ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথম থেকেই মাঠে ছিল আকবর হোসেন। আন্দোলনের শুরুতে সামান্য আহত হলেও ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয় সে। মা গৃহিণী ও প্রতিবন্ধী বাবার পক্ষে উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব না হওয়ায় বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই দিন কাটছে তার।
সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন (১৭)। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের দিনমজুর প্রতিবন্ধী রওশন আলী ও ফেরদৌসী বেগম দম্পতির ছেলে।
গত ৪ আগস্ট সিলেটে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছোড়া গুলিতে বুক, হাত, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় আকবর হোসেন। আহত অবস্থায় ওই দিনই তাকে সিলেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলা হলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে সে। গুলির ক্ষত নিয়ে বাড়িতে বিছানায় পড়ে থাকলেও পঙ্গু বাবা ছেলের চিকিৎসা না করাতে পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
আহত আকবর হোসেনের বাবা রওশন আলী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তার ছেলে বুক, হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। পুরো শরীরজুড়ে রয়েছে ছররা গুলির ক্ষতবিক্ষতের চিহ্ন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছেলের কোনোমতে চিকিৎসা করালেও পুরো সুস্থ করে তুলতে পারেননি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সিংহভাগ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় বহন করলেও আমার ছেলের বেলায় তা জোটেনি।’
হাউমাউ করে কেঁদে রওশন আলী আরও বলেন, ‘আমি এক সময় প্রবাসে ছিলাম, সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আমার হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। বর্তমানে দিনমজুরি করে পরিবার নিয়ে কোনো মতে বেঁচে আছি। এখন আবার ছেলের এই অবস্থা। ছেলের চিকিৎসায় ব্যয় মিটাতে না পেরে এখন মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে আমাকে।’
আহত আকবর হোসেনের মা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘নিজ সন্তানের শরীর থেকে ছররা গুলির ছোট ছোট কার্তুজ ওঠানো হয়েছে। সেই গুলি আমার কাছে রয়েছে। ছেলের সুস্থতা ও ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক এটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কামনা করি। এখন অভাব অনটনের মধ্যে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে।’
আহত আকবর হোসেন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৭ জুলাই থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিলাম। প্রথম দিকে হালকা আঘাতের শিকার হলেও ৪ আগস্ট পুলিশের ছররা গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হলে আমাকে প্রথমে সিলেট সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলা হলেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘জীবনে কিছু পাই বা না পাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আছি এবং থাকব। যেহেতু আমিও একজন ছাত্র। আমি লেখাপড়ার মধ্যে বা শেষ করে ভালো একটি চাকরি করে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথম থেকেই মাঠে ছিল আকবর হোসেন। আন্দোলনের শুরুতে সামান্য আহত হলেও ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয় সে। মা গৃহিণী ও প্রতিবন্ধী বাবার পক্ষে উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব না হওয়ায় বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই দিন কাটছে তার।
সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন (১৭)। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের দিনমজুর প্রতিবন্ধী রওশন আলী ও ফেরদৌসী বেগম দম্পতির ছেলে।
গত ৪ আগস্ট সিলেটে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছোড়া গুলিতে বুক, হাত, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় আকবর হোসেন। আহত অবস্থায় ওই দিনই তাকে সিলেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলা হলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে সে। গুলির ক্ষত নিয়ে বাড়িতে বিছানায় পড়ে থাকলেও পঙ্গু বাবা ছেলের চিকিৎসা না করাতে পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
আহত আকবর হোসেনের বাবা রওশন আলী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তার ছেলে বুক, হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। পুরো শরীরজুড়ে রয়েছে ছররা গুলির ক্ষতবিক্ষতের চিহ্ন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছেলের কোনোমতে চিকিৎসা করালেও পুরো সুস্থ করে তুলতে পারেননি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সিংহভাগ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় বহন করলেও আমার ছেলের বেলায় তা জোটেনি।’
হাউমাউ করে কেঁদে রওশন আলী আরও বলেন, ‘আমি এক সময় প্রবাসে ছিলাম, সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আমার হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। বর্তমানে দিনমজুরি করে পরিবার নিয়ে কোনো মতে বেঁচে আছি। এখন আবার ছেলের এই অবস্থা। ছেলের চিকিৎসায় ব্যয় মিটাতে না পেরে এখন মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে আমাকে।’
আহত আকবর হোসেনের মা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘নিজ সন্তানের শরীর থেকে ছররা গুলির ছোট ছোট কার্তুজ ওঠানো হয়েছে। সেই গুলি আমার কাছে রয়েছে। ছেলের সুস্থতা ও ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক এটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কামনা করি। এখন অভাব অনটনের মধ্যে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে।’
আহত আকবর হোসেন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৭ জুলাই থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিলাম। প্রথম দিকে হালকা আঘাতের শিকার হলেও ৪ আগস্ট পুলিশের ছররা গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হলে আমাকে প্রথমে সিলেট সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলা হলেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘জীবনে কিছু পাই বা না পাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আছি এবং থাকব। যেহেতু আমিও একজন ছাত্র। আমি লেখাপড়ার মধ্যে বা শেষ করে ভালো একটি চাকরি করে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
১ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
১ ঘণ্টা আগেভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ শনিবার সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর পাহাড়ি জায়গা উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার নগরীর আকবরশাহ উত্তর লেকসিটি, সুপারিবাগান ও ইসলামাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে এসব বসতি উচ্ছেদ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে