নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের তিন দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা। এ সময়ের মধ্যে দোষীরা গ্রেপ্তার করা না হলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের বন ভবনের সামনে ‘বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যার বিচার, বন ও পাহাড় খেকোদের গ্রেপ্তার এবং বন–পাহাড় রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ’ নেওয়ার দাবিতে নাগরিক সমাবেশে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
নাগরিক সমাবেশে ২৩টি পরিবেশবাদী, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠন অংশ নেয়। সমাবেশে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এ সময় প্রয়াত সাজ্জাদুজ্জামানের বাবা, মা, বড় ভাই, স্ত্রী ও তাঁর ৮ মাসের কন্যা সাদিকা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে সাজ্জাদুজ্জামানের বড় ভাই কামরুজ্জামান কাজল বলেন, ‘আমার ভাইকে আর ফিরে পাব না। আর কোনো ভাইকে যেন এভাবে মরতে না হয় তার নিশ্চয়তা চাই। হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। তার স্ত্রীর চাকরি ও সন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা এবং মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানাই।’
সমাবেশে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বহুদিন থেকে আমরা বন, পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। কিন্তু সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সরকার যদি প্রথম থেকেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করত, তাহলে আজকে বন কর্মকর্তাদের এমন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হতো না।’
তিনি বলেন, ‘বন কর্মকর্তারা তো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন। এই ঝুঁকি সরকার আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলছে। পাহাড় খেকো আর ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার একদিকে ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে, অন্যদিকে আবার ঝুঁকি বিমাও দেবে না। এটা তো হতে পারে না। আমরা ইউসুফ এবং সাজ্জাদ দুজন কর্মকর্তারই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। একই সঙ্গে সকল পাহাড় খেকো ও ভূমি দস্যুদেরও শাস্তি চাই।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার।
এই হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির।
গত ৩১ মার্চ দিবাগত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের আওতাভুক্ত রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় নিহত হন বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামান। ‘পাহাড়খেকো’র ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের এই কর্মকর্তা। হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালি সরবরাহ করার সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্প ট্রাক) তাঁকে চাপা দেয়।
বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের তিন দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা। এ সময়ের মধ্যে দোষীরা গ্রেপ্তার করা না হলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের বন ভবনের সামনে ‘বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যার বিচার, বন ও পাহাড় খেকোদের গ্রেপ্তার এবং বন–পাহাড় রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ’ নেওয়ার দাবিতে নাগরিক সমাবেশে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
নাগরিক সমাবেশে ২৩টি পরিবেশবাদী, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠন অংশ নেয়। সমাবেশে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এ সময় প্রয়াত সাজ্জাদুজ্জামানের বাবা, মা, বড় ভাই, স্ত্রী ও তাঁর ৮ মাসের কন্যা সাদিকা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে সাজ্জাদুজ্জামানের বড় ভাই কামরুজ্জামান কাজল বলেন, ‘আমার ভাইকে আর ফিরে পাব না। আর কোনো ভাইকে যেন এভাবে মরতে না হয় তার নিশ্চয়তা চাই। হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। তার স্ত্রীর চাকরি ও সন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা এবং মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানাই।’
সমাবেশে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বহুদিন থেকে আমরা বন, পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। কিন্তু সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সরকার যদি প্রথম থেকেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করত, তাহলে আজকে বন কর্মকর্তাদের এমন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হতো না।’
তিনি বলেন, ‘বন কর্মকর্তারা তো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন। এই ঝুঁকি সরকার আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলছে। পাহাড় খেকো আর ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার একদিকে ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে, অন্যদিকে আবার ঝুঁকি বিমাও দেবে না। এটা তো হতে পারে না। আমরা ইউসুফ এবং সাজ্জাদ দুজন কর্মকর্তারই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। একই সঙ্গে সকল পাহাড় খেকো ও ভূমি দস্যুদেরও শাস্তি চাই।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার।
এই হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির।
গত ৩১ মার্চ দিবাগত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের আওতাভুক্ত রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় নিহত হন বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামান। ‘পাহাড়খেকো’র ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের এই কর্মকর্তা। হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালি সরবরাহ করার সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্প ট্রাক) তাঁকে চাপা দেয়।
বাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
২৯ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগে