রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বন্ধ হচ্ছে না প্লাস্টিক দূষণ: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ৪২
Thumbnail image

রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহারের প্রসার ও দূষণ রোধ করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আজ বুধবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘প্লাস্টিক এবং পরিবেশ’ বিষয়ে একটি আলোচনায় ‘সাসটেইনেবিলিটি শর্টস’ শীর্ষক কার্যক্রমে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্লাস্টিক দূষণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে স্বনামধন্য স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো মিলে গঠন করেছে ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্স’ (বিএমএ)। গত বছর নভেম্বরে বিএমএ-এর যাত্রা শুরু।

আলোচনায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্লাস্টিক কোনো সস্তা পণ্য নয়। আপাতদৃষ্টিতে সস্তা মনে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এর ক্ষতিকর প্রভাবটি বিপুল। প্লাস্টিক পণ্যের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে দেশের বিদ্যমান আইনগুলো ইতিবাচক। তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ এবং বর্জ্যব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এর পাশাপাশি বাজার মনিটরিং-এর অভাব এবং প্লাস্টিক বর্জ্যব্যবস্থাপনায় বাজেট স্বল্পতাকেও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

দেশে প্রতিদিন ৩ হাজার কারখানায় ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন হচ্ছে বলে উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, একবার ব্যবহারযোগ্য পলিথিনের ব্যাগের পরিবর্তে হাট-বাজারে ও পণ্যের প্যাকেজিং-এ পরিবেশবান্ধব দেশীয় উপাদান যেমন পাট, কাপড় ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষা পাবে, অন্যদিকে দেশীয় পণ্যের প্রসার ঘটবে।

তিনি বলেন, ২০০৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মাথাপিছু প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার ৩ কেজি থেকে বেড়ে ৯ কেজি হয়েছে। এই প্লাস্টিক ও পলিথিনের একটি বড় অংশই মাটিতে এবং নদনদীতে গিয়ে জড়ো হচ্ছে। শিশুদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ মায়ের দুধেও প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নদ-নদীর মাছ, চিনি, লবণ ও পানিতেও পাওয়া গেছে ক্ষতিকর প্লাস্টিক।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, বিএমএ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ে সবার কথা আমরা শুনতে চাই, সকলকে এখানে যুক্ত করতে চাই। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘সাসটেইনেবিলিটি শর্টস’-এর উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রশ্ন-উত্তর পর্বটি সঞ্চালনা করেন আসিফ সালেহ্। এই পর্বে ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেস, প্রাণ-আরএফএল, ম্যারিকো বাংলাদেশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং জলবায়ু ইস্যুতে সক্রিয় তরুণ কর্মীরা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত