শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে সংঘর্ষ: ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে কাজে ফিরলেন চিকিৎসকেরা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩: ৫০
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ৫৪

১০০ শয্যাবিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে স্টাফদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনায় দোষীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আরটিমেটাম দিয়ে কাজে ফিরেছেন চিকিৎসকসহ কর্মচারীরা। 

আজ রোববার সকাল ১০টায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে এক জরুরি সভা ডেকে চিকিৎসকেরা এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে বেলা ১১টা থেকে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা কাজে যোগ দেন বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান। 

হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল ১০টায় জরুরি সভা করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, দোষীদের গ্রেপ্তারের ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়ে কর্মবিরতিসহ সব কর্মসূচি স্থগিত করে কাজে যোগ দেওয়া হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে পরে সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন থেকে জরুরি বিভাগসহ সব বিভাগ চালু থাকবে। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে সারমিন আক্তার নামে এক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। বেলা ১১টার দিকে রোগীর এক স্বজন চিকিৎসককে দেখানোর কথা বলে দায়িত্বরত এক নার্সের কাছে রোগী ভর্তির ফাইল চান। তখন ওই নার্স তাকে ডাক্তারের অনুমতি বা স্লিপ ছাড়া ভর্তি রোগীর ফাইল দেওয়ার নিয়ম নেই বলে জানান। 

এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান উভয় পক্ষকে তাঁর কক্ষে ডেকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এর কিছুক্ষণ পরে হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের একাধিক লোক আহত হয়। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম হাসপাতাল পরিদর্শন করে। আহতদের মধ্যে হাসপাতালের অফিস সহায়ক খালেদ শিকদারকে (৩২) ঢাকায় পাঠানো হয়। 

অন্যদিকে সংঘর্ষে আহত রোগীর স্বজনদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁরা হামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে অন্য কোথাও চিকিৎসা নিচ্ছেন। আত্মগোপনে থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

এ ঘটনার পর জরুরি সভা ডেকে জরুরি বিভাগ ছাড়া বাকি সব বিভাগের সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন চিকিৎসকেরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। 

এ ঘটনায় গতকাল রাতে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। 

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, হাসপাতালে সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত