গুলিস্তান–গাজীপুর রুটে বিআরটিসির এসি বাস চালু, ১২ বছরেও এল না ঢাকা লাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১: ৩৫
Thumbnail image
ঢাকা–গাজীপুর বিআরটি রুটে বিআরটিসির এসি বাস চালু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

১২ বছর আগে কাজ শুরু হওয়া বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অবশেষে চালু হয়েছে। তবে ঢাকা লাইন নামে নিজেদের কোম্পানির বাস চালু করার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। বরং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) এসি বাস নামানো হয়েছে রাস্তায়। বাসগুলো গুলিস্তান থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে বিমানবন্দর ও বিআরটি লাইনে চলাচল করেছে।

বিআরটিসি সূত্র বলছে, এই রুটে আপাতত ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চলাচল করবে। পরবর্তীকালে যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী বাসসংখ্যা বাড়ানো হবে। গুলিস্তান থেকে শিববাড়ীর রুটের ভাড়া হবে ১৪০ টাকা।

বিআরটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুস্তাকিম ভূঞা সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত রোববার (১ ডিসেম্বর) থেকে বিআরটি লেনে পরীক্ষামূলকভাবে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ী পর্যন্ত বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ওই রুটটি সম্প্রসারিত আকারে আজ শুক্রবার থেকে ঢাকার গুলিস্তান থেকে চালানো হচ্ছে।

জানা যায়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে শিববাড়ী, গাজীপুর পর্যন্ত যাতায়াত করবে বিআরটিসির এসি বাস। গুলিস্তান-শিববাড়ী ও গাজীপুর রুটের স্টপেজগুলো হলো—গুলিস্তান, শাহবাগ, ফার্মগেট, এয়ারপোর্ট, কলেজ গেট, বোর্ডবাজার, ভোগড়া ও শিববাড়ী (গাজীপুর)। তবে মূল লাইনে এয়ারপোর্ট থেকে শিববাড়ী গাজীপুর টার্মিনাল পর্যন্ত ২৫টি বিআরটি স্টেশন থাকবে।

এদিকে বিআরটি প্রকল্পের জন্য ১৩৭ বাস কেনার কথা রয়েছে। বাস কেনার ঋণসহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। তবে বাস কেনার এই প্রক্রিয়া দেড় বছরেও শেষ হয়নি। একবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও সেটি বাতিল হয়। ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক বিআরটি প্রকল্প এখনো চলমান। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বিআরটি লাইন ৩–এর সম্প্রসারিত উত্তর অংশটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ী পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার করিডর বিস্তৃত।

প্রকল্প সূত্র বলছে, ২০১২ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ছয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে এই ডিসেম্বরে শেষ করার কথা। পরিকল্পনায় বড় ত্রুটি থাকায় প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই একে ‘সিক প্রজেক্ট’ বা রুগ্‌ণ প্রকল্প আখ্যা দিচ্ছেন। প্রকল্পের ব্যয় ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায় ঠেকেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে গাফিলতির কারণে ১০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত