শ্যামপুর-কদমতলী প্রতিনিধি
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চলমান হরতাল-অবরোধে বন্ধ নেই বাস মালিক সমিতির জিপি (অফিস/স্টাফ খরচ) ও সিটি করপোরেশনের (সিটি টোল) চাঁদা আদায়। অবরোধের মধ্যেও বরাবর প্রতিদিনের মতো প্রতি গাড়িতে ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে জিপি নেওয়ার ব্যাপারে অনেক পরিবহন সার্ভিসের কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করছেন।
গণপরিবহন জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চালক ও হেলপাররা এসব পরিবহন নিয়ে রাস্তায় বের হন পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচার তাগিদে। কিন্তু হরতাল-অবরোধে যাত্রী কম থাকায় তাঁদের আয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাসমালিক, চালক ও হেলপাররা। এর মধ্যেও মালিক সমিতিসহ অন্যান্য চাঁদা দিতে হচ্ছে বাসমালিকদের। এতে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন বাসের স্টাফরা।
এরপরও লোকাল সার্ভিসের কিছু বাস পরিবহনের মালিক সমিতি জিপির (অফিস/স্টাফ খরচ) টাকা না নিলেও অন্য চাঁদা ঠিকই দিতে হচ্ছে বাসমালিকদের।
সরেজমিন রাজধানীর জুরাইন, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে বাসমালিক ও স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জুরাইন থেকে দিয়াবাড়ী রুটে চলাচল করে রাইদা পরিবহন। হরতাল-অবরোধের মধ্যেও এসব পরিবহন থেকে প্রতিদিন বাসপ্রতি মালিক সমিতির জিপিসহ অন্যান্য চাঁদা বাবদ মোট ৯২০ টাকা দিতে হচ্ছে বাসমালিককে। এ বিষয়ে রাইদা পরিবহনের এক চালক বলেন, ‘অবরোধের মধ্যে যাত্রী কম। আমাদের আয়ও হয় কম। ফলে চাঁদাসহ সব খরচ বাদ দিয়ে আমাদের বেতন থাকে সামান্য কিছু। অনেক চালক আবার দৈনিক বেতন হিসাবে গাড়ি চালিয়ে থাকেন। ফলে সব খরচ বাদ দিয়ে মালিকেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাইদা পরিবহনের দুজন মালিক বলেন, ‘হরতাল-অবরোধেও আমাদের চাঁদা দিতে হচ্ছে। অবরোধে একদিকে যাত্রী কম, অন্যদিকে জ্বালানি ও স্টাফ খরচ বাদে আমরা তেমন কিছু পাই না। এ ছাড়া একটি বাস জ্বালিয়ে দিলেও মালিককেই দৌড়ঝাঁপসহ সব বহন করতে হয়। অন্যদিকে সরকারদলীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে বাস নিলেও তারা এক পয়সাও দেন না। সব খরচ আমাদের বহন করতে হয়।’
এদিকে রাইদা পরিবহনের চালক ফরিদ ও আলামিন বলেন, ‘আমরা আজ (৮ নভেম্বর) জিপি বাবদ ৩০০ ও সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য খরচ বাবদ দিয়েছি ১২০ টাকা। মোট ৪২০ টাকা চাঁদা দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে রাইদা পরিবহনের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল ভূঁইয়া চাঁদা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা হরতাল-অবরোধে কোনো জিপি নিই না।’
এদিকে নারায়ণগঞ্জ টু গুলিস্তানগামী আনন্দ ও বোরাক পরিবহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই অবরোধেও আনন্দ পরিবহনকে প্রতিদিন প্রতি গাড়ি থেকে বিভিন্ন খাতে ৩০০ এবং বোরাক পরিবহনকে ৭০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।
বোরাক পরিবহনের হেলপার জয়নাল বলেন, ‘অবরোধের জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবনের তাগিদে গাড়ি নিয়ে বের হই। কিন্তু যাত্রী কম থাকায় সব খরচ দিয়ে আমাদের তেমন কিছু থাকে না। মালিকের জমা তো দূরের কথা।’
এ ব্যাপারে বোরাক পরিবহনের পরিচালক আবদুল মতিন বলেন, ‘এই হরতাল-অবরোধে আমরা কোনো জিপি নিই না। বাস রাখার জন্য গ্রেজ বাবদ সামান্য কিছু টাকা নিয়ে থাকি।’
এদিকে যাত্রাবাড়ী থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলরত বিকল্প, তুরাগ, ট্রান্সসিলভা ও ৮ নম্বর বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাস মালিক সমিতির চাঁদা বা জিপি দিতে না হলেও, দিতে হচ্ছে সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য চাঁদা।
এ বিষয়ে তুরাগ পরিবহনের চালক আবুল বলেন, ‘হরতাল-অবরোধ বুঝে না, গাড়ি বের করলেই সাড়ে ৬০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। কী করব, পরিবার-পরিজন আছে। সংসার চালাতে হবে, তাই বাধ্য হয়েই বের হই। তবে এই রুটে চলাচলরত বেশির ভাগ বাস সার্ভিস থেকে কোনো জিপি নেন না মালিক সমিতি। কিন্তু দিতে হয় অন্যান্য চাঁদা।’
এদিকে সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো বাস থেকে মালিক সমিতির জিপি বা চাঁদা নেওয়া হয় না বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হরতাল-অবরোধ উপলক্ষে কোনো বাস থেকে আমরা জিপি নিই না। অবরোধে বাস চলাচলের স্বার্থে এগুলোকে আমরা ফ্রি করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চলমান হরতাল-অবরোধে বন্ধ নেই বাস মালিক সমিতির জিপি (অফিস/স্টাফ খরচ) ও সিটি করপোরেশনের (সিটি টোল) চাঁদা আদায়। অবরোধের মধ্যেও বরাবর প্রতিদিনের মতো প্রতি গাড়িতে ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে জিপি নেওয়ার ব্যাপারে অনেক পরিবহন সার্ভিসের কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করছেন।
গণপরিবহন জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চালক ও হেলপাররা এসব পরিবহন নিয়ে রাস্তায় বের হন পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচার তাগিদে। কিন্তু হরতাল-অবরোধে যাত্রী কম থাকায় তাঁদের আয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাসমালিক, চালক ও হেলপাররা। এর মধ্যেও মালিক সমিতিসহ অন্যান্য চাঁদা দিতে হচ্ছে বাসমালিকদের। এতে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন বাসের স্টাফরা।
এরপরও লোকাল সার্ভিসের কিছু বাস পরিবহনের মালিক সমিতি জিপির (অফিস/স্টাফ খরচ) টাকা না নিলেও অন্য চাঁদা ঠিকই দিতে হচ্ছে বাসমালিকদের।
সরেজমিন রাজধানীর জুরাইন, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে বাসমালিক ও স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জুরাইন থেকে দিয়াবাড়ী রুটে চলাচল করে রাইদা পরিবহন। হরতাল-অবরোধের মধ্যেও এসব পরিবহন থেকে প্রতিদিন বাসপ্রতি মালিক সমিতির জিপিসহ অন্যান্য চাঁদা বাবদ মোট ৯২০ টাকা দিতে হচ্ছে বাসমালিককে। এ বিষয়ে রাইদা পরিবহনের এক চালক বলেন, ‘অবরোধের মধ্যে যাত্রী কম। আমাদের আয়ও হয় কম। ফলে চাঁদাসহ সব খরচ বাদ দিয়ে আমাদের বেতন থাকে সামান্য কিছু। অনেক চালক আবার দৈনিক বেতন হিসাবে গাড়ি চালিয়ে থাকেন। ফলে সব খরচ বাদ দিয়ে মালিকেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাইদা পরিবহনের দুজন মালিক বলেন, ‘হরতাল-অবরোধেও আমাদের চাঁদা দিতে হচ্ছে। অবরোধে একদিকে যাত্রী কম, অন্যদিকে জ্বালানি ও স্টাফ খরচ বাদে আমরা তেমন কিছু পাই না। এ ছাড়া একটি বাস জ্বালিয়ে দিলেও মালিককেই দৌড়ঝাঁপসহ সব বহন করতে হয়। অন্যদিকে সরকারদলীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে বাস নিলেও তারা এক পয়সাও দেন না। সব খরচ আমাদের বহন করতে হয়।’
এদিকে রাইদা পরিবহনের চালক ফরিদ ও আলামিন বলেন, ‘আমরা আজ (৮ নভেম্বর) জিপি বাবদ ৩০০ ও সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য খরচ বাবদ দিয়েছি ১২০ টাকা। মোট ৪২০ টাকা চাঁদা দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে রাইদা পরিবহনের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল ভূঁইয়া চাঁদা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা হরতাল-অবরোধে কোনো জিপি নিই না।’
এদিকে নারায়ণগঞ্জ টু গুলিস্তানগামী আনন্দ ও বোরাক পরিবহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই অবরোধেও আনন্দ পরিবহনকে প্রতিদিন প্রতি গাড়ি থেকে বিভিন্ন খাতে ৩০০ এবং বোরাক পরিবহনকে ৭০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।
বোরাক পরিবহনের হেলপার জয়নাল বলেন, ‘অবরোধের জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবনের তাগিদে গাড়ি নিয়ে বের হই। কিন্তু যাত্রী কম থাকায় সব খরচ দিয়ে আমাদের তেমন কিছু থাকে না। মালিকের জমা তো দূরের কথা।’
এ ব্যাপারে বোরাক পরিবহনের পরিচালক আবদুল মতিন বলেন, ‘এই হরতাল-অবরোধে আমরা কোনো জিপি নিই না। বাস রাখার জন্য গ্রেজ বাবদ সামান্য কিছু টাকা নিয়ে থাকি।’
এদিকে যাত্রাবাড়ী থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলরত বিকল্প, তুরাগ, ট্রান্সসিলভা ও ৮ নম্বর বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাস মালিক সমিতির চাঁদা বা জিপি দিতে না হলেও, দিতে হচ্ছে সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য চাঁদা।
এ বিষয়ে তুরাগ পরিবহনের চালক আবুল বলেন, ‘হরতাল-অবরোধ বুঝে না, গাড়ি বের করলেই সাড়ে ৬০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। কী করব, পরিবার-পরিজন আছে। সংসার চালাতে হবে, তাই বাধ্য হয়েই বের হই। তবে এই রুটে চলাচলরত বেশির ভাগ বাস সার্ভিস থেকে কোনো জিপি নেন না মালিক সমিতি। কিন্তু দিতে হয় অন্যান্য চাঁদা।’
এদিকে সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো বাস থেকে মালিক সমিতির জিপি বা চাঁদা নেওয়া হয় না বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হরতাল-অবরোধ উপলক্ষে কোনো বাস থেকে আমরা জিপি নিই না। অবরোধে বাস চলাচলের স্বার্থে এগুলোকে আমরা ফ্রি করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
গাজীপুরের শ্রীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) প্রো-ভিসি অধ্যাপক রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘দুর্ঘটনা তো আর বলে-কয়ে আসে না। এটা হঠাৎ ঘটে গেছে। এখন আমি মনে করব, কাউকে দোষ দেওয়ার চেয়ে ঘটনা উত্তরণে সবাইকে কাজ করতে হবে।
২ মিনিট আগেবিরামপুর উপজেলা থেকে বিশনী পাহান (৫৩) নামের এক সাঁওতাল নারীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। আজ শনিবার সকালে কাটলা ইউনিয়নের দাউদপুর ময়নার মোড়ের অদূরে ধানখেত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২৩ মিনিট আগেমাহিদ হাসান শিশির বলেন, ‘পেছনের বাস থেকে হঠাৎ করে ডাক চিৎকার করে বলছে, ‘‘তোমাদের কাছে পানি আছে দ্রুত পানি দাও। আমাদের বাসে আগুন লাগছে। পানি দাও
২৪ মিনিট আগেমাছ বিক্রেতার স্ত্রী তিনি। স্বামীর মাছ বিক্রির লাভের টাকায় টেনেটুনে দিন চলত। সংসারে অভাব লেগেই থাকত। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। একটা অভাব মিটলে, নতুন করে হাজির হতো আরেকটি। ধারদেনা করেই চলতে হতো।
৩৫ মিনিট আগে