মাদারীপুর
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাদারীপুর জেলার ৫৯টি ইউনিয়নের ৫৬টিতে রেইন গেজ মিটার স্থাপন করে। এই যন্ত্রের নির্দিষ্ট এলাকার বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, ঝড়ের পূর্বাভাস, আলোক ঘণ্টাসহ ১০টি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও পূর্বাভাস তিন দিন আগে জানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পটি থেকে কৃষকেরা কোনো উপকার পাননি।
পাঁচ বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদের বাইরের দেয়ালে স্থাপিত এসব রেইন গেজ যন্ত্রের অধিকাংশ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কোথাও কোথাও অনেকগুলো উধাও হয়ে গেছে। এমনকি এসব যন্ত্র দেখাশোনা ও পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য প্রত্যেক উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দেওয়া ট্যাব, প্রিন্টার, সিম কার্ড ও মডেমের অধিকাংশেরই কোনো হদিস নেই।
কৃষকেরা বলছেন, রেইন গেজ কী জিনিস, সে সম্পর্কেই তাঁরা কিছু জানেন না। এগুলো তাঁদের কোনো কাজে আসেনি। ফলে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য স্থাপিত রেইন গেজ প্রকল্পের অর্থ বিফলে গেছে বলে কৃষকেরা অভিযোগ তুলেছেন।
মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটমাঝি ইউপির দেয়ালে আবহাওয়ার পূর্বাভাস যন্ত্রটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে আছে। এটি যাঁরা স্থাপন করেছেন, তাঁরাই বলতে পারবেন, এটির কী উপকারিতা আছে। আমরা এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না।’
ঘটমাঝি ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু তালেব বলেন, ‘ইউপির ছাদে আবহাওয়ার পূর্বাভাস যন্ত্রটির কিছু অংশ অনেক আগেই চুরি হয়ে গেছে। বাকি অংশ দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে আছে। এটা দিয়ে কৃষকের কোনো উপকারই হয়নি।’
মিজানুর রহমান নামের এক কৃষক বলেন, ‘আমরা কোনো দিনও ইউপি থেকে আবহাওয়ার আগাম তথ্য পাইনি। এই তথ্য পেলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। ফসল ফলাতে অনেকটাই কাজে আসত। অনেক সফল নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পেত। তা ছাড়া আমাদের ইউপিতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস যন্ত্র আছে, সেটি আমাদের জানা নেই। এই যন্ত্রের কাজ কী, তা-ও জানি না।’
কেন্দুয়া ইউপির পাশেই বাড়ি কৃষক জগদীশ দাসের। তিনি কখনো রেইন গেজ থেকে আবহাওয়ার কোনো পূর্বাভাস পাননি অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে ইউপি। কিন্তু আমি এই সম্পর্কে কিছুই জানি না। এখানে আবহাওয়ার যন্ত্র বসানো হয়েছে। এর কাজ কী, এই ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই।’
কেন্দুয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. মোতাহার মিয়া বলেন, ‘আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার জন্য রেইন গজ মিটার কী, তা আমরা জানি না। এটা দিয়ে কী কাজ হয়, তা-ও জানি না। কবে বসিয়েছে, এই সম্পর্কে কিছুই ধারণা নেই আমাদের। তবে আগে থেকে আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে পারলে আমাদের অনেক উপকার হতো। আমরা সেভাবে প্রস্তুত নিতে পারতাম।’
প্রকল্পের আওতায় দেওয়া ট্যাব, প্রিন্টার, সিম কার্ড ও মডেমের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ওই প্রকল্প যখন শুরু হয়, তখন আমি এখানে ছিলাম না। আমি নতুন এসেছি। তা ছাড়া এই প্রকল্পে আমাদের কোনো ট্যাব, সিম কার্ড, ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়নি। শুনেছি, শুধু একজনকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাকে দেওয়া হয়েছিল, তা আমি জানি না। বর্তমানে ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।’
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও ডাসার উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মিলটন বিশ্বাস বলেন, ‘কয়েক বছর আগে ঢাকা থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসে প্রকল্পের কাজ করে গেছেন। আমাদের কাছ থেকে শুধু চাহিদা অনুযায়ী ইউনিয়নগুলোর নাম চেয়েছিলেন। আমরা নাম দিয়েছি। তাই এর থেকে বেশি কিছু জানি না।’
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সন্তোষ চন্দ চন্দ্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই অনেক স্থানে এর ব্যবহার হচ্ছে না। তা ছাড়া অচল যন্ত্রগুলো সচল করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, তারা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাদারীপুর জেলার ৫৯টি ইউনিয়নের ৫৬টিতে রেইন গেজ মিটার স্থাপন করে। এই যন্ত্রের নির্দিষ্ট এলাকার বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, ঝড়ের পূর্বাভাস, আলোক ঘণ্টাসহ ১০টি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও পূর্বাভাস তিন দিন আগে জানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পটি থেকে কৃষকেরা কোনো উপকার পাননি।
পাঁচ বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদের বাইরের দেয়ালে স্থাপিত এসব রেইন গেজ যন্ত্রের অধিকাংশ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কোথাও কোথাও অনেকগুলো উধাও হয়ে গেছে। এমনকি এসব যন্ত্র দেখাশোনা ও পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য প্রত্যেক উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দেওয়া ট্যাব, প্রিন্টার, সিম কার্ড ও মডেমের অধিকাংশেরই কোনো হদিস নেই।
কৃষকেরা বলছেন, রেইন গেজ কী জিনিস, সে সম্পর্কেই তাঁরা কিছু জানেন না। এগুলো তাঁদের কোনো কাজে আসেনি। ফলে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য স্থাপিত রেইন গেজ প্রকল্পের অর্থ বিফলে গেছে বলে কৃষকেরা অভিযোগ তুলেছেন।
মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটমাঝি ইউপির দেয়ালে আবহাওয়ার পূর্বাভাস যন্ত্রটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে আছে। এটি যাঁরা স্থাপন করেছেন, তাঁরাই বলতে পারবেন, এটির কী উপকারিতা আছে। আমরা এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না।’
ঘটমাঝি ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু তালেব বলেন, ‘ইউপির ছাদে আবহাওয়ার পূর্বাভাস যন্ত্রটির কিছু অংশ অনেক আগেই চুরি হয়ে গেছে। বাকি অংশ দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে আছে। এটা দিয়ে কৃষকের কোনো উপকারই হয়নি।’
মিজানুর রহমান নামের এক কৃষক বলেন, ‘আমরা কোনো দিনও ইউপি থেকে আবহাওয়ার আগাম তথ্য পাইনি। এই তথ্য পেলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। ফসল ফলাতে অনেকটাই কাজে আসত। অনেক সফল নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পেত। তা ছাড়া আমাদের ইউপিতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস যন্ত্র আছে, সেটি আমাদের জানা নেই। এই যন্ত্রের কাজ কী, তা-ও জানি না।’
কেন্দুয়া ইউপির পাশেই বাড়ি কৃষক জগদীশ দাসের। তিনি কখনো রেইন গেজ থেকে আবহাওয়ার কোনো পূর্বাভাস পাননি অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে ইউপি। কিন্তু আমি এই সম্পর্কে কিছুই জানি না। এখানে আবহাওয়ার যন্ত্র বসানো হয়েছে। এর কাজ কী, এই ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই।’
কেন্দুয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. মোতাহার মিয়া বলেন, ‘আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার জন্য রেইন গজ মিটার কী, তা আমরা জানি না। এটা দিয়ে কী কাজ হয়, তা-ও জানি না। কবে বসিয়েছে, এই সম্পর্কে কিছুই ধারণা নেই আমাদের। তবে আগে থেকে আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে পারলে আমাদের অনেক উপকার হতো। আমরা সেভাবে প্রস্তুত নিতে পারতাম।’
প্রকল্পের আওতায় দেওয়া ট্যাব, প্রিন্টার, সিম কার্ড ও মডেমের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ওই প্রকল্প যখন শুরু হয়, তখন আমি এখানে ছিলাম না। আমি নতুন এসেছি। তা ছাড়া এই প্রকল্পে আমাদের কোনো ট্যাব, সিম কার্ড, ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়নি। শুনেছি, শুধু একজনকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাকে দেওয়া হয়েছিল, তা আমি জানি না। বর্তমানে ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।’
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও ডাসার উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মিলটন বিশ্বাস বলেন, ‘কয়েক বছর আগে ঢাকা থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসে প্রকল্পের কাজ করে গেছেন। আমাদের কাছ থেকে শুধু চাহিদা অনুযায়ী ইউনিয়নগুলোর নাম চেয়েছিলেন। আমরা নাম দিয়েছি। তাই এর থেকে বেশি কিছু জানি না।’
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সন্তোষ চন্দ চন্দ্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই অনেক স্থানে এর ব্যবহার হচ্ছে না। তা ছাড়া অচল যন্ত্রগুলো সচল করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, তারা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর স্টল বরাদ্দের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একটি পক্ষের কথিত কালোতালিকাভুক্তদের কম জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, বাস্তবেও অনেকটা তাই হয়েছে। এ নিয়ে প্রকাশকদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রকাশকদের কেউ কেউ বিগত আওয়ামী সরকারের আমলের সুবিধাভ
৪ ঘণ্টা আগেবছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটনের ভরা মৌসুম। এই সময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে ঘুরতে বের হন; বিশেষ করে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি—দুই মাসে পর্যটকের বেশ চাপ থাকে কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাতায়াত সুবিধা নিয়ে। ভ্রমণপিয়াসি মানুষের দুর্ভোগ লাঘব
৪ ঘণ্টা আগেএকসময়ের উত্তাল খড়িয়া নদী এখন স্রোতহীন। দখল-দূষণে গতিহারা ময়মনসিংহের ফুলপুরের এই নদী। এর দুই পাশে এখন ফসল এবং মাঝখানে কচুরিপানায় ভরা। প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। নদীর জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে দোকানপাট, ঘরবাড়িসহ বহুতল ভবন। বছরের পর বছর ধরে চলা এই ‘নির্যাতনে’ নিজস্বতা হারিয়েছে নদীটি।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা সদরে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেতনা নদীর সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ওলামা লীগের এক নেতা নদী দখল করে মাছের ঘের করায় কামারডাঙ্গায় আটকে যায় ২৭০ মিটার অংশের খননকাজ। এর জেরে গত বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির পানি নদী দিয়ে সরতে না পারায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়েন চার উপজেলার দেড় লক্ষা
৪ ঘণ্টা আগে