Ajker Patrika

মানিকগঞ্জে ৩ ট্রাকের চোরাই ইঞ্জিনসহ যন্ত্রাংশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ 

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে ৩ ট্রাকের চোরাই ইঞ্জিনসহ যন্ত্রাংশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ 

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় তিনটি ট্রাকের চোরাই ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও একটি মালবাহী ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব উদ্ধার ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে।

আজ শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গোলড়া চরখণ্ড এলাকার মাহবুব আলম রাকিব (২৭), সিঙ্গাইর উপজেলার পূর্ব বান্দাইল এলাকার মো. সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও সদর উপজেলার ঢাকুয়াপাড়া এলাকার মো. বাদল বিশ্বাস (৩৮)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাটুরিয়া উপজেলার কামতা এলাকার খোরশেদ আলমের গুদামে অভিযান চালিয়ে তিনটি চোরাই ট্রাকের ইঞ্জিন উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় গুদামের মালিকের ছেলে মাহাবুব আলম রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার জাগির মেঘশিমুল এলাকা থেকে একটি ট্রাকসহ চালক সাদ্দাম হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় ওই ট্রাক থেকে চোরাই অন্য দুটি ট্রাকের যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়া গতকাল দুপুরে সদরের তাতি কালিয়ানী এলাকায় ছবেদ মার্কেটের সামনে থেকে বাদলকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর দোকান থেকে ১৪টি চাকা এবং চাকার পাঁচটি রিং উদ্ধার করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

জেলা ডিবির পরিদর্শক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানান, গোপনে সংবাদ পেয়ে সদরের কামতা এলাকায় খোরশেদ আলমের গুদামে অভিযান চালিয়ে তিনটি চোরাই ট্রাকের ইঞ্জিন উদ্ধার করা হয়। এ সময় খোরশেদসহ তাঁর ছেলে মাহবুব আলম রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সদরের তাতি কালিয়ানী এলাকায় ছবেদ মার্কেটের সামনে থেকে বাদলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর দোকান থেকে ১৪টি চাকা এবং চাকার পাঁচটি রিং উদ্ধার করা হয়।

মানিকগঞ্জে উদ্ধার হওয়া ট্রাকএদিকে চোরাই মাল কেনাবেচায় প্রাথমিক তদন্তে গুদামের মালিক খোরশেদ আলমের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অধিক তদন্তে খোরশেদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ডিবির পরিদর্শক।

কামতা এলাকার স্থানীয় লোকজন জানান, চোরাই কাজের সঙ্গে জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ আলীর ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসানুল জনি জড়িত রয়েছেন। প্রভাবশালী হওয়ায় জনির বিরুদ্ধে এখনো কেউ আইনি পদক্ষেপ নেননি।

এ বিষয়ে জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ আলী বলেন, ‘এই ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। অপরাধী যেই হন তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমি পুলিশকে বলে দিয়েছি।’

ডিবির পরিদর্শক আরও বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে শ্রমিক লীগ নেতার ছেলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ট্রাকের যন্ত্রাংশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক তিনজনসহ অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে সাটুরিয়া থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত