ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিচার চেয়ে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৪, ১১: ৪৬
Thumbnail image

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির যুদ্ধাপরাধের বিচার ও ফিলিস্তিনিদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। 

মানববন্ধনে আয়োজকেরা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার ও প্লাকার্ডে ‘রক্ত পিপাসুদের রুখে দাও’, ‘জাতিসংঘ থেকে যুদ্ধাপরাধী ইসরায়েলকে বহিষ্কার করো’, ‘ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করো’, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’সহ বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে প্রতিবাদ জানান। 

সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, ‘গতকাল ফিলিস্তিনের ঈদ ছিল। পত্রিকায় দেখলাম, ঈদের দিনেও সেখানে ১৫৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। গত ছয় মাসে প্রায় ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে ঈদের নামাজের পর সমবেত হয়েছি। ফিলিস্তিনিদের যে লড়াই সেই লড়াইয়ের পাশে আছি আমরা।’ 

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘স্বাধীন  মাতৃভূমির জন্য ফিলিস্তিনিদের যে লড়াই, সে লড়াইয়ে আমরা পাশে আছি। ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যা করছে তা শুধু গণহত্যা নয়, এটা জাতিগত নিধন। আমরা আজ ঈদ পালন করছি কিন্তু ফিলিস্তিনে গতকাল ঈদ ছিল, তারা সেটা পালন করতে পারেনি। তারা কোনো উৎসব পালন করতে পারে না, প্রতিদিন-প্রতিনিয়ত হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে।’

বজলুর রশীদ ফিরোজ আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা ও জাতিগত নিধন আমরা তা অবিলম্বে বন্ধ চাই এবং অবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়ে এই সংকটের সমাধান করতে হবে।’ 

অধিকারকর্মী মার্জিয়া প্রভা বলেন, ‘ঈদের দিন—আনন্দ খুশির দিন, কিন্তু ফিলিস্তিনে এই দিনে ইসরায়েলি জায়নবাদীদের শাসন-নিপীড়ন চলছে। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের দেশের সরকারের কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত হলেও আমরা তা দেখতে পাচ্ছি না।’ 

প্রভা জানান, আগামী ৩ মে নারী ও শিশু সমাবেশ করবে ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চলছে। যেকোনো যুদ্ধে নারী ও শিশুদের ওপরই প্রধান নিপীড়ন চলে। এখানেও আমরা সেটাই দেখতে পাচ্ছি।’ 

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় চলা গণহত্যার বিপরীতে বিশ্বের মানুষ যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল আমরাও সেভাবে বিশ্বব্যাপী সব দেশের ছাত্র-জনতাকে ফিলিস্তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

সমাবেশে বিভিন্ন বাম, প্রগতিশীল দল ও সংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি বাংলাদেশ গঠন করা হয় গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে। দেশের রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, লেখকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত