হত্যা মামলায় নাট্যনির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকুর জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৩২

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীর একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেশের জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা মো. রাফাত মজুমদার রিংকুকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান জামিনের এই আদেশ দেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাফাতকে বাড্ডা থানায় দায়ের করা শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করলে তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। ওইদিন আদালত রাফাতকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

দুপুর ২ টায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। আদালত ৪ টার পরে আদেশ দেন। রাফাত মজুমদারের আইনজীবী আবুল কাশেম জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১২ টার সময় গুলশান ২ নম্বর গোল চত্বর সংলগ্ন রংপুরের টি স্টলের পাশ থেকে রাফাত মজুমদারকে আটক করে গুলশান থানা-পুলিশ। এরপর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর নিহত নাঈমুর রহমানের বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে শেখ হাসিনা সহ ৬৪ জনকে আসামি করে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই গুলশান ডিগ্রী কলেজের ছাত্র মোহাম্মদ নাঈমুর রহমান গুলশান থানার শাহজাদপুর মূল সড়কে সুবাস্তু নজরভ্যালির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। বিকেল ৪ টার দিকে অন্যান্যদের সঙ্গে নাঈমুর গুলিবিদ্ধ হন। পরে পাশের এ এম জেড হাসপাতালে তার মৃতদেহ সনাক্ত করেন বাবা রফিকুল ইসলাম।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, এজাহার নামীয় আসামিদের নির্দেশে এবং তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আসামি রাফাত মজুমদার রিংকু ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে এজাহারনামীয় আসামিদের সঙ্গে থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন মর্মে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। রাফাত জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার নাম ঠিকানাও যাচাই করা হয়নি। বিধায় তাকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।

যেদিন আদালতে হাজির করা হয় সেদিন শুনানির সময়ে রাফাত মজুমদার আদালতকে বলেন, তিনি এই ধরনের কোনো হত্যাকাণ্ডে জড়িত নন। তাকে মিথ্যা ভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি কখনোই ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে ছিলাম না। তদন্ত কর্মকর্তা ভুল তথ্য দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে আমি কখনোই ছিলাম না।’

উল্লেখ্য, রিংকু এই সময়ে জনপ্রিয় নির্মাতাদের একজন। তার নির্মিত নাটকের সংখ্যা শতাধিক। রিংকুর নির্মিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে রঙিন আশা, পুতুলের সংসার, ইতিবৃত্ত, নরসুন্দরী, কবর, বন্ধন, ব্লগার মিতু, জাল, কাটুস, অতিরিক্ত, নোঙ্গর, রিকশা গার্ল প্রভৃতি।

নাটক নির্মাণ করে রাফাত মজুমদার রিংকু দীপ্ত টিভি অ্যাওয়ার্ড, মেরিল প্রথম আলো অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত