সৌগত বসু, ঢাকা
রাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে নেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা অবসানের পর শুরু হচ্ছে নতুন ধাপ, এতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পান্থকুঞ্জ থেকে বুয়েট পর্যন্ত অংশ। ঢাকায় অপর প্রকল্প আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজও চলছে। দুই প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নতুন গতি ও দ্রুত কাজ শেষের আশা শোনাচ্ছেন।
অর্থায়ন নিয়ে জটিলতার কারণে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১২ বছর ও আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ৭ বছর ধরে ধুঁকছে। এ পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেডের কাজ হয়েছে ৭৫ শতাংশ এবং আশুলিয়া প্রকল্পের ৩৫ শতাংশ। অবশ্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো কাজ সম্পন্ন এবং সুশাসন নিশ্চিত হলে এই প্রকল্পগুলো ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারত। জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, পিপিপি প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ হলে বিনিয়োগকারীরা টোল আদায়ের মাধ্যমে তাঁদের অর্থ তুলে নিতে পারেন। তবে বাংলাদেশের পিপিপি প্রকল্পগুলোতে ঋণ ছাড়ে জটিলতা এবং প্রশাসনিক ধোঁয়াশা প্রকল্প দীর্ঘায়িত করে। তিনি বলেন, ঠিকাদারেরা নিয়ম লঙ্ঘন করেও ছাড় পাচ্ছেন। দেশি-বিদেশি আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা থাকলেও তার প্রয়োগ হচ্ছে না। এই সংস্কৃতি বদলাতে হবে।
৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের চুক্তি হয় ২০১১ সালে। কাজ শুরুর কথা ছিল ২০১২ সালে। কিন্তু শুরু হয় ২০২০ সালে। এই এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার এবং র্যাম্পসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এটি কাওলা থেকে শুরু হয়ে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে শেষ হবে। ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রথম অংশ উদ্বোধনের পর ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার (দক্ষিণ কাওলা থেকে ফার্মগেট) খুলে দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২০ মার্চ কারওয়ান বাজারে নামার র্যাম্প চালু করা হয়। তবে এর আগেই হাতিরঝিল অংশের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পিপিপির এই প্রকল্পের তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইতাল থাই সরে গেছে। বাকি দুটি চীনের শেনডং ও সিনো হাইড্রো করপোরেশন যুক্ত রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সূত্র জানায়, তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অংশীদারত্ব (শেয়ার) নিয়ে জটিলতা ও অর্থসংকটে ৯ মাস ধরে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা থাকা ইতাল থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ঋণখেলাপি হয়ে পড়ে এবং গত ২০ অক্টোবর উচ্চ আদালতে এবং সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারে (এসআইএসি) আইনি লড়াইয়ে হেরে গেছে। ইতাল থাইয়ের শেয়ার যাচ্ছে শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের হাতে। শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হলে শেনডংয়ের শেয়ার ৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮৫ শতাংশ হবে। সিনো হাইড্রোর শেয়ার ১৫ শতাংশ। অংশীদারত্ব নিয়ে আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ায় ডিসেম্বরের শুরুতে আবার কাজ শুরু হচ্ছে।
সূত্র বলছে, এবার পান্থকুঞ্জ মোড়ের র্যাম্প ও বুয়েট অংশের র্যাম্পের কাজ আগে হবে। হাতিরঝিল অংশের কাজেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একই সঙ্গে মগবাজার, কমলাপুর হয়ে কুতুবখালী পর্যন্ত অংশের কাজ চলবে।
এই প্রকল্পের পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আখতার গত বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার নিয়ে জটিলতা থাকলেও প্রকল্পের কাজ কখনোই পুরো থেমে থাকেনি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আবার কাজ শুরু হবে। শেয়ার হস্তান্তর এ মাসেই শেষ হবে বলে তাঁর আশা। নির্ধারিত ২০২৫ সালের জুনে পুরো কাজ শেষ করার আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এখন যে অংশে যানবাহন চলছে তা গত দুই বছরে শেষ হয়েছে। আর এ সময়ে প্রকল্পের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। তাই বাকি সাত মাসে ২৫ শতাংশ কাজ শেষ করার চেষ্টা থাকবে।
অর্থ ছাড়ে বিলম্বে ধুঁকছে ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে
২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। ডিপিপি অনুমোদন হয় ওই বছরের ২ নভেম্বর। সে সময় প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। মেয়াদ ধরা হয় ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। ঋণ সহায়তা নিয়ে জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতেই লেগে যায় কয়েক বছর। তাই ২০১৭ সালে শুরু হলেও কাজে গতি আসে ২০২২ সালে। ২০২২ সালের জুনে সংশোধিত ডিপিপিতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এই প্রকল্পের বিষয়ে চীনের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর। ঋণ কার্যকর হয় ২০২২ সালের ১০ মে। কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর। ২ শতাংশ সুদে প্রকল্প ব্যয়ের ৮৫ শতাংশ ঋণ দিচ্ছে চীন (এক্সিম ব্যাংক)। বাকি ১৫ শতাংশ অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
জানা যায়, চলতি বছরের শুরুতে এই প্রকল্পের কমিশন নিয়ে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি করপোরেশন (সিএমসি) ও বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এপিক সলিউশনের মধ্যে বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ২০১৫ সালে কাজ পাওয়ার জন্য সিএমসি ৬ শতাংশ কমিশনের চুক্তি করে এপিক সলিউশনের সঙ্গে। তবে কাজ পেয়েও সিএমসি কমিশন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এই বিরোধে প্রকল্পের কাজে জটিলতা দেখা দেয় ও গতি ধীর হয়।
প্রকল্প সূত্র জানায়, আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। এটি উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টর, আবদুল্লাহপুর, ধউর, আশুলিয়া, জিরাবো, ইপিজেড হয়ে চন্দ্রা বাজারে গিয়ে শেষ হবে। এক্সপ্রেসওয়ের সাতটি স্থানে ১৪টি ওঠানামার র্যাম্প থাকবে। সব র্যাম্প মিলিয়ে মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১১ কিলোমিটার। পাঁচটি টোল প্লাজা থাকবে।
এই প্রকল্পের কাজের কারণে নবীনগর-চন্দ্রা চার লেনের মহাসড়ক সরু হয়ে গেছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত ওই মহাসড়কে তীব্র যানজট লেগেই থাকছে।
আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মাহমুদ ইবনে কাশেম গত বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের কাজ ৩৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। মাঝে জুলাই-আগস্টে ২০ দিনের মতো কাজ বন্ধ ছিল। এখন কোনো সমস্যা নেই। পুরোদমে কাজ চলছে।
রাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে নেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা অবসানের পর শুরু হচ্ছে নতুন ধাপ, এতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পান্থকুঞ্জ থেকে বুয়েট পর্যন্ত অংশ। ঢাকায় অপর প্রকল্প আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজও চলছে। দুই প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নতুন গতি ও দ্রুত কাজ শেষের আশা শোনাচ্ছেন।
অর্থায়ন নিয়ে জটিলতার কারণে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১২ বছর ও আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ৭ বছর ধরে ধুঁকছে। এ পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেডের কাজ হয়েছে ৭৫ শতাংশ এবং আশুলিয়া প্রকল্পের ৩৫ শতাংশ। অবশ্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো কাজ সম্পন্ন এবং সুশাসন নিশ্চিত হলে এই প্রকল্পগুলো ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারত। জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, পিপিপি প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ হলে বিনিয়োগকারীরা টোল আদায়ের মাধ্যমে তাঁদের অর্থ তুলে নিতে পারেন। তবে বাংলাদেশের পিপিপি প্রকল্পগুলোতে ঋণ ছাড়ে জটিলতা এবং প্রশাসনিক ধোঁয়াশা প্রকল্প দীর্ঘায়িত করে। তিনি বলেন, ঠিকাদারেরা নিয়ম লঙ্ঘন করেও ছাড় পাচ্ছেন। দেশি-বিদেশি আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা থাকলেও তার প্রয়োগ হচ্ছে না। এই সংস্কৃতি বদলাতে হবে।
৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের চুক্তি হয় ২০১১ সালে। কাজ শুরুর কথা ছিল ২০১২ সালে। কিন্তু শুরু হয় ২০২০ সালে। এই এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার এবং র্যাম্পসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এটি কাওলা থেকে শুরু হয়ে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে শেষ হবে। ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রথম অংশ উদ্বোধনের পর ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার (দক্ষিণ কাওলা থেকে ফার্মগেট) খুলে দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২০ মার্চ কারওয়ান বাজারে নামার র্যাম্প চালু করা হয়। তবে এর আগেই হাতিরঝিল অংশের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পিপিপির এই প্রকল্পের তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইতাল থাই সরে গেছে। বাকি দুটি চীনের শেনডং ও সিনো হাইড্রো করপোরেশন যুক্ত রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সূত্র জানায়, তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অংশীদারত্ব (শেয়ার) নিয়ে জটিলতা ও অর্থসংকটে ৯ মাস ধরে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা থাকা ইতাল থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ঋণখেলাপি হয়ে পড়ে এবং গত ২০ অক্টোবর উচ্চ আদালতে এবং সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারে (এসআইএসি) আইনি লড়াইয়ে হেরে গেছে। ইতাল থাইয়ের শেয়ার যাচ্ছে শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের হাতে। শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হলে শেনডংয়ের শেয়ার ৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮৫ শতাংশ হবে। সিনো হাইড্রোর শেয়ার ১৫ শতাংশ। অংশীদারত্ব নিয়ে আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ায় ডিসেম্বরের শুরুতে আবার কাজ শুরু হচ্ছে।
সূত্র বলছে, এবার পান্থকুঞ্জ মোড়ের র্যাম্প ও বুয়েট অংশের র্যাম্পের কাজ আগে হবে। হাতিরঝিল অংশের কাজেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একই সঙ্গে মগবাজার, কমলাপুর হয়ে কুতুবখালী পর্যন্ত অংশের কাজ চলবে।
এই প্রকল্পের পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আখতার গত বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার নিয়ে জটিলতা থাকলেও প্রকল্পের কাজ কখনোই পুরো থেমে থাকেনি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আবার কাজ শুরু হবে। শেয়ার হস্তান্তর এ মাসেই শেষ হবে বলে তাঁর আশা। নির্ধারিত ২০২৫ সালের জুনে পুরো কাজ শেষ করার আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এখন যে অংশে যানবাহন চলছে তা গত দুই বছরে শেষ হয়েছে। আর এ সময়ে প্রকল্পের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। তাই বাকি সাত মাসে ২৫ শতাংশ কাজ শেষ করার চেষ্টা থাকবে।
অর্থ ছাড়ে বিলম্বে ধুঁকছে ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে
২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। ডিপিপি অনুমোদন হয় ওই বছরের ২ নভেম্বর। সে সময় প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। মেয়াদ ধরা হয় ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। ঋণ সহায়তা নিয়ে জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতেই লেগে যায় কয়েক বছর। তাই ২০১৭ সালে শুরু হলেও কাজে গতি আসে ২০২২ সালে। ২০২২ সালের জুনে সংশোধিত ডিপিপিতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এই প্রকল্পের বিষয়ে চীনের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর। ঋণ কার্যকর হয় ২০২২ সালের ১০ মে। কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর। ২ শতাংশ সুদে প্রকল্প ব্যয়ের ৮৫ শতাংশ ঋণ দিচ্ছে চীন (এক্সিম ব্যাংক)। বাকি ১৫ শতাংশ অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
জানা যায়, চলতি বছরের শুরুতে এই প্রকল্পের কমিশন নিয়ে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি করপোরেশন (সিএমসি) ও বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এপিক সলিউশনের মধ্যে বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ২০১৫ সালে কাজ পাওয়ার জন্য সিএমসি ৬ শতাংশ কমিশনের চুক্তি করে এপিক সলিউশনের সঙ্গে। তবে কাজ পেয়েও সিএমসি কমিশন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এই বিরোধে প্রকল্পের কাজে জটিলতা দেখা দেয় ও গতি ধীর হয়।
প্রকল্প সূত্র জানায়, আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। এটি উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টর, আবদুল্লাহপুর, ধউর, আশুলিয়া, জিরাবো, ইপিজেড হয়ে চন্দ্রা বাজারে গিয়ে শেষ হবে। এক্সপ্রেসওয়ের সাতটি স্থানে ১৪টি ওঠানামার র্যাম্প থাকবে। সব র্যাম্প মিলিয়ে মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১১ কিলোমিটার। পাঁচটি টোল প্লাজা থাকবে।
এই প্রকল্পের কাজের কারণে নবীনগর-চন্দ্রা চার লেনের মহাসড়ক সরু হয়ে গেছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত ওই মহাসড়কে তীব্র যানজট লেগেই থাকছে।
আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মাহমুদ ইবনে কাশেম গত বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের কাজ ৩৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। মাঝে জুলাই-আগস্টে ২০ দিনের মতো কাজ বন্ধ ছিল। এখন কোনো সমস্যা নেই। পুরোদমে কাজ চলছে।
মূল সড়কে অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় চালকেরা বিক্ষোভ করলে মারধরের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে...
২০ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
২ ঘণ্টা আগে