Ajker Patrika

ঢাবি ছাত্রকে মারধরের পর মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে 

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৪, ২১: ৫৬
ঢাবি ছাত্রকে মারধরের পর মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে 

রাজধানীর হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম ও কনস্টেবল রিয়াজের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাফিন উজ জামানকে মারধর ও মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তবে এসআই সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আপনি হয়তো ভুল শুনেছেন।’ 

গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে হাজারীবাগ থানার পাশে অবস্থিত ঢাবির লেদার ইনস্টিটিউট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাফিন। 

সাফিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের সিটিটিসির (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) সঙ্গে আমাদের যৌথ একটি নাটকের কাজ ছিল। কাজ শেষে শিল্পী সম্মানী দেওয়া হয়। নাটকে অংশগ্রহণ করা এক জুনিয়র অসুস্থ থাকায় সম্মানী নিতে পারেননি। সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সেই সম্মানী দিতে আমি হাজারীবাগ এলাকায় যাই। সেখানে আরেক বড়ভাইর আমার সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল। 

‘লেদার ইনস্টিটিউট এলাকায় পৌঁছালে কনস্টেবল রিয়াজ জিজ্ঞেস করে তুই এখানে কী করছিস?-এ কথা বলে মাদক নিয়ে পকেটে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। আমার পকেটে টাকা থাকায় হাত দিতে দেইনি। পরে এসআই সিরাজুল ইসলামও এগিয়ে আসে। জেরা করতে থাকে এবং মারধর করে। আমার বড়ভাই যিনি আসার কথা তিনিও সেখানে উপস্থিত হন।’ 

সাফিন আরও বলেন, ‘অনেকক্ষণ আটকে রাখার পর ছেড়ে দেয় এবং এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য বলে। বললে সমস্যা হবে বলেও জানায়। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’ 

সাফিন বলেন, ‘বিষয়টি হাজারীবাগ থানার ওসিকে অবহিত করেছি। তিনি নিজ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’ 

হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম কোনো বিষয় সম্পর্কে অবগত নই।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আপনি হয়তো ভুল শুনেছেন।’ কনস্টেবল রিয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

তবে এসআই সিরাজুল ইসলাম ও কনস্টেবল রিয়াজ হাজারীবাগ থানায় কর্মরত রয়েছেন বলে স্বীকার করেন নুর মোহাম্মদ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। বলা হয়েছে লিখিত অভিযোগ দিতে। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এটা ফরমালিটি। তবে তারা যদি মিউচুয়াল করে ফেলে, তাহলে তো আমাদের আর কিছু করার থাকল না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত