অরূপ রায়, সাভার (ঢাকা)
‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে এখানে আবর্জনা ফেলা সম্পূর্ণ নিষেধ, আদেশক্রমে এলাকাবাসী’—এ রকম লেখাসংবলিত একটি সাইনবোর্ডের দেখা মেলে ঢাকার সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসংলগ্ন মডেল মসজিদের পাশে। এখানে কয়েক বছর আগেও মাছের চাষ হতো। কিন্তু পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে ফেলতে জায়গাটি ভরাট করে ফেলেছেন। সেই ময়লার স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ওই পথের যাত্রী এবং আশপাশের বাসিন্দারা।
সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার ছোটবলিমেহের মৌজায় সরকারের হেফাজতে থাকা ৯ একর ২৪ শতাংশ পরিত্যক্ত ভূমি ১৯৭২ সালে সাভার হর্টিকালচার সেন্টারকে লিজ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২ একর ৬৫ শতাংশ ভূমি ছিল জলাশয়। প্রায় চার বছর আগে জলাশয়ের ৪৩ শতাংশ ভরাট করে নির্মাণ করা হয় মডেল মসজিদ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। এর পরপরই পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জলাশয়ের বাকি অংশে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে শুরু করেন।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় জলাশয়টি ভরাট হয়ে এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সেখান থেকে ছড়ানো উৎকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এলাকার লোকজন সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে মডেল মসজিদের পাশে প্রস্তাবিত সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সাইনবোর্ড দেখা যায়। ওই সাইনবোর্ডের নিচেই ঝুলছিল এলাকাবাসীর নোটিশ। একই রকম আরও কয়েকটি নোটিশ চোখে পড়ে ভাগাড়ের বিভিন্ন স্থানে।
নোটিশ টাঙানোর পরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়েছে কি না—জানতে চাইলে ওই দিন (মঙ্গলবার) মডেল মসজিদের পাশের চায়ের দোকানি রহিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাবলিকের নোটিশে কোনো কাম অয় নাই। সারা দিনই তারা (পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা) ময়লা ফালাইতাচে।’
রহিমার কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত বুধবার সকালে গিয়ে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সেখানে আবর্জনা ফেলতে দেখা যায়। তাঁরা রিকশাভ্যানে করে ময়লা-আবর্জনা এনে সেগুলো মহাসড়কসহ ভরাট হওয়া জলাশয়ের অংশেও ফেলছিলেন।
মডেল মসজিদের পাশে যে ময়লা-আবর্জনা রয়েছে, তা অপসারণ করা হবে। নতুন করে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হলেও তা সাময়িক সময়ের জন্য। সিকদার মো. আব্দুর রব, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা, সাভার পৌরসভা
জানতে চাইলে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী সোহবান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা হুকুমের গোলাম। আমাগো যা কইব, আমরা তাই করুম। স্যারেরা কইচে, তাই আমরা এইহানে ময়লা ফালাইতাচি। তারা না করলে আমরা ফালামু না।’
মডেল মসজিদের পাশের এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর সাভার পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের কাজে অনেকটা স্থবিরতা দেখা দেয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক বিষয়েই ছাত্র-জনতা ভূমিকা রাখছিলেন। মূলত এই চেতনা থেকে আবর্জনা ফেলা বন্ধে ভূমিকা রাখতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নোটিশটি টাঙানো হয়েছিল। এতে কিছুদিন কাজও হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবার সেখানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। আমরা এখন আর কেউ প্রতিবাদ করছি না। কারণ, আমাদের কয়েক দিন আগের সেই স্পিরিটটা এখন আর নেই।’
জানতে চাইলে সাভার পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সিকদার মো. আব্দুর রব বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য আমাদের কোনো ডাম্পিং স্টেশন নেই। এ কারণে পুরো পৌর এলাকায় অন্তত এক হাজার টন আবর্জনা জমে আছে। কয়েক দিন হয় সাভারের বিরুলিয়ায় এক টুকরো খাসজমিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে তিন দিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।’
সিকদার মো. আব্দুর রব আরও বলেন, ‘মডেল মসজিদের পাশে যে ময়লা-আবর্জনা রয়েছে, তা অপসারণ করা হবে। নতুন করে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হলেও তা সাময়িক সময়ের জন্য। স্থায়ীভাবে আর স্তূপ করে রাখা হবে না।’
‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে এখানে আবর্জনা ফেলা সম্পূর্ণ নিষেধ, আদেশক্রমে এলাকাবাসী’—এ রকম লেখাসংবলিত একটি সাইনবোর্ডের দেখা মেলে ঢাকার সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসংলগ্ন মডেল মসজিদের পাশে। এখানে কয়েক বছর আগেও মাছের চাষ হতো। কিন্তু পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে ফেলতে জায়গাটি ভরাট করে ফেলেছেন। সেই ময়লার স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ওই পথের যাত্রী এবং আশপাশের বাসিন্দারা।
সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার ছোটবলিমেহের মৌজায় সরকারের হেফাজতে থাকা ৯ একর ২৪ শতাংশ পরিত্যক্ত ভূমি ১৯৭২ সালে সাভার হর্টিকালচার সেন্টারকে লিজ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২ একর ৬৫ শতাংশ ভূমি ছিল জলাশয়। প্রায় চার বছর আগে জলাশয়ের ৪৩ শতাংশ ভরাট করে নির্মাণ করা হয় মডেল মসজিদ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। এর পরপরই পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জলাশয়ের বাকি অংশে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে শুরু করেন।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় জলাশয়টি ভরাট হয়ে এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সেখান থেকে ছড়ানো উৎকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এলাকার লোকজন সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে মডেল মসজিদের পাশে প্রস্তাবিত সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সাইনবোর্ড দেখা যায়। ওই সাইনবোর্ডের নিচেই ঝুলছিল এলাকাবাসীর নোটিশ। একই রকম আরও কয়েকটি নোটিশ চোখে পড়ে ভাগাড়ের বিভিন্ন স্থানে।
নোটিশ টাঙানোর পরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়েছে কি না—জানতে চাইলে ওই দিন (মঙ্গলবার) মডেল মসজিদের পাশের চায়ের দোকানি রহিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাবলিকের নোটিশে কোনো কাম অয় নাই। সারা দিনই তারা (পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা) ময়লা ফালাইতাচে।’
রহিমার কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত বুধবার সকালে গিয়ে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সেখানে আবর্জনা ফেলতে দেখা যায়। তাঁরা রিকশাভ্যানে করে ময়লা-আবর্জনা এনে সেগুলো মহাসড়কসহ ভরাট হওয়া জলাশয়ের অংশেও ফেলছিলেন।
মডেল মসজিদের পাশে যে ময়লা-আবর্জনা রয়েছে, তা অপসারণ করা হবে। নতুন করে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হলেও তা সাময়িক সময়ের জন্য। সিকদার মো. আব্দুর রব, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা, সাভার পৌরসভা
জানতে চাইলে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী সোহবান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা হুকুমের গোলাম। আমাগো যা কইব, আমরা তাই করুম। স্যারেরা কইচে, তাই আমরা এইহানে ময়লা ফালাইতাচি। তারা না করলে আমরা ফালামু না।’
মডেল মসজিদের পাশের এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর সাভার পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের কাজে অনেকটা স্থবিরতা দেখা দেয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক বিষয়েই ছাত্র-জনতা ভূমিকা রাখছিলেন। মূলত এই চেতনা থেকে আবর্জনা ফেলা বন্ধে ভূমিকা রাখতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নোটিশটি টাঙানো হয়েছিল। এতে কিছুদিন কাজও হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবার সেখানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। আমরা এখন আর কেউ প্রতিবাদ করছি না। কারণ, আমাদের কয়েক দিন আগের সেই স্পিরিটটা এখন আর নেই।’
জানতে চাইলে সাভার পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সিকদার মো. আব্দুর রব বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য আমাদের কোনো ডাম্পিং স্টেশন নেই। এ কারণে পুরো পৌর এলাকায় অন্তত এক হাজার টন আবর্জনা জমে আছে। কয়েক দিন হয় সাভারের বিরুলিয়ায় এক টুকরো খাসজমিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে তিন দিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।’
সিকদার মো. আব্দুর রব আরও বলেন, ‘মডেল মসজিদের পাশে যে ময়লা-আবর্জনা রয়েছে, তা অপসারণ করা হবে। নতুন করে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হলেও তা সাময়িক সময়ের জন্য। স্থায়ীভাবে আর স্তূপ করে রাখা হবে না।’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
৭ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে নেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা অবসানের পর শুরু হচ্ছে নতুন ধাপ, এতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পান্থকুঞ্জ থেকে বুয়েট পর্যন্ত অংশ।
১ ঘণ্টা আগেথানা হলো জনসাধারণকে সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্রস্থল। পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। আমরা সম্মানিত নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। থানায় আসা একজন ব্যক্তিও যেন সেবা বঞ্চিত না হন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে...
২ ঘণ্টা আগে