বিষয়, আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না।— পরে শুনি, তার (ধ্রুব) সঙ্গে ওই মেয়ের বন্ধুত্ব ছিল। সে প্রেমের প্রস্তাব দিলে ওই মেয়ে রিজেক্ট করে। ধ্রুবের ভাষ্য হলো, তাকে ওই মেয়ে এবং বন্ধুরা রিজেক্ট করা নিয়ে খোঁচা মারে।’
অধ্যাপক তানজীম আরও বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক শিক্ষকের অনুরোধে একটি ক্লাস নিতে যাই, সে ক্লাসে ধ্রুব অনেক পরে ঢোকে। ক্লাস শেষের দিকে তাকে বলি, ডিপার্টমেন্ট নিয়ে রিউমার ছড়ানো ঠিক? তুমি এসব আজেবাজে বলা বন্ধ করো। তখন সে বলে, আমার কাছে স্ক্রিনশটস আছে। আমি তখন নাম বলতে বললে প্রথমে রাজি হয়নি, পরে নাম বলতে চাইলে আমি তাকে বলি, বসো। আর এসব বিষয়ে কথা বলতে চাই না।’
‘ক্লাস থেকে বের হলে সে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমি তাকে বলি, আমার সঙ্গে কথা বলবা না। পরে সে বলে, আপনি আমাকে হিউমিলিয়েট করছেন। লিফট থেকে নেমে নিচে তার দুজন সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলছিলাম, এমন সময়ে সে আমাদের ক্রস করে গেলে তাকে তার বন্ধুর মাধ্যমে ডাকাই। একসাথে ফুচকা খাওয়াই এবং বলি তুমি মানসিক চাপে আছ, তোমার বাবার নাম্বার দাও, কথা বলি। তখন আবার বলে, আমি ছাত্রলীগ করি বলে, আপনি অপমান করেছেন। তখনো আমি জানতাম না সে ছাত্রলীগ করে, এখানে ছাত্রলীগ কোন ইস্যু না, বিভাগের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পরে তাকে বুঝিয়ে বলি, পড়াশোনা করো। একটা মেয়ের পিছনে পড়ে থেকে লাভ নেই।’
অধ্যাপক তানজীম বলেন, ‘আমি পরে ক্লাবে যাই। রাতের দিকে এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে জানতে পারি তার স্ট্যাটাস সম্পর্কে। তখন তার বাবাকে ফোন দিলে, তিনি ফোন ধরেনি। মায়ের সঙ্গে কথা বলি। তার কয়েকজন বন্ধুকে হলে পাঠাই। তাকে ফোন দিলে সে কেটে দেয়। পরে লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে উদ্ধার করা হয়।’
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিক্ষোভের পর রাত ১০টার দিকে টিএসসিতে গায়েবানা জানাজার নামাজও আদায় করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
৭ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার পুকড়া এলাকায় নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেববি, ট্রেজারার, সেনা কর্মকর্তা, বরিশাল, জেলার খবর
৮ ঘণ্টা আগে