তামাকের পরিবর্তে তুলা চাষের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭: ০১
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭: ০৮

দেশে লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে তামাকের চাষ হয়। অন্যদিকে তুলার চাষ হয় মাত্র ২০ থেকে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রতি বছর গার্মেন্টস পণ্য তৈরি করতে ৯ বিলিয়ন বেল তুলার প্রয়োজন হয়। এই তুলার মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ দেশে উৎপাদিত হয় আর বাকি তুলা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ক্ষতিকারক তামাক উৎপাদন কমিয়ে তুলার উৎপাদন বাড়ালে দেশ অর্থনীতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। 

আজ শুক্রবার রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত ‘৪র্থ গ্লোবাল কটন সামিট বাংলাদেশ-২০২৩’-এ আলোচকেরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এতে ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইতালি, ব্রাজিল, জার্মানিসহ ১২টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বছরে আমাদের ৯ বিলিয়ন বেল কটনের (তুলা) দরকার হয়। সেই ৯ বিলিয়ন বেলের মধ্যে আমাদের নিজেদের উৎপাদন খুবই সামান্য। এটা মোট চাহিদার ১.৫ শতাংশ। দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে এই সেক্টরে আমাদের নজর দিতেই হবে।’ 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে জমির সংকট রয়েছে, কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশে জমি পড়ে আছে। জনবলের অভাবে অনেকে চাষ করে না। তাঁদের জমি ব্যবহার করে আমরা তুলা উৎপাদন করতে পারি কি না, এটা ভেবে দেখা যেতে পারে।’ 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ছবি: ওমর ফারুক  বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএ) সভাপতি মোহাম্মাদ আইয়ুব বলেন, ‘আমাদের দেশে কটনের চাহিদার বড় অংশ আমদানিনির্ভর। একটি দেশে তখনই সমৃদ্ধি আসে, যাদের নিজস্ব কাঁচামাল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একটা ঘোষণা রয়েছে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার। আমদের দেশে তুলা উৎপাদন হচ্ছে ২০ থেকে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে। লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। তামাক চাষের প্রবণতা দিনে দিনে বাড়ছে। আমরা তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করে তুলার চাষ বাড়াতে পারি। তুলা এমন একটি ফসল, যার কোনো কিছু ফেলনা নয়।’ 

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। গার্মেন্টসের উৎপাদন সচল রাখতে প্রচুর তুলার প্রয়োজন হয়। দেশে প্রণোদনা দিয়ে তুলা উৎপাদন বাড়ানো গেলে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।’ 

আলোচনায় আরও অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন প্রমুখ। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত