সর্বাত্মক কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনেও অচলাবস্থা জবিতে

জবি সংবাদদাতা 
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৪, ১৪: ১২
Thumbnail image

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন-সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। এর ফলে সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসহ সব দাপ্তরিক কার্যক্রম। 

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকেই পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝোলানো। যেসব বিভাগ খোলা হয়েছে, সেগুলোর ক্লাসরুমগুলো তালাবদ্ধ। বিভাগে সব শিক্ষকের উপস্থিতিও ছিল না। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য যেসব শিক্ষক ক্যাম্পাসে এসেছেন, তাঁরা নিজ কক্ষে অবস্থান করছেন। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তরগুলোতেও একই অবস্থা। শিক্ষকেরা দুপুর ১২টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও কর্মকর্তারা সকাল থেকেই কর্মবিরতি দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। কিছু কিছু দপ্তরে কর্মচারীদের ঘুমন্ত অবস্থায় দেখা গেছে। এ ছাড়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। 

এদিনও শিক্ষক-কর্মকর্তারা তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময়ের মধ্যে ক্লাস, পরীক্ষা, দাপ্তরিক কার্যক্রম কোনো কিছুই না করার কথা বলছেন তাঁরা। 

জবির বিভিন্ন বিভাগে ঝুলছে তালা। ছবি: আজকের পত্রিকাশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আমরা শিক্ষকেরা যে আন্দোলন করছি, সেটা শুধু আমাদের আন্দোলন নয়, এটা আমাদের শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আন্দোলন। আমরা যারা ১ জুলাইয়ের আগে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করেছি, তারা এই প্রত্যয় স্কিমের কারণে ভুক্তভোগী হব না। ১ জুলাইয়ের পর যেসব শিক্ষার্থী এই পেশায় আসবে, তারা এই বৈষম্যের শিকার হবে। আমরা আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই আন্দোলনে নেমেছি, যাতে আমাদের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আকাশ-পাতাল বৈষম্য তৈরি না হয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘একটি মহল এই আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছানোর জন্য গুজব ছড়াচ্ছে যে এই আন্দোলন আমাদের স্বার্থে। কিন্তু আসলে এই আন্দোলন ভবিষ্যতে যারা শিক্ষকতায় যোগদান করবে, তাদের জন্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত