নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
২২ বছরেও নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের অফিসে বোমা হামলা মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি। সেদিন শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ২০ জন। আহত হন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ আরও অর্ধশত নেতা-কর্মী। যাঁদের অনেকেই হাত-পা হারিয়ে এখনো পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে আছেন।
২০০১ সালের ১৬ জুন ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সংসদ সদস্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে চাষাঢ়ায় দলীয় কার্যালয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই উড়ে যায় অফিসের টিনের চাল। হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বহু মানুষের। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরদিন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বাদী হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, ঢাকা সিটি করপোরেশনের কমিশনার আরিফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের নেতা শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানসহ ১০ জন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালে বিস্ফোরণ ও হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা। আসামি করা হয় ভারতে আটক জঙ্গি নেতা দুই ভাই মোরসালিন ও মোত্তাকীন, মুফতি হান্নান, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, যুবদলের নেতা শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল ও ওবায়দুল হককে।
কারাগারে আছেন যুবদলের নেতা শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল। পলাতক রয়েছেন দুই ভাই আনিসুল মোরছালিন ও মাহাবুবুল মুত্তাকিম। জামিনে আছেন কাউন্সিলর শকু।
হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে অন্য একটি মামলায়। এ ছাড়া ওবায়দুল হকের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি পলাতক নাকি মৃত, তা জানেন না কেউ। বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে না আসায় বিচারকাজ স্থবির হয়ে আছে।
মামলার বাদী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বলেন, ‘মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান রয়েছে। বেশ কিছু সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। মূলত শামীম ওসমানকে হত্যা করার জন্যই এই হামলা সংঘটিত হয়েছিল। দ্রুত সময়ে বিচার হবে বলে প্রত্যাশা রাখছি।’
বোমা হামলায় পঙ্গুত্ব বরণ করা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীল বলেন, ‘ভারতে থাকা দুই ভাই আনিসুল মোরসালিন ও মুহিবুল মোত্তাকিনকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি। এ ঘটনার পেছনে মাস্টারমাইন্ড কারা? তাদের খুঁজে বের করা দরকার। দ্রুত যেন এই মামলার বিচার পাই সেই দাবি জানাচ্ছি।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, ‘এই মামলার ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর অল্প কিছু সাক্ষী বাকি রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে। আসামিদের মধ্যে মোরসালিন ও মোত্তাকিন একটি মামলায় ভারতে রয়েছেন। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের দেশে আনতে হবে।’
২২ বছরেও নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের অফিসে বোমা হামলা মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি। সেদিন শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ২০ জন। আহত হন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ আরও অর্ধশত নেতা-কর্মী। যাঁদের অনেকেই হাত-পা হারিয়ে এখনো পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে আছেন।
২০০১ সালের ১৬ জুন ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সংসদ সদস্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে চাষাঢ়ায় দলীয় কার্যালয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই উড়ে যায় অফিসের টিনের চাল। হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বহু মানুষের। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরদিন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বাদী হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, ঢাকা সিটি করপোরেশনের কমিশনার আরিফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের নেতা শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানসহ ১০ জন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালে বিস্ফোরণ ও হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা। আসামি করা হয় ভারতে আটক জঙ্গি নেতা দুই ভাই মোরসালিন ও মোত্তাকীন, মুফতি হান্নান, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, যুবদলের নেতা শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল ও ওবায়দুল হককে।
কারাগারে আছেন যুবদলের নেতা শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল। পলাতক রয়েছেন দুই ভাই আনিসুল মোরছালিন ও মাহাবুবুল মুত্তাকিম। জামিনে আছেন কাউন্সিলর শকু।
হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে অন্য একটি মামলায়। এ ছাড়া ওবায়দুল হকের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি পলাতক নাকি মৃত, তা জানেন না কেউ। বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে না আসায় বিচারকাজ স্থবির হয়ে আছে।
মামলার বাদী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বলেন, ‘মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান রয়েছে। বেশ কিছু সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। মূলত শামীম ওসমানকে হত্যা করার জন্যই এই হামলা সংঘটিত হয়েছিল। দ্রুত সময়ে বিচার হবে বলে প্রত্যাশা রাখছি।’
বোমা হামলায় পঙ্গুত্ব বরণ করা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীল বলেন, ‘ভারতে থাকা দুই ভাই আনিসুল মোরসালিন ও মুহিবুল মোত্তাকিনকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি। এ ঘটনার পেছনে মাস্টারমাইন্ড কারা? তাদের খুঁজে বের করা দরকার। দ্রুত যেন এই মামলার বিচার পাই সেই দাবি জানাচ্ছি।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, ‘এই মামলার ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর অল্প কিছু সাক্ষী বাকি রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে। আসামিদের মধ্যে মোরসালিন ও মোত্তাকিন একটি মামলায় ভারতে রয়েছেন। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের দেশে আনতে হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক মানববন্ধনে তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
৪ মিনিট আগেপদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির অভিযোগে একজন সিনিয়র সহকারী সচিব ও দুই সার্ভেয়ারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণের প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে...
২১ মিনিট আগেকুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় গোমতী নদীর চর থেকে মাটি কাটার অভিযোগে সাতটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ বুধবার ভোররাত ৬টা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান এই অভিযান চালান।
২৯ মিনিট আগেকারাগারে বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে আসা স্বজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও কারারক্ষীদের দুর্ব্যবহারে দর্শনার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে