নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ভূখণ্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য। বাংলাদেশের বন বিভাগের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বন আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশে বনজ সম্পদ ও বনভূমির অবক্ষয় ক্রমশ বাড়ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে দাবদাহসহ নানা বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে মানুষ।
চলমান দাবদাহ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আটটি পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাপার সহসভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব মূল প্রবন্ধে পরামর্শগুলো তুলে ধরেন।
পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. বন ও বনভূমি সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তর/কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ, প্রণোদনা ও আইন ভঙ্গকারীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা।
২. সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের মাধ্যমে পথভ্রষ্ট সম্প্রসারণ উন্নয়নের নামে বসবাসযোগ্য নগর পরিবেশ ধ্বংসে যেভাবে সচেষ্ট, তা থেকে তাদের সম্পূর্ণ নিবৃত্ত করে কার্যকর সবুজায়ন নীতিমালার ভিত্তিতে সংরক্ষণ নিশ্চিত করে ভারসাম্যপূর্ণ এবং দেশজ বৃক্ষরোপণ ও লালনের কর্মসূচি কার্যকর করার পাশাপাশি ‘নগর বন’ সৃষ্টির ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তি ও করপোরেট-ভিত্তিক সবুজায়ন ও বনায়ন উদ্যোগকে প্রণোদিত ও কখনো কখনো বিশেষভাবে উৎসাহিত করার প্রয়াস নিতে হবে।
৩. নগরব্যাপী বিদ্যমান পুকুর, খাল এবং অন্যান্য জলাশয় পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণপূর্বক নগরীর বাসযোগ্যতা উন্নয়নে সমন্বিতভাবে ‘নীল আন্তঃসংযোগ’ গড়ে তোলার পাশাপাশি নদীর সঙ্গে তাদের সংযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয় আশু উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি, নগরীতে বিদ্যমান পুকুর, জলাধার ও জল সংরক্ষণ উদ্যোগগুলোর ত্বরান্বিত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৪. সমীক্ষানির্ভর নীতিমালা প্রণয়ন এবং প্রণোদনা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সাম্যতার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তিতার নগর দর্শন নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও সংস্থাগুলোকে নিয়ে আশু উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ব্যক্তি পর্যায়ে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি এবং জনমানুষকে নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে দাবদাহের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সামর্থ্যের জায়গাটি কাজে লাগানো প্রয়োজন।
৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সঠিক বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে বিধায় এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৬. যত্রতত্র নিয়ন্ত্রিত কাচের ভবনের ‘আত্মঘাতী সংস্কৃতি’র বিপরীতে প্রকৃতির নির্ভরতায় জীবনাচরণ নিশ্চিতের ‘নগর দর্শন’ভিত্তিক বিনির্মাণ নিশ্চিতে অনতিবিলম্বে ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় যথোপযুক্ত শুদ্ধিকরণের উদ্যোগ প্রয়োজন। যদিও রাজউক তাড়াহুড়া করে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ ছাড়া পাশ কাটানোর চেষ্টার মাধ্যমে সেই সুযোগকেও হত্যা করার চেষ্টা করছে। আশু উদ্যোগের মাধ্যমে তা প্রতিহত ও যথাযথ করা প্রয়োজন।
৭. নগরীতে বায়ু ও গ্যাসীয় দূষণের প্রধান প্রধান নিয়ামকসমূহ যেমন—অনুপযোগী যানবাহন চলাচল, নির্মাণ কার্যক্রম, মালামালের পরিবহন ও প্রক্রিয়াকরণজনিত দূষণ, ইটভাটাজনিত দূষণ, ময়লার ভাগাড়, কারখানার নির্গত ধোঁয়াসহ অন্যান্য বায়ু দূষণকারী কার্যক্রম রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কার্যকর ও দৃষ্টান্তমূলক দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ। সরকারি-বেসরকারি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠান দ্বারা গৃহীত প্রকল্পের আওতায় নগর বায়ু ও বর্জ্য দূষণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার অভিঘাতের বিরুদ্ধে অভিযোজন ও ভারসাম্য নিশ্চিতের কর্মসূচিগুলোকে সুবিন্যস্ত ও সুপরিকল্পিতকরণের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী করে তোলা জরুরি বিবেচনায় অন্যতম দাবি।
৮. সামগ্রিক অব্যবস্থার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পরিবেশবাদী, পেশাজীবীসহ সবার সম্মিলিত ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রচেষ্টায় ২০২৩ সালে উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্য একটি সবুজায়ন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। ইউএসএইড, বন অধিদপ্তর এবং অন্যান্য সংস্থা মিলে বৃক্ষশুমারি করেছে। সেই আলোকে দেশব্যাপী সুপরিকল্পিত নগর সবুজায়ন নীতিমালাভিত্তিক বাস্তবায়ন কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করাই সমীচীন।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ভূখণ্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য। বাংলাদেশের বন বিভাগের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বন আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশে বনজ সম্পদ ও বনভূমির অবক্ষয় ক্রমশ বাড়ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে দাবদাহসহ নানা বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে মানুষ।
চলমান দাবদাহ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আটটি পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাপার সহসভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব মূল প্রবন্ধে পরামর্শগুলো তুলে ধরেন।
পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. বন ও বনভূমি সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তর/কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ, প্রণোদনা ও আইন ভঙ্গকারীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা।
২. সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের মাধ্যমে পথভ্রষ্ট সম্প্রসারণ উন্নয়নের নামে বসবাসযোগ্য নগর পরিবেশ ধ্বংসে যেভাবে সচেষ্ট, তা থেকে তাদের সম্পূর্ণ নিবৃত্ত করে কার্যকর সবুজায়ন নীতিমালার ভিত্তিতে সংরক্ষণ নিশ্চিত করে ভারসাম্যপূর্ণ এবং দেশজ বৃক্ষরোপণ ও লালনের কর্মসূচি কার্যকর করার পাশাপাশি ‘নগর বন’ সৃষ্টির ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তি ও করপোরেট-ভিত্তিক সবুজায়ন ও বনায়ন উদ্যোগকে প্রণোদিত ও কখনো কখনো বিশেষভাবে উৎসাহিত করার প্রয়াস নিতে হবে।
৩. নগরব্যাপী বিদ্যমান পুকুর, খাল এবং অন্যান্য জলাশয় পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণপূর্বক নগরীর বাসযোগ্যতা উন্নয়নে সমন্বিতভাবে ‘নীল আন্তঃসংযোগ’ গড়ে তোলার পাশাপাশি নদীর সঙ্গে তাদের সংযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয় আশু উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি, নগরীতে বিদ্যমান পুকুর, জলাধার ও জল সংরক্ষণ উদ্যোগগুলোর ত্বরান্বিত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৪. সমীক্ষানির্ভর নীতিমালা প্রণয়ন এবং প্রণোদনা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সাম্যতার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তিতার নগর দর্শন নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও সংস্থাগুলোকে নিয়ে আশু উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ব্যক্তি পর্যায়ে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি এবং জনমানুষকে নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে দাবদাহের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সামর্থ্যের জায়গাটি কাজে লাগানো প্রয়োজন।
৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সঠিক বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে বিধায় এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৬. যত্রতত্র নিয়ন্ত্রিত কাচের ভবনের ‘আত্মঘাতী সংস্কৃতি’র বিপরীতে প্রকৃতির নির্ভরতায় জীবনাচরণ নিশ্চিতের ‘নগর দর্শন’ভিত্তিক বিনির্মাণ নিশ্চিতে অনতিবিলম্বে ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় যথোপযুক্ত শুদ্ধিকরণের উদ্যোগ প্রয়োজন। যদিও রাজউক তাড়াহুড়া করে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ ছাড়া পাশ কাটানোর চেষ্টার মাধ্যমে সেই সুযোগকেও হত্যা করার চেষ্টা করছে। আশু উদ্যোগের মাধ্যমে তা প্রতিহত ও যথাযথ করা প্রয়োজন।
৭. নগরীতে বায়ু ও গ্যাসীয় দূষণের প্রধান প্রধান নিয়ামকসমূহ যেমন—অনুপযোগী যানবাহন চলাচল, নির্মাণ কার্যক্রম, মালামালের পরিবহন ও প্রক্রিয়াকরণজনিত দূষণ, ইটভাটাজনিত দূষণ, ময়লার ভাগাড়, কারখানার নির্গত ধোঁয়াসহ অন্যান্য বায়ু দূষণকারী কার্যক্রম রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কার্যকর ও দৃষ্টান্তমূলক দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ। সরকারি-বেসরকারি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠান দ্বারা গৃহীত প্রকল্পের আওতায় নগর বায়ু ও বর্জ্য দূষণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার অভিঘাতের বিরুদ্ধে অভিযোজন ও ভারসাম্য নিশ্চিতের কর্মসূচিগুলোকে সুবিন্যস্ত ও সুপরিকল্পিতকরণের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী করে তোলা জরুরি বিবেচনায় অন্যতম দাবি।
৮. সামগ্রিক অব্যবস্থার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পরিবেশবাদী, পেশাজীবীসহ সবার সম্মিলিত ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রচেষ্টায় ২০২৩ সালে উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্য একটি সবুজায়ন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। ইউএসএইড, বন অধিদপ্তর এবং অন্যান্য সংস্থা মিলে বৃক্ষশুমারি করেছে। সেই আলোকে দেশব্যাপী সুপরিকল্পিত নগর সবুজায়ন নীতিমালাভিত্তিক বাস্তবায়ন কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করাই সমীচীন।
বরিশালের গৌরনদীতে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীতে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তাঁরাকূপি আরিফ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেনওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও প্রতিপক্ষের মারধরে মাছচাষীসহ চারজন আহত হয়েছেন। এক ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।
২১ মিনিট আগেচট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার টেকবাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২৯ মিনিট আগেসিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে