নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা আবুল হোসেন। ৪০তম বিসিএসে ননক্যাডারে পাস করেও চার বছর ধরে তাঁর ছেলে চাকরি পাচ্ছে না। তাই গত কয়েক দিন ধরে ছেলের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এমন অব্যবস্থাপনা গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ছেলেমেয়েরা বিসিএস দেওয়ার আগ্রহ হারাবে। চাকরিই যদি না পায়, তাহলে পড়ালেখা করবে কেন? এত কষ্ট করে দিন-রাত এক করে ১৫০০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েও এরা বেকার বসে আছে।’
‘মেধাবীরা রাস্তায় কেন, পিএসসি জবাব চাই’ স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সামনে অবস্থান নিয়েছে ৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ ননক্যাডার সুপারিশপ্রত্যাশী ও চাকরিপ্রার্থী বেকার সমাজ। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পিএসসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। আন্দোলনরত ছেলে-মেয়েদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেই ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে ছেলের সঙ্গে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন আবুল হোসেন।
আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পিএসসির সামনে লাগাতার অবস্থান করে বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
উত্তীর্ণ ননক্যাডার সুপারিশপ্রত্যাশী সুমন জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বচ্ছ চাকরির ব্যবস্থা এটি। এই স্বচ্ছ মাধ্যমটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বর্তমান পিএসসি চেয়ারম্যান। তিনি চাইলেই আগের নিয়ম বজায় রাখতে পারেন। কিন্তু তিনি সেটা না করে আমাদের বাধ্য করছেন আন্দোলন করতে। নির্বাচনের আগে যুবসমাজকে এভাবে উসকে দেওয়ার কারণে দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন এই চাকরিপ্রার্থীরা।
সুদীপা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এর আগেও আমরা দেখেছি অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু আমাদের বেলাতেই প্রশাসন থেকে কেউ কোনো কথা বলতে চাইছেন না। আমরা তো একটা ন্যায্য দাবি নিয়ে এসেছি, আমাদের অর্জন করা জায়গাটা আমরা চাইছি, এর পরেও কেন আমাদের সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে না, আমরা জানতে চাই।
সুদীপা জানান, যত দিন না ৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ ননক্যাডার সুপারিশপ্রত্যাশী ও চাকরিপ্রার্থী সবাই চাকরি পাবেন, তাঁরা আন্দোলন করে যাবেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, ৬ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে বিসিএস ননক্যাডার প্রার্থীরা ৩০ অক্টোবর রোববার থেকে শুরু করে ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন পিএসসির সামনে লাগাতার অবস্থান করেও পিএসসি থেকে কোনো আশানুরূপ বক্তব্য পাননি। তাই ৬ নভেম্বর রোববার সকাল ১০টা থেকে পিএসসির সামনে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
ছয় দফা দাবি হচ্ছে—
১। যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত ননক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় নাই, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির পরে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখ ওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের এই বেকার বিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
২। বিজ্ঞপ্তির তারিখ ওয়ারী পদবিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে ৪০তম বিসিএস ননক্যাডারের পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং তারিখওয়ারি পদবিভাজনের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
৩। করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ননক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীকে ননক্যাডার সুপারিশ করতে হবে।
৪। যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ২৯ মার্চ, ২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস ননক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমানে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে হবে।
৫। বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসি মূল বক্তব্য আড়াল করে, অর্থাৎ ‘যার যা প্রাপ্য তাকে তা-ই দেওয়া হবে’—এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে বেকারবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬। বিগত এক যুগে পিএসসি যে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা আবুল হোসেন। ৪০তম বিসিএসে ননক্যাডারে পাস করেও চার বছর ধরে তাঁর ছেলে চাকরি পাচ্ছে না। তাই গত কয়েক দিন ধরে ছেলের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এমন অব্যবস্থাপনা গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ছেলেমেয়েরা বিসিএস দেওয়ার আগ্রহ হারাবে। চাকরিই যদি না পায়, তাহলে পড়ালেখা করবে কেন? এত কষ্ট করে দিন-রাত এক করে ১৫০০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েও এরা বেকার বসে আছে।’
‘মেধাবীরা রাস্তায় কেন, পিএসসি জবাব চাই’ স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সামনে অবস্থান নিয়েছে ৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ ননক্যাডার সুপারিশপ্রত্যাশী ও চাকরিপ্রার্থী বেকার সমাজ। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পিএসসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। আন্দোলনরত ছেলে-মেয়েদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেই ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে ছেলের সঙ্গে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন আবুল হোসেন।
আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পিএসসির সামনে লাগাতার অবস্থান করে বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
উত্তীর্ণ ননক্যাডার সুপারিশপ্রত্যাশী সুমন জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বচ্ছ চাকরির ব্যবস্থা এটি। এই স্বচ্ছ মাধ্যমটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বর্তমান পিএসসি চেয়ারম্যান। তিনি চাইলেই আগের নিয়ম বজায় রাখতে পারেন। কিন্তু তিনি সেটা না করে আমাদের বাধ্য করছেন আন্দোলন করতে। নির্বাচনের আগে যুবসমাজকে এভাবে উসকে দেওয়ার কারণে দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন এই চাকরিপ্রার্থীরা।
সুদীপা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এর আগেও আমরা দেখেছি অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু আমাদের বেলাতেই প্রশাসন থেকে কেউ কোনো কথা বলতে চাইছেন না। আমরা তো একটা ন্যায্য দাবি নিয়ে এসেছি, আমাদের অর্জন করা জায়গাটা আমরা চাইছি, এর পরেও কেন আমাদের সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে না, আমরা জানতে চাই।
সুদীপা জানান, যত দিন না ৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ ননক্যাডার সুপারিশপ্রত্যাশী ও চাকরিপ্রার্থী সবাই চাকরি পাবেন, তাঁরা আন্দোলন করে যাবেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, ৬ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে বিসিএস ননক্যাডার প্রার্থীরা ৩০ অক্টোবর রোববার থেকে শুরু করে ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন পিএসসির সামনে লাগাতার অবস্থান করেও পিএসসি থেকে কোনো আশানুরূপ বক্তব্য পাননি। তাই ৬ নভেম্বর রোববার সকাল ১০টা থেকে পিএসসির সামনে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
ছয় দফা দাবি হচ্ছে—
১। যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত ননক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় নাই, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির পরে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখ ওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের এই বেকার বিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
২। বিজ্ঞপ্তির তারিখ ওয়ারী পদবিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে ৪০তম বিসিএস ননক্যাডারের পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং তারিখওয়ারি পদবিভাজনের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
৩। করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ননক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীকে ননক্যাডার সুপারিশ করতে হবে।
৪। যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ২৯ মার্চ, ২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস ননক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমানে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে হবে।
৫। বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসি মূল বক্তব্য আড়াল করে, অর্থাৎ ‘যার যা প্রাপ্য তাকে তা-ই দেওয়া হবে’—এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে বেকারবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬। বিগত এক যুগে পিএসসি যে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে জাকির হোসেন বলেন, ‘এমন ছোট্ট সংযোগ সড়কে বিআরটিসির দোতলা বাসে কী করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পিকনিকে নিয়ে এল। সড়কের সামান্য ওপরে বৈদ্যুতিক তার। সেই তারে ছোট পরিবহন চলাচল যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ। সেই সড়কে কী করে বিআরটিসির দোতলা বাস চলাচল করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে
৫ মিনিট আগেসুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা...
১৬ মিনিট আগেনিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক
৩৮ মিনিট আগেছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এর মূল কারিগরই ছিলেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা। বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষকদের ন্যায়সংগত সকল দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হবে...
১ ঘণ্টা আগে