নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকার বস্তি গুলোতে রান্নার কাজে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার বাড়ছে। প্রায় ৪০ শতাংশ বস্তিবাসী রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার করে। অবশ্যই এই প্লাস্টিকের ব্যবহার হয় লাকড়ি ও গার্মেন্টস জুটের সঙ্গে মিশিয়ে। তা ছাড়া বস্তির ৪২ শতাংশ দরিদ্র পরিবার গ্যাসের লাইন ব্যবহার করে। তবে এসব লাইনের অর্ধেকের বেশি অবৈধ।
আজ রোববার (২ জুন) ‘নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জ্বালানি ব্যবহার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রহণে চ্যালেঞ্জ: প্রেক্ষিত ঢাকা মহানগরী’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এসব গবেষণালবদ্ধ তথ্য তুলে ধরা হয়।
রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ (বারসিক), বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ)।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বারসিকের প্রকল্প পরিচালক মো. কামারুজ্জামান সাগর। তিনি জানান, ঢাকা মহানগরে ৬৪ শতাংশ নগর দরিদ্র পরিবার। বৈধ বা অবৈধ সব ক্ষেত্রেই এর মূল্য পরিশোধ করতে হয় পরিবারগুলোকে। পরিবারের মাসিক গড় বিদ্যুৎ বাবদ ব্যয় ৮৭৫ টাকা। তবে এলাকাভেদে বিদ্যুৎ বিলের আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল কড়াইল বস্তিতে মাসে ১ হাজার ৫৬৯ টাকা। সবচেয়ে কম গাবতলীর সিটি কলোনিতে মাত্র ৩২৪ টাকা। ৫২ দশমিক ৪৫ শতাংশ পরিবার বাড়ির মালিককে বিল দেন ৩৬ দশমিক ০৩ শতাংশ দেন স্থানীয় নেতাদের।
গবেষণায় আরও বলা হয়, রান্নার জ্বালানিতে বস্তির বড় একটি অংশ এখনো লাকড়ি, গার্মেন্টস জুট, প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার করে। তাঁদের আয়ের প্রায় ১৫ শতাংশ ব্যয় হয় জ্বালানি খরচে। সনাতনী পদ্ধতিতে রান্না করায় দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি দুটোই বেশি থাকে বস্তিতে। গত দুই বছরের মধ্যে ৮ শতাংশ পরিবারে দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ৫৪ শতাংশ রান্নার লাকড়ি থেকে। রান্নার ধোঁয়ার কারণে গত ছয় মাসের মধ্যে ২২ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের গুরুতর কাশির সমস্যা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার ১৮টি বস্তির ৪৬৯ পরিবারের ওপর এই গবেষণা জরিপ পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় অংশ নেওয়া ৯০ শতাংশ বস্তিবাসী জানিয়েছে ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ শব্দের সঙ্গে তাঁরা পরিচিত না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বস্তিবাসীদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি প্রথমে বঙ্গবন্ধুই করেছিলেন। এখন রাজউক পরিকল্পনা করে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য। বস্তিবাসীর জন্য ওদের পরিকল্পনা নেই। নগর নীতিমালা তৈরি হয়েছে কিন্তু সেটির কোন বাস্তবায়ন নেই। নগর নীতিমালাতে নগর দরিদ্রদের জ্বালানিসহ অন্যান্য অধিকারের বিষয়ে বলা হয়েছে।’
ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বস্তিবাসীর নিজস্ব অর্থনৈতিক সক্ষমতা কম। তাদের জ্বালানি পেতে মূলধারার মানুষের তুলনায় দ্বিগুণ বা তিনগুণ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। বস্তিবাসীর সঙ্গে যে বৈষম্য করা হচ্ছে তা নিরসন করে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনায় অংশ নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার চিয়ারা ভিডুসি, স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় উপ উপাচার্য নাওজিয়া ইয়াসমিন, ক্যাপসের উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী, নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, স্রেডার উপ-পরিচালক মোহামম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া, কাপের নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত, বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রাসুল, বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি হোসনে আরা রাফেজা প্রমুখ।
ঢাকার বস্তি গুলোতে রান্নার কাজে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার বাড়ছে। প্রায় ৪০ শতাংশ বস্তিবাসী রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার করে। অবশ্যই এই প্লাস্টিকের ব্যবহার হয় লাকড়ি ও গার্মেন্টস জুটের সঙ্গে মিশিয়ে। তা ছাড়া বস্তির ৪২ শতাংশ দরিদ্র পরিবার গ্যাসের লাইন ব্যবহার করে। তবে এসব লাইনের অর্ধেকের বেশি অবৈধ।
আজ রোববার (২ জুন) ‘নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জ্বালানি ব্যবহার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রহণে চ্যালেঞ্জ: প্রেক্ষিত ঢাকা মহানগরী’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এসব গবেষণালবদ্ধ তথ্য তুলে ধরা হয়।
রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ (বারসিক), বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ)।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বারসিকের প্রকল্প পরিচালক মো. কামারুজ্জামান সাগর। তিনি জানান, ঢাকা মহানগরে ৬৪ শতাংশ নগর দরিদ্র পরিবার। বৈধ বা অবৈধ সব ক্ষেত্রেই এর মূল্য পরিশোধ করতে হয় পরিবারগুলোকে। পরিবারের মাসিক গড় বিদ্যুৎ বাবদ ব্যয় ৮৭৫ টাকা। তবে এলাকাভেদে বিদ্যুৎ বিলের আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল কড়াইল বস্তিতে মাসে ১ হাজার ৫৬৯ টাকা। সবচেয়ে কম গাবতলীর সিটি কলোনিতে মাত্র ৩২৪ টাকা। ৫২ দশমিক ৪৫ শতাংশ পরিবার বাড়ির মালিককে বিল দেন ৩৬ দশমিক ০৩ শতাংশ দেন স্থানীয় নেতাদের।
গবেষণায় আরও বলা হয়, রান্নার জ্বালানিতে বস্তির বড় একটি অংশ এখনো লাকড়ি, গার্মেন্টস জুট, প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার করে। তাঁদের আয়ের প্রায় ১৫ শতাংশ ব্যয় হয় জ্বালানি খরচে। সনাতনী পদ্ধতিতে রান্না করায় দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি দুটোই বেশি থাকে বস্তিতে। গত দুই বছরের মধ্যে ৮ শতাংশ পরিবারে দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ৫৪ শতাংশ রান্নার লাকড়ি থেকে। রান্নার ধোঁয়ার কারণে গত ছয় মাসের মধ্যে ২২ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের গুরুতর কাশির সমস্যা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার ১৮টি বস্তির ৪৬৯ পরিবারের ওপর এই গবেষণা জরিপ পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় অংশ নেওয়া ৯০ শতাংশ বস্তিবাসী জানিয়েছে ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ শব্দের সঙ্গে তাঁরা পরিচিত না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বস্তিবাসীদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি প্রথমে বঙ্গবন্ধুই করেছিলেন। এখন রাজউক পরিকল্পনা করে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য। বস্তিবাসীর জন্য ওদের পরিকল্পনা নেই। নগর নীতিমালা তৈরি হয়েছে কিন্তু সেটির কোন বাস্তবায়ন নেই। নগর নীতিমালাতে নগর দরিদ্রদের জ্বালানিসহ অন্যান্য অধিকারের বিষয়ে বলা হয়েছে।’
ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বস্তিবাসীর নিজস্ব অর্থনৈতিক সক্ষমতা কম। তাদের জ্বালানি পেতে মূলধারার মানুষের তুলনায় দ্বিগুণ বা তিনগুণ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। বস্তিবাসীর সঙ্গে যে বৈষম্য করা হচ্ছে তা নিরসন করে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনায় অংশ নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার চিয়ারা ভিডুসি, স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় উপ উপাচার্য নাওজিয়া ইয়াসমিন, ক্যাপসের উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী, নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, স্রেডার উপ-পরিচালক মোহামম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া, কাপের নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত, বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রাসুল, বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি হোসনে আরা রাফেজা প্রমুখ।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৪ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৪ ঘণ্টা আগে