নিজস্ব প্রতিবেদক ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

সাভার-আশুলিয়ার বেশির ভাগ শিল্প কারখানায় আজ মঙ্গলবার কার্যক্রম চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে শিল্পাঞ্চলে। তবে নানা কারণে এই এলাকার ৪০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সড়কেও টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।
পোশাক শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পোশাক কারখানায় নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সমান অধিকার নিশ্চিত করা, হাজিরা বোনাস এবং টিফিন বিল বাড়িয়ে আজ থেকে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার সব কারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজিএমইএ। সকাল থেকে কারখানার শ্রমিকেরা নির্ধারিত সময়ে তাদের কর্মস্থলে যোগ দেন। গত কয়েক দিনের অশান্ত পরিবেশ আজ শান্ত।
আশুলিয়ার শিল্প পুলিশ-১ ও তৈরি পোশাক কারখানা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বেতন ও হাজিরা বোনাস দেওয়া, টিফিন বিল বৃদ্ধি এবং শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ কিছু দাবিতে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্প এলাকায় কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন। কোথাও কোথাও আন্দোলন রূপ নিচ্ছিল সহিংসতায়। সব মিলিয়ে এক অস্থির পরিস্থিতি পার করছিল পোশাক খাত।
বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের বনিবনা না হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গতকাল সোমবার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ৯০টি কারখানায় ছুটি ছিল। তবে এ সময়ে কোথাও বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত কয়েক দিন ধরেই মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ ও প্রশাসনসহ পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সোমবার বিজিএমইএ ভবনে বৈঠকে বসেন শ্রমিক-মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ায় এই শিল্প খাতে স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আশা মালিকপক্ষের।
আশুলিয়ার রাবাব গ্রুপের ফাউন্টেইন গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড কারখানার এমব্রয়ডারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিজানুর রহমান সুমন বলেন, ‘এত দিন অস্থিরতা বিরাজ করছিল, আমরাও উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। বিজিএমইএ ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়েছে, শ্রমিকরাও ভালো সাড়া দিয়েছে। আমাদের কারখানা তো খোলা হয়েছেই। বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। পোশাক শিল্প নিয়ে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল, আমার মনে হয় সেটা কেটে গিয়েছে। এখন আমরা পূর্ণোদ্যমে কাজ করতে পারব।’
একই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ম্যানেজার (মানবসম্পদ বিভাগ) আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিএমইএ গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো মেনে নিয়েছে। আজ বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি এখনো আশপাশের কিছু কারখানার শ্রমিকেরা অন্য দাবি তুলছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু শ্রমিকদের তুলনায় সেটা অপ্রতুল। আমাদের অনুরোধ থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও বেশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে বিষয়টাকে যেন শিথিল পর্যায়ে নিয়ে আসে। আমরা সবাই চাই একটি সুন্দর, স্বাভাবিক দেশ। এটা নিশ্চিত করতে আমাদের সব পক্ষকেই মিলেমিশে কাজ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তৃতীয় পক্ষ এর ভেতরে ঢুকে কোনো সুযোগ-সুবিধা না নিতে পারে।
এদিকে, বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের বনিবনা না হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আজও প্রায় ৪০টি কারখানায় ছুটি দিয়েছে কারখানা মালিকেরা। তবে এ সময়ে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলতার খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন বলেন, ‘গতকাল বিজিএমইএ বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আজকে অধিকাংশ কারখানা সচল রয়েছে। কিছু কারখানা আগে থেকে বন্ধ রয়েছে। কিছু কারখানায় শ্রমিকেরা অভ্যন্তরীণ কিছু দাবিতে কাজ বন্ধ করে ভেতরে বসে আছে। এমনিতে পরিস্থিতি ভালোই মনে হচ্ছে। বিজিএমইএর সিদ্ধান্ত যেটা হয়েছে শ্রমিকেরা এর অনেক কিছুই মেনে নিয়েছে। এখন থেকে নারী-পুরুষ বৈষম্যও থাকবে না। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর কারণে শ্রমিকরাও কাজে ফিরেছে।’
র্যাব ৪ সিপিসি-২–এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান বলেন, ‘পোশাক খাতে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা গত কয়েক দিন ধরেই টানা কাজ করে যাচ্ছি। র্যাব-৪ এর মোট ১৩টি টহল গাড়ি এখানে রয়েছে। এ ছাড়া বিজিবি, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ কাজ করছে। আজকে বাইপাইল, ইপিজেড, আশুলিয়া, সাভার, জিরানীসহ পুরো এলাকায় যৌথ বাহিনী কাজ করছে। পরিস্থিতি আজ অনেকটাই স্বাভাবিক। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
শিল্প পুলিশ-১ (আশুলিয়া) এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। কাজ চলছে। আগের ১৯টি কারখানা বন্ধ ছিল। আর আজ ২১টি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ করছে না। সব মিলিয়ে ৪০টি কারখানায় কাজ বন্ধ রয়েছে। এখানে কোনো সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

সাভার-আশুলিয়ার বেশির ভাগ শিল্প কারখানায় আজ মঙ্গলবার কার্যক্রম চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে শিল্পাঞ্চলে। তবে নানা কারণে এই এলাকার ৪০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সড়কেও টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।
পোশাক শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পোশাক কারখানায় নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সমান অধিকার নিশ্চিত করা, হাজিরা বোনাস এবং টিফিন বিল বাড়িয়ে আজ থেকে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার সব কারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজিএমইএ। সকাল থেকে কারখানার শ্রমিকেরা নির্ধারিত সময়ে তাদের কর্মস্থলে যোগ দেন। গত কয়েক দিনের অশান্ত পরিবেশ আজ শান্ত।
আশুলিয়ার শিল্প পুলিশ-১ ও তৈরি পোশাক কারখানা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বেতন ও হাজিরা বোনাস দেওয়া, টিফিন বিল বৃদ্ধি এবং শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ কিছু দাবিতে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্প এলাকায় কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন। কোথাও কোথাও আন্দোলন রূপ নিচ্ছিল সহিংসতায়। সব মিলিয়ে এক অস্থির পরিস্থিতি পার করছিল পোশাক খাত।
বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের বনিবনা না হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গতকাল সোমবার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ৯০টি কারখানায় ছুটি ছিল। তবে এ সময়ে কোথাও বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত কয়েক দিন ধরেই মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ ও প্রশাসনসহ পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সোমবার বিজিএমইএ ভবনে বৈঠকে বসেন শ্রমিক-মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ায় এই শিল্প খাতে স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আশা মালিকপক্ষের।
আশুলিয়ার রাবাব গ্রুপের ফাউন্টেইন গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড কারখানার এমব্রয়ডারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিজানুর রহমান সুমন বলেন, ‘এত দিন অস্থিরতা বিরাজ করছিল, আমরাও উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। বিজিএমইএ ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়েছে, শ্রমিকরাও ভালো সাড়া দিয়েছে। আমাদের কারখানা তো খোলা হয়েছেই। বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। পোশাক শিল্প নিয়ে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল, আমার মনে হয় সেটা কেটে গিয়েছে। এখন আমরা পূর্ণোদ্যমে কাজ করতে পারব।’
একই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ম্যানেজার (মানবসম্পদ বিভাগ) আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিএমইএ গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো মেনে নিয়েছে। আজ বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি এখনো আশপাশের কিছু কারখানার শ্রমিকেরা অন্য দাবি তুলছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু শ্রমিকদের তুলনায় সেটা অপ্রতুল। আমাদের অনুরোধ থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও বেশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে বিষয়টাকে যেন শিথিল পর্যায়ে নিয়ে আসে। আমরা সবাই চাই একটি সুন্দর, স্বাভাবিক দেশ। এটা নিশ্চিত করতে আমাদের সব পক্ষকেই মিলেমিশে কাজ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তৃতীয় পক্ষ এর ভেতরে ঢুকে কোনো সুযোগ-সুবিধা না নিতে পারে।
এদিকে, বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের বনিবনা না হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আজও প্রায় ৪০টি কারখানায় ছুটি দিয়েছে কারখানা মালিকেরা। তবে এ সময়ে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলতার খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন বলেন, ‘গতকাল বিজিএমইএ বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আজকে অধিকাংশ কারখানা সচল রয়েছে। কিছু কারখানা আগে থেকে বন্ধ রয়েছে। কিছু কারখানায় শ্রমিকেরা অভ্যন্তরীণ কিছু দাবিতে কাজ বন্ধ করে ভেতরে বসে আছে। এমনিতে পরিস্থিতি ভালোই মনে হচ্ছে। বিজিএমইএর সিদ্ধান্ত যেটা হয়েছে শ্রমিকেরা এর অনেক কিছুই মেনে নিয়েছে। এখন থেকে নারী-পুরুষ বৈষম্যও থাকবে না। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর কারণে শ্রমিকরাও কাজে ফিরেছে।’
র্যাব ৪ সিপিসি-২–এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান বলেন, ‘পোশাক খাতে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা গত কয়েক দিন ধরেই টানা কাজ করে যাচ্ছি। র্যাব-৪ এর মোট ১৩টি টহল গাড়ি এখানে রয়েছে। এ ছাড়া বিজিবি, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ কাজ করছে। আজকে বাইপাইল, ইপিজেড, আশুলিয়া, সাভার, জিরানীসহ পুরো এলাকায় যৌথ বাহিনী কাজ করছে। পরিস্থিতি আজ অনেকটাই স্বাভাবিক। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
শিল্প পুলিশ-১ (আশুলিয়া) এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। কাজ চলছে। আগের ১৯টি কারখানা বন্ধ ছিল। আর আজ ২১টি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ করছে না। সব মিলিয়ে ৪০টি কারখানায় কাজ বন্ধ রয়েছে। এখানে কোনো সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

সাভার-আশুলিয়ার বেশির ভাগ শিল্প কারখানায় আজ মঙ্গলবার কার্যক্রম চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে শিল্পাঞ্চলে। তবে নানা কারণে এই এলাকার ৪০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সড়কেও টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।
পোশাক শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পোশাক কারখানায় নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সমান অধিকার নিশ্চিত করা, হাজিরা বোনাস এবং টিফিন বিল বাড়িয়ে আজ থেকে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার সব কারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজিএমইএ। সকাল থেকে কারখানার শ্রমিকেরা নির্ধারিত সময়ে তাদের কর্মস্থলে যোগ দেন। গত কয়েক দিনের অশান্ত পরিবেশ আজ শান্ত।
আশুলিয়ার শিল্প পুলিশ-১ ও তৈরি পোশাক কারখানা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বেতন ও হাজিরা বোনাস দেওয়া, টিফিন বিল বৃদ্ধি এবং শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ কিছু দাবিতে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্প এলাকায় কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন। কোথাও কোথাও আন্দোলন রূপ নিচ্ছিল সহিংসতায়। সব মিলিয়ে এক অস্থির পরিস্থিতি পার করছিল পোশাক খাত।
বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের বনিবনা না হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গতকাল সোমবার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ৯০টি কারখানায় ছুটি ছিল। তবে এ সময়ে কোথাও বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত কয়েক দিন ধরেই মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ ও প্রশাসনসহ পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সোমবার বিজিএমইএ ভবনে বৈঠকে বসেন শ্রমিক-মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ায় এই শিল্প খাতে স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আশা মালিকপক্ষের।
আশুলিয়ার রাবাব গ্রুপের ফাউন্টেইন গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড কারখানার এমব্রয়ডারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিজানুর রহমান সুমন বলেন, ‘এত দিন অস্থিরতা বিরাজ করছিল, আমরাও উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। বিজিএমইএ ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়েছে, শ্রমিকরাও ভালো সাড়া দিয়েছে। আমাদের কারখানা তো খোলা হয়েছেই। বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। পোশাক শিল্প নিয়ে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল, আমার মনে হয় সেটা কেটে গিয়েছে। এখন আমরা পূর্ণোদ্যমে কাজ করতে পারব।’
একই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ম্যানেজার (মানবসম্পদ বিভাগ) আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিএমইএ গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো মেনে নিয়েছে। আজ বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি এখনো আশপাশের কিছু কারখানার শ্রমিকেরা অন্য দাবি তুলছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু শ্রমিকদের তুলনায় সেটা অপ্রতুল। আমাদের অনুরোধ থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও বেশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে বিষয়টাকে যেন শিথিল পর্যায়ে নিয়ে আসে। আমরা সবাই চাই একটি সুন্দর, স্বাভাবিক দেশ। এটা নিশ্চিত করতে আমাদের সব পক্ষকেই মিলেমিশে কাজ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তৃতীয় পক্ষ এর ভেতরে ঢুকে কোনো সুযোগ-সুবিধা না নিতে পারে।
এদিকে, বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের বনিবনা না হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আজও প্রায় ৪০টি কারখানায় ছুটি দিয়েছে কারখানা মালিকেরা। তবে এ সময়ে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলতার খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন বলেন, ‘গতকাল বিজিএমইএ বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আজকে অধিকাংশ কারখানা সচল রয়েছে। কিছু কারখানা আগে থেকে বন্ধ রয়েছে। কিছু কারখানায় শ্রমিকেরা অভ্যন্তরীণ কিছু দাবিতে কাজ বন্ধ করে ভেতরে বসে আছে। এমনিতে পরিস্থিতি ভালোই মনে হচ্ছে। বিজিএমইএর সিদ্ধান্ত যেটা হয়েছে শ্রমিকেরা এর অনেক কিছুই মেনে নিয়েছে। এখন থেকে নারী-পুরুষ বৈষম্যও থাকবে না। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর কারণে শ্রমিকরাও কাজে ফিরেছে।’
র্যাব ৪ সিপিসি-২–এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান বলেন, ‘পোশাক খাতে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা গত কয়েক দিন ধরেই টানা কাজ করে যাচ্ছি। র্যাব-৪ এর মোট ১৩টি টহল গাড়ি এখানে রয়েছে। এ ছাড়া বিজিবি, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ কাজ করছে। আজকে বাইপাইল, ইপিজেড, আশুলিয়া, সাভার, জিরানীসহ পুরো এলাকায় যৌথ বাহিনী কাজ করছে। পরিস্থিতি আজ অনেকটাই স্বাভাবিক। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
শিল্প পুলিশ-১ (আশুলিয়া) এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। কাজ চলছে। আগের ১৯টি কারখানা বন্ধ ছিল। আর আজ ২১টি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ করছে না। সব মিলিয়ে ৪০টি কারখানায় কাজ বন্ধ রয়েছে। এখানে কোনো সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

সাভার-আশুলিয়ার বেশির ভাগ শিল্প কারখানায় আজ মঙ্গলবার কার্যক্রম চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে শিল্পাঞ্চলে। তবে নানা কারণে এই এলাকার ৪০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সড়কেও টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।
পোশাক শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পোশাক কারখানায় নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সমান অধিকার নিশ্চিত করা, হাজিরা বোনাস এবং টিফিন বিল বাড়িয়ে আজ থেকে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার সব কারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজিএমইএ। সকাল থেকে কারখানার শ্রমিকেরা নির্ধারিত সময়ে তাদের কর্মস্থলে যোগ দেন। গত কয়েক দিনের অশান্ত পরিবেশ আজ শান্ত।
আশুলিয়ার শিল্প পুলিশ-১ ও তৈরি পোশাক কারখানা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বেতন ও হাজিরা বোনাস দেওয়া, টিফিন বিল বৃদ্ধি এবং শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ কিছু দাবিতে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্প এলাকায় কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন। কোথাও কোথাও আন্দোলন রূপ নিচ্ছিল সহিংসতায়। সব মিলিয়ে এক অস্থির পরিস্থিতি পার করছিল পোশাক খাত।
বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের বনিবনা না হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গতকাল সোমবার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ৯০টি কারখানায় ছুটি ছিল। তবে এ সময়ে কোথাও বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত কয়েক দিন ধরেই মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ ও প্রশাসনসহ পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সোমবার বিজিএমইএ ভবনে বৈঠকে বসেন শ্রমিক-মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ায় এই শিল্প খাতে স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আশা মালিকপক্ষের।
আশুলিয়ার রাবাব গ্রুপের ফাউন্টেইন গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড কারখানার এমব্রয়ডারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিজানুর রহমান সুমন বলেন, ‘এত দিন অস্থিরতা বিরাজ করছিল, আমরাও উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। বিজিএমইএ ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়েছে, শ্রমিকরাও ভালো সাড়া দিয়েছে। আমাদের কারখানা তো খোলা হয়েছেই। বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। পোশাক শিল্প নিয়ে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল, আমার মনে হয় সেটা কেটে গিয়েছে। এখন আমরা পূর্ণোদ্যমে কাজ করতে পারব।’
একই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ম্যানেজার (মানবসম্পদ বিভাগ) আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিএমইএ গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো মেনে নিয়েছে। আজ বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি এখনো আশপাশের কিছু কারখানার শ্রমিকেরা অন্য দাবি তুলছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু শ্রমিকদের তুলনায় সেটা অপ্রতুল। আমাদের অনুরোধ থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও বেশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে বিষয়টাকে যেন শিথিল পর্যায়ে নিয়ে আসে। আমরা সবাই চাই একটি সুন্দর, স্বাভাবিক দেশ। এটা নিশ্চিত করতে আমাদের সব পক্ষকেই মিলেমিশে কাজ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তৃতীয় পক্ষ এর ভেতরে ঢুকে কোনো সুযোগ-সুবিধা না নিতে পারে।
এদিকে, বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের বনিবনা না হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আজও প্রায় ৪০টি কারখানায় ছুটি দিয়েছে কারখানা মালিকেরা। তবে এ সময়ে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলতার খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন বলেন, ‘গতকাল বিজিএমইএ বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আজকে অধিকাংশ কারখানা সচল রয়েছে। কিছু কারখানা আগে থেকে বন্ধ রয়েছে। কিছু কারখানায় শ্রমিকেরা অভ্যন্তরীণ কিছু দাবিতে কাজ বন্ধ করে ভেতরে বসে আছে। এমনিতে পরিস্থিতি ভালোই মনে হচ্ছে। বিজিএমইএর সিদ্ধান্ত যেটা হয়েছে শ্রমিকেরা এর অনেক কিছুই মেনে নিয়েছে। এখন থেকে নারী-পুরুষ বৈষম্যও থাকবে না। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর কারণে শ্রমিকরাও কাজে ফিরেছে।’
র্যাব ৪ সিপিসি-২–এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান বলেন, ‘পোশাক খাতে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা গত কয়েক দিন ধরেই টানা কাজ করে যাচ্ছি। র্যাব-৪ এর মোট ১৩টি টহল গাড়ি এখানে রয়েছে। এ ছাড়া বিজিবি, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ কাজ করছে। আজকে বাইপাইল, ইপিজেড, আশুলিয়া, সাভার, জিরানীসহ পুরো এলাকায় যৌথ বাহিনী কাজ করছে। পরিস্থিতি আজ অনেকটাই স্বাভাবিক। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
শিল্প পুলিশ-১ (আশুলিয়া) এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘বেশির ভাগ কারখানাই খুলেছে। কাজ চলছে। আগের ১৯টি কারখানা বন্ধ ছিল। আর আজ ২১টি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ করছে না। সব মিলিয়ে ৪০টি কারখানায় কাজ বন্ধ রয়েছে। এখানে কোনো সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
২৫ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামে মো. জহির ও খলিলুর রহমানের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
টেঁটাবিদ্ধ সিরাজদিখান থানার এসআই হাফিজুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাটি কাটা নিয়ে কংশপুরা গ্রামের খলিলুর রহমান ও পূর্ব রামকৃষ্ণদি গ্রামের মো. জহিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কংশপুরা গ্রামে দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সংঘর্ষ থামাতে সিরাজদিখান থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে এসআই হাফিজুর হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাহানারা আক্তার বলেন, পুলিশের এসআইয়ের ডান হাতে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘জহিরের অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়ায় লোকজন নিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয়েছে। আমার কয়েকজন লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।’
এদিকে মো. জহির বলেন, ‘খলিলের সঙ্গে আমার বিরোধ অনেক আগের। আজকের ঘটনায় আমি জড়িত নই।’
লতব্দী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন খান খোকন বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটা ও ভরাটকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আজকের ঘটনায় কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে মামলা দায়ের করা হবে।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামে মো. জহির ও খলিলুর রহমানের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
টেঁটাবিদ্ধ সিরাজদিখান থানার এসআই হাফিজুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাটি কাটা নিয়ে কংশপুরা গ্রামের খলিলুর রহমান ও পূর্ব রামকৃষ্ণদি গ্রামের মো. জহিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কংশপুরা গ্রামে দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সংঘর্ষ থামাতে সিরাজদিখান থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে এসআই হাফিজুর হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাহানারা আক্তার বলেন, পুলিশের এসআইয়ের ডান হাতে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘জহিরের অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়ায় লোকজন নিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয়েছে। আমার কয়েকজন লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।’
এদিকে মো. জহির বলেন, ‘খলিলের সঙ্গে আমার বিরোধ অনেক আগের। আজকের ঘটনায় আমি জড়িত নই।’
লতব্দী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন খান খোকন বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটা ও ভরাটকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আজকের ঘটনায় কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে মামলা দায়ের করা হবে।

সাভার-আশুলিয়ার বেশির ভাগ শিল্প কারখানায় আজ কার্যক্রম চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে শিল্পাঞ্চলে। তবে নানা কারণে এই এলাকার ৪০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
২৫ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শুক্রবার রাত ৬টা ১৫ মিনিট) পরিবারের সদস্যদের পঞ্চগড়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা জানান নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীর ভাই মামুনুর রশীদ মামুন। মোবাইল ফোনে তিনি জানান, পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতা দেখে তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন লাশটি তাঁর বোনের স্বামীর।
জানতে চাইলে পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য থানায় রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা থানায় পৌঁছালে সেটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। এরপর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আক্তারুজ্জামান চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের জামলতা গ্রামের মৃত আনিচুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি খুলনা রেঞ্জের বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, লাশটির দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে লাশটির কোনো তথ্য না থাকায় জানার জন্য চেষ্টা করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা। ক্লুলেস লাশটির পরিচয় শনাক্তে একমাত্র সূত্র হয় উদ্ধার করা লাশের আন্ডারওয়্যার।
যা ছিল পুলিশের লোগো-সংবলিত। পরে সেটি একজন পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হলে তাঁর পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতার ছবি নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীকে নিয়ে দেখালে তিনি তাঁর স্বামীর পোশাক বলে শনাক্ত করেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর নিহত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী শাহিনা আক্তার শিমা চৌগাছা থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী-সন্তানসহ চৌগাছা শহরের ইছাপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আক্তারুজ্জামান। গত ২৬ নভেম্বর পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। পরদিন ২৭ নভেম্বর সকালে মহেশপুর যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান।
এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি।
জিডিতে শাহিনা আক্তার শিমা বলেন, ‘তিন দিন ধরে কোথাও স্বামীর সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।’ তিনি জানান, আক্তারুজ্জামান তাঁর ব্যবহৃত দুটি ফোন বাসায় রেখে গিয়েছেন। ফলে কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।

যশোরের চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শুক্রবার রাত ৬টা ১৫ মিনিট) পরিবারের সদস্যদের পঞ্চগড়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা জানান নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীর ভাই মামুনুর রশীদ মামুন। মোবাইল ফোনে তিনি জানান, পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতা দেখে তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন লাশটি তাঁর বোনের স্বামীর।
জানতে চাইলে পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য থানায় রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা থানায় পৌঁছালে সেটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। এরপর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আক্তারুজ্জামান চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের জামলতা গ্রামের মৃত আনিচুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি খুলনা রেঞ্জের বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, লাশটির দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে লাশটির কোনো তথ্য না থাকায় জানার জন্য চেষ্টা করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা। ক্লুলেস লাশটির পরিচয় শনাক্তে একমাত্র সূত্র হয় উদ্ধার করা লাশের আন্ডারওয়্যার।
যা ছিল পুলিশের লোগো-সংবলিত। পরে সেটি একজন পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হলে তাঁর পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতার ছবি নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীকে নিয়ে দেখালে তিনি তাঁর স্বামীর পোশাক বলে শনাক্ত করেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর নিহত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী শাহিনা আক্তার শিমা চৌগাছা থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী-সন্তানসহ চৌগাছা শহরের ইছাপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আক্তারুজ্জামান। গত ২৬ নভেম্বর পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। পরদিন ২৭ নভেম্বর সকালে মহেশপুর যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান।
এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি।
জিডিতে শাহিনা আক্তার শিমা বলেন, ‘তিন দিন ধরে কোথাও স্বামীর সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।’ তিনি জানান, আক্তারুজ্জামান তাঁর ব্যবহৃত দুটি ফোন বাসায় রেখে গিয়েছেন। ফলে কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।

সাভার-আশুলিয়ার বেশির ভাগ শিল্প কারখানায় আজ কার্যক্রম চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে শিল্পাঞ্চলে। তবে নানা কারণে এই এলাকার ৪০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৬৮ নম্বরের ৩ নম্বর উপপিলারের একপাশে ভারতীয় কোচবিহার রাজ্যের মাথাভাঙ্গা থানার বালারহাট এলাকা এবং অন্যপাশে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ও জোংড়া ইউনিয়ন সীমান্তের মোহাম্মদপুর ককোয়াবাড়ী এলাকা। কাঁটাতারবিহীন ওই সীমান্ত এলাকার ভারতের প্রায় ৪০০ গজ অভ্যন্তরে বালারহাট এলাকায় পার্শ্ববর্তী বন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে একটি বাঘ লোকালয়ে চলে আসে। এ সময় ভারতের স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা বাঘটিকে ধাওয়া দিলে বাঘটি পালিয়ে যায়। সীমান্তে বাঘ আসায় এই শোরগোলের খবর ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শ্রীমুখ ক্যাম্পের বিএসএফের টহল দলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) নাজিরগোমানী ক্যাম্পের টহল দল জানতে পারে। এ ঘটনায় রাতে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সীমান্তবাসীদের সতর্ক থাকতে বলে বিজিবি।
এক সপ্তাহ আগেও ভারতের ওই গ্রামে দুটি বাঘ এসেছিল। স্থানীয় বন বিভাগের লোকজনের সহায়তায় একটি বাঘ আটক করা হয় এবং অপর বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ককোয়াবাড়ী এলাকার আবেদা বেগম (৫৫) বলেন, ‘বিজিবি মাইকে বলেছে এটা শুনেছি। বাঘ দেখিনি, তবে এতে ভয় লাগে।’
একই এলাকার ওয়াদুদ হোসেন বলেন, ‘রাতের বেলা ভারতে চিল্লাচিল্লিতে আমরা খবর পাই বাঘ নাকি বের হয়েছে, পিটাপিটি (ধাওয়া) করেছে। ওই সময় শুনি বাঘ বাংলাদেশেও ঢুকতে পাড়ে। এতে এলাকাবাসী ভয় পেয়ে সতর্ক হয়।’
এ ব্যাপারে নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের (সিও) মোবাইল নম্বরে কল দিলে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে বিজিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ‘বাঘ তো বাংলাদেশে আসেনি। কেউ দেখেওনি। সীমান্তে এ ব্যাপারে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘটনাটি তিলকে তাল বানানো হয়েছে।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৬৮ নম্বরের ৩ নম্বর উপপিলারের একপাশে ভারতীয় কোচবিহার রাজ্যের মাথাভাঙ্গা থানার বালারহাট এলাকা এবং অন্যপাশে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ও জোংড়া ইউনিয়ন সীমান্তের মোহাম্মদপুর ককোয়াবাড়ী এলাকা। কাঁটাতারবিহীন ওই সীমান্ত এলাকার ভারতের প্রায় ৪০০ গজ অভ্যন্তরে বালারহাট এলাকায় পার্শ্ববর্তী বন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে একটি বাঘ লোকালয়ে চলে আসে। এ সময় ভারতের স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা বাঘটিকে ধাওয়া দিলে বাঘটি পালিয়ে যায়। সীমান্তে বাঘ আসায় এই শোরগোলের খবর ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শ্রীমুখ ক্যাম্পের বিএসএফের টহল দলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) নাজিরগোমানী ক্যাম্পের টহল দল জানতে পারে। এ ঘটনায় রাতে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সীমান্তবাসীদের সতর্ক থাকতে বলে বিজিবি।
এক সপ্তাহ আগেও ভারতের ওই গ্রামে দুটি বাঘ এসেছিল। স্থানীয় বন বিভাগের লোকজনের সহায়তায় একটি বাঘ আটক করা হয় এবং অপর বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ককোয়াবাড়ী এলাকার আবেদা বেগম (৫৫) বলেন, ‘বিজিবি মাইকে বলেছে এটা শুনেছি। বাঘ দেখিনি, তবে এতে ভয় লাগে।’
একই এলাকার ওয়াদুদ হোসেন বলেন, ‘রাতের বেলা ভারতে চিল্লাচিল্লিতে আমরা খবর পাই বাঘ নাকি বের হয়েছে, পিটাপিটি (ধাওয়া) করেছে। ওই সময় শুনি বাঘ বাংলাদেশেও ঢুকতে পাড়ে। এতে এলাকাবাসী ভয় পেয়ে সতর্ক হয়।’
এ ব্যাপারে নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের (সিও) মোবাইল নম্বরে কল দিলে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে বিজিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ‘বাঘ তো বাংলাদেশে আসেনি। কেউ দেখেওনি। সীমান্তে এ ব্যাপারে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘটনাটি তিলকে তাল বানানো হয়েছে।’

সাভার-আশুলিয়ার বেশির ভাগ শিল্প কারখানায় আজ কার্যক্রম চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে শিল্পাঞ্চলে। তবে নানা কারণে এই এলাকার ৪০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
২৫ মিনিট আগে
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় হাদির মরদেহ নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ অন্যরা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় হাদির মরদেহ নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ অন্যরা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

সাভার-আশুলিয়ার বেশির ভাগ শিল্প কারখানায় আজ কার্যক্রম চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে শিল্পাঞ্চলে। তবে নানা কারণে এই এলাকার ৪০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
২৫ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগে