সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: ভবনমালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩, ১৮: ৩৫
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৩, ১৯: ৫৯

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২৪ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ভবনমালিকসহ তিনজনকে দায়িত্বে অবহেলায় প্রাণহানির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন ভবনের দুই মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং ভবনের বেসমেন্টে স্যানিটারি ব্যবসায়ী মিন্টু। এর মধ্যে ওয়াহিদুর ও মতিউর সম্পর্কে আপন দুই ভাই। 

ভবনে বিস্ফোরণের পর তাঁদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে গত ৯ মার্চ আদালতে হাজির করে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত শনিবার তাঁদের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিন দায়িত্বে অবহেলায় প্রাণহানির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মজিবুর রহমান গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেন। আজ গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানির সময় তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। 

রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির নাম কুইন টাওয়ার। গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের নর্থসাউথ রোডে সাততলা ওই ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। 
বিস্ফোরণে ভবনটির তিনতলা পর্যন্ত পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি ও গৃহস্থালি সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে ভবনটির দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে পড়ে যায়। ভবনের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের কয়েকটি ভবনও। 

এ ঘটনায় এক দিন পর একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়। পরে দায়িত্বে অবহেলার জন্য সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় বংশাল থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। 

মামলায় বলা হয়, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি যথাযথ নিয়ম মেনে (বিল্ডিং কোড) নির্মাণ করা হয়নি। ভবনটিতে আন্ডারগ্রাউন্ড/বেসমেন্ট তৈরির অনুমোদন ছিল না। অবৈধভাবে নির্মিত এই বেসমেন্টে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের কোনো অনুমতি ছিল না। সেখানে নির্মাণসামগ্রী মজুত ও বিক্রয় কাজে ব্যবহার করা হতো। বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে কুইন্স ক্যাফে নামে রান্নাঘর করা হয়েছিল। অথচ গ্যাস লিকেজ সমস্যা ও পয়ঃবর্জে সৃষ্ট গ্যাস নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল না। ভবনমালিক ও ব্যবহারকারীরা অর্থের লোভে অবৈধভাবে বেসমেন্ট ও আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যবহার করে আসছিলেন। এইরূপ অপরাধজনক কাজের জন্য এতগুলো প্রাণহানি ও মালামাল ধ্বংস হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত