Ajker Patrika

বিএনপির সমাবেশ: রাজধানী গণপরিবহনশূন্য, সড়কে সতর্ক পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ১২: ২৫
বিএনপির সমাবেশ: রাজধানী গণপরিবহনশূন্য, সড়কে সতর্ক পুলিশ

বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে রাজনীতির মাঠ বেশ উত্তপ্ত। নানা জটিলতার পর দলটি আজ শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করেছে ডিএমপির বেঁধে দেওয়া ২৬ শর্তে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে ভীতি, শঙ্কা। শনিবার সকাল থেকেই এই ভয়-শঙ্কার প্রতিফলন ঘটেছে সড়কে। সড়কে গণপরিবহন নেই বললেই চলে, তবে কমেছে সাধারণ মানুষের সংখ্যাও। সরকারি ছুটি আর বিএনপির সমাবেশ—সব মিলিয়ে বেশ ফাঁকা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক। 

আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, ফার্মগেট, রামপুরা, বাড্ডা, বনশ্রী, যাত্রাবাড়ী, পোস্তগোলা, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রতি মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন এলাকায় সড়কে অস্থায়ী প্যান্ডেল করে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মাইকে বাজানো হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের সড়ক আটকে রাখতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। একপাশের সড়কে চলছে যানবাহন। তবে কী কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে তা জানাতে পারেননি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।

সরকারি ছুটি আর বিএনপির গণসমাবেশ, সব মিলিয়ে বেশ ফাঁকা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশ ফাঁকা ক্যাম্পাস। তবে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মীদের। 

যানবাহন চলাচল বন্ধ। পায়ে হেটে কর্মস্থলে যাচ্ছে কর্মজীবি মানুষ। গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশ হওয়ার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে হানিফ ফ্লাইওভারের সায়েদাবাদের র‍্যাম্প। হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। বেশির ভাগ মোটরসাইকেলকেই তল্লাশি করে রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। 

সকাল থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বাড্ডার কামরুজ্জামান যাবেন কুড়িল বিশ্বরোডে। আত্মীয়র বাড়িতে। তবে আধা ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়েও বাসের দেখা পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে খুঁজছিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা। তবে আকাশচুম্বী ভাড়ায় দিশেহারা কামরুজ্জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এইখান থেকে কুড়িল বড়জোর পাঁচ কিলোমিটার। কিন্তু বাস নাই। সিএনজি ভাড়া চাইছে ৩০০ টাকা। কী আর করার, হেঁটেই যাব।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কঠোর নিরাপত্তা। কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকার কর্মস্থলে আসছিলেন গণমাধ্যমকর্মী হজরত গাজী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তায় পুলিশের চেয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের অবস্থান বেশি। বিভিন্ন পয়েন্টে তাঁরা গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসা করছে—কোথায় যাব, কেন যাবে।’

কারওয়ান বাজারের পথে আনন্দ সিনেমা হলের দিকে বাস স্টপেজে যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষা চোখে পড়ছে। কমলাপুরগামী এক যাত্রী আব্দুল লতিফ দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। না পেয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে যাওয়ার চেষ্টা করেও হতাশ হলেন। কারণ কেউই সেদিকে যেতে চাইছেন না। কারণ হিসেবে এক সিএনজিওয়ালা জানালেন, কমলাপুরের সব রাস্তা সমাবেশের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে ৷ তাই ওদিকে কেউ যাবে না।

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অবস্থান
সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে মোহাম্মদপুর আল্লাহ করিম মসজিদের সামনে দেখা যায় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। কথা হয় এই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী বিধান নাথ দীপুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই আমরা এখানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা রুখে দেব।’ 

শ্যামলী কলেজগেট জেনেভা ক্যাম্পের সড়কের মুখে, গাবতলী মাজার রোড, বেড়িবাঁধ রোডসহ বেশ কয়েকটি সড়কের মোড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধানে চলছে এমন অবস্থান কর্মসূচি। এসব অস্থায়ী মঞ্চে লাগানো মাইকে চলছে দেশের গান ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। কোনো কোনো মঞ্চে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দেখা না গেলেও সেখানে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বসে থেকে গল্প-গুজব করতে দেখা গেছে।রাজধানীর ফার্মগেটে সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা

মিরপুর-১০ নম্বর গোলচক্কর এলাকায় কাফরুল রোডের মাথায় বিশাল এক মঞ্চে আওয়ামী লীগের প্রায় ২০০ নেতা-কর্মীর উপস্থিত দেখা গেছে। মাইকে চলছিল দেশের গান। উপস্থিত এক ব্যক্তি নিজেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা দাবি করে বলেন, ‘আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে। তাঁর নির্দেশেই এখান থেকে উঠে যাব। বিএনপি-জামায়াতের অপশক্তি রুখে দিতে যা করার তা-ই করব। 

মাঝে মাঝেই উপস্থিত নেতা-কর্মীরা ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিচ্ছিলেন সে সময়। শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও মণিপুরীপাড়া এলাকায় দলীয় কোনো অবস্থান চোখে না পড়লেও পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। বিশেষ করে খেজুরবাগান এলাকায় পুলিশ তৎপর আছে। ঢাকার প্রবেশমুখে তৎপরতা বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা

৯টা ২৫ মিনিটে ফার্মগেট এলাকার ফার্মভিউ হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট লিমিটেডের পাশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

বেশ কয়েক দিন ধরেই নয়াপল্টনে সমাবেশ আয়োজনের দাবিতে বিএনপির অনড় অবস্থার অবসান ঘটেছে। গোলাপবাগ মাঠে দলটি সমাবেশ করছে আজ শনিবার। বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়ার কথা সমাবেশের। এদিকে নাশকতার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত