নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা)
উত্তরার তুরাগ থানার তালতলা এলাকার মক্কা টাওয়ার কাছে গতকাল রাত ১১টায় গলিত অবস্থায় পাওয়া মৃত পোশাকশ্রমিক সাবিনা হত্যার নেপথ্যে রয়েছে পরকীয়া, এমনটাই দাবি করেছেন তাঁর ভাই মাসুম মিয়া।
কিশোরী বয়সে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিকভাবে একই এলাকার হাফিজুলের সঙ্গে বিয়ে হয় সাবিনার (৩০)। তাঁদের সংসারে সাব্বির (১১) নামের এক সন্তান রয়েছে। কিন্তু হাফিজুলের মানসিক সমস্যা থাকার কারণে ছেলেকে মায়ের কাছে রেখে ঢাকার তুরাগে চলে আসেন সাবিনা। সেখানে এসে হামীম গ্রুপের টঙ্গীর একটি পোশাক কারখানায় যোগ দেন তিনি। প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই তিনি এক রিকশাচালককে বিয়ে করেন। কিন্তু দাম্পত্য কলহের কারণে সাবিনার দ্বিতীয় বিয়ে বেশি দিন টেকেনি। পরে পার্শ্ববর্তী এলাকার অটোরিকশার গ্যারেজের মালিক মফিজুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মফিজুলের সঙ্গে সংসার শুরু করেন পোশাককর্মী সাবিনা। অভিযোগ উঠেছে, মফিজুলই এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে তাঁর ভাই বলেছেন, মফিজুলের নেতৃত্বেই সাবিনাকে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার তুরাগ থানার তালতলা এলাকার মক্কা টাওয়ার সংলগ্ন গলিতে সাবিনার (৩০) মরদেহ পাওয়া যায়। সাবিনার সঙ্গে থাকা আইডি কার্ড থেকে জানা যায়, তিনি হামীম গ্রুপের গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
তুরাগ থানার এসআই মোজাম্মেল হক জানান, ছুরি বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাবিনার বুকে আঘাত করা হয়েছে। মরদেহের ডান পাশে একটি ছুরি পড়ে থাকলেও তাতে রক্তের আলামত পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোনো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওই নারী পোশাকশ্রমিক জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল এলাকার হজরত আলীর মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে সাবিনা দ্বিতীয় ছিলেন। তাঁর বড় বোন অনেক আগেই মারা গেছেন। তিন ভাইবোনের মধ্যে বর্তমানে রয়েছেন একমাত্র ভাই মাসুম মিয়া।
মাসুম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, `১২-১৩ বছর আগে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিকভাবেই হাফিজুলের সঙ্গে সাবিনার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু হাফিজুল মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাঁদের সন্তান সাব্বিরকে রেখে ঢাকায় এসে গার্মেন্টসে কাজ শুরু করেন সাবিনা। তখন গার্মেন্টসে যাতায়াতের সময় বাসার পাশে থাকা স্বপন ওরফে মধুর সঙ্গে সাবিনার পরিচয় হয়। পরে ভালো লাগা থেকে তাঁরা নিজেরাই তিন বছর আগে বিয়ে করেন। যদিও ছয় মাসের বেশি তাঁদের সংসার টেকেনি। এক বছর আগে অটোরিকশার গ্যারেজের মফিজুলের সঙ্গে পরিচয় হয় সাবিনার। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মফিজুলের স্ত্রী-সন্তান আছে, এটা সাবিনা জানতেন না। এটা জানার পরই কলহের শুরু। মফিজুলের বড় স্ত্রী ও শ্যালক আমাদের মেরে ফেলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান।'
মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, `তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ও জানাজানির কারণেই আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। তাই ওই রাতেই আমি মফিজুল, তাঁর স্ত্রী ও শ্যালককে আসামি করে তুরাগ থানায় হত্যা মামলা করেছি। পরে পুলিশ তাঁদের তিনজনকে রাতেই ধরে ফেলেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে আমরা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি, সেখানেই লাশ দাফন করা হবে।'
সাবিনার রুমমেট রুজিনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মফিজুলের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর থেকে প্রথমে তাঁদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। কিন্তু যখন তার স্ত্রী-সন্তানের বিষয়টি জেনে যায় সাবিনা, তখন থেকে তাদের মধ্যে প্রতি রাতেই ঝগড়া বিবাদ হতো। মফিজুলের বড় স্ত্রী ও শ্যালক হুমকি দিয়ে যাওয়ার পর থেকে সাবিনা মফিজুলের গ্যারেজের ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে ভয়ে ভয়ে প্রধান সড়ক দিয়ে যাতায়াত করত।’
র্যাব ও ডিবি পুলিশের একাধিক গোয়েন্দা সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানান, এটি কোনো সাধারণ হত্যাকাণ্ড নয়। সাবিনাকে সুপরিকল্পিতভাবে কয়েকজন মিলে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, মামলার পরপরই বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার দিনে অভিযান চালিয়ে মফিজুল, তাঁর স্ত্রী, শ্যালক ও গ্যারেজের একজনকে তুরাগ থানার পুলিশ আটক করেছে। তবে আটকের বিষয়ে তুরাগ থানার পুলিশের কারও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মঞ্জুর মোর্শেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই পোশাককর্মীকে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
সাবেক দুই স্বামী বা পরকীয়ার প্রেমিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, `এখন এমন কোনো তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতে চাই না।'
তুরাগ থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক বলেন, পোশাককর্মীকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য না করেই ফোন রেখে দেন।
উত্তরার তুরাগ থানার তালতলা এলাকার মক্কা টাওয়ার কাছে গতকাল রাত ১১টায় গলিত অবস্থায় পাওয়া মৃত পোশাকশ্রমিক সাবিনা হত্যার নেপথ্যে রয়েছে পরকীয়া, এমনটাই দাবি করেছেন তাঁর ভাই মাসুম মিয়া।
কিশোরী বয়সে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিকভাবে একই এলাকার হাফিজুলের সঙ্গে বিয়ে হয় সাবিনার (৩০)। তাঁদের সংসারে সাব্বির (১১) নামের এক সন্তান রয়েছে। কিন্তু হাফিজুলের মানসিক সমস্যা থাকার কারণে ছেলেকে মায়ের কাছে রেখে ঢাকার তুরাগে চলে আসেন সাবিনা। সেখানে এসে হামীম গ্রুপের টঙ্গীর একটি পোশাক কারখানায় যোগ দেন তিনি। প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই তিনি এক রিকশাচালককে বিয়ে করেন। কিন্তু দাম্পত্য কলহের কারণে সাবিনার দ্বিতীয় বিয়ে বেশি দিন টেকেনি। পরে পার্শ্ববর্তী এলাকার অটোরিকশার গ্যারেজের মালিক মফিজুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মফিজুলের সঙ্গে সংসার শুরু করেন পোশাককর্মী সাবিনা। অভিযোগ উঠেছে, মফিজুলই এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে তাঁর ভাই বলেছেন, মফিজুলের নেতৃত্বেই সাবিনাকে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার তুরাগ থানার তালতলা এলাকার মক্কা টাওয়ার সংলগ্ন গলিতে সাবিনার (৩০) মরদেহ পাওয়া যায়। সাবিনার সঙ্গে থাকা আইডি কার্ড থেকে জানা যায়, তিনি হামীম গ্রুপের গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
তুরাগ থানার এসআই মোজাম্মেল হক জানান, ছুরি বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাবিনার বুকে আঘাত করা হয়েছে। মরদেহের ডান পাশে একটি ছুরি পড়ে থাকলেও তাতে রক্তের আলামত পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোনো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওই নারী পোশাকশ্রমিক জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল এলাকার হজরত আলীর মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে সাবিনা দ্বিতীয় ছিলেন। তাঁর বড় বোন অনেক আগেই মারা গেছেন। তিন ভাইবোনের মধ্যে বর্তমানে রয়েছেন একমাত্র ভাই মাসুম মিয়া।
মাসুম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, `১২-১৩ বছর আগে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিকভাবেই হাফিজুলের সঙ্গে সাবিনার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু হাফিজুল মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাঁদের সন্তান সাব্বিরকে রেখে ঢাকায় এসে গার্মেন্টসে কাজ শুরু করেন সাবিনা। তখন গার্মেন্টসে যাতায়াতের সময় বাসার পাশে থাকা স্বপন ওরফে মধুর সঙ্গে সাবিনার পরিচয় হয়। পরে ভালো লাগা থেকে তাঁরা নিজেরাই তিন বছর আগে বিয়ে করেন। যদিও ছয় মাসের বেশি তাঁদের সংসার টেকেনি। এক বছর আগে অটোরিকশার গ্যারেজের মফিজুলের সঙ্গে পরিচয় হয় সাবিনার। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মফিজুলের স্ত্রী-সন্তান আছে, এটা সাবিনা জানতেন না। এটা জানার পরই কলহের শুরু। মফিজুলের বড় স্ত্রী ও শ্যালক আমাদের মেরে ফেলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান।'
মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, `তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ও জানাজানির কারণেই আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। তাই ওই রাতেই আমি মফিজুল, তাঁর স্ত্রী ও শ্যালককে আসামি করে তুরাগ থানায় হত্যা মামলা করেছি। পরে পুলিশ তাঁদের তিনজনকে রাতেই ধরে ফেলেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে আমরা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি, সেখানেই লাশ দাফন করা হবে।'
সাবিনার রুমমেট রুজিনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মফিজুলের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর থেকে প্রথমে তাঁদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। কিন্তু যখন তার স্ত্রী-সন্তানের বিষয়টি জেনে যায় সাবিনা, তখন থেকে তাদের মধ্যে প্রতি রাতেই ঝগড়া বিবাদ হতো। মফিজুলের বড় স্ত্রী ও শ্যালক হুমকি দিয়ে যাওয়ার পর থেকে সাবিনা মফিজুলের গ্যারেজের ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে ভয়ে ভয়ে প্রধান সড়ক দিয়ে যাতায়াত করত।’
র্যাব ও ডিবি পুলিশের একাধিক গোয়েন্দা সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানান, এটি কোনো সাধারণ হত্যাকাণ্ড নয়। সাবিনাকে সুপরিকল্পিতভাবে কয়েকজন মিলে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, মামলার পরপরই বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার দিনে অভিযান চালিয়ে মফিজুল, তাঁর স্ত্রী, শ্যালক ও গ্যারেজের একজনকে তুরাগ থানার পুলিশ আটক করেছে। তবে আটকের বিষয়ে তুরাগ থানার পুলিশের কারও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মঞ্জুর মোর্শেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই পোশাককর্মীকে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
সাবেক দুই স্বামী বা পরকীয়ার প্রেমিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, `এখন এমন কোনো তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতে চাই না।'
তুরাগ থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক বলেন, পোশাককর্মীকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য না করেই ফোন রেখে দেন।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও মধুপুরে সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় সমাবেশে নেওয়ার সময় ৫৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
৩ মিনিট আগেসিলেটে বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন চা শ্রমিকরা। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন ও চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
৩ মিনিট আগেস্থানীয় প্রশাসনে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বিগত বছরগুলোতে বিকেন্দ্রীকরণের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখেনি। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যদের কার্যকর ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রেও রয়েছে চ্যালেঞ্জ। গ্রাম আদালতের কার্যকারিতা আশানুরূপ নয়। এই অবস্থায় স্বতন্ত্র ও স্বাধীন স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন
৮ মিনিট আগেসিলেটে ব্যবসায়ী হাসান মিয়া হত্যা মামলায় বাবাসহ দুই ছেলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ সোমবার জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন।
৩০ মিনিট আগে