চাঁদাবাজি বন্ধের সঙ্গে ভাড়া কমানো প্রাসঙ্গিক নয়, এটা সরকারের হাতে: মালিক সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ২৪
Thumbnail image

সরকার পরিবর্তনের পর পরিবহন সেক্টরে ঢাকা পরিবহন মালিকদের নতুন আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। এই সেক্টরে চাঁদা ও দখলদারির নৈরাজ্য কমছে। তবে রাস্তায় বা টার্মিনালে চাঁদাবাজি বন্ধ হলেও এর সঙ্গে বাসভাড়া কমানোর সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মো. সাইফুল আলম। 

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘চাঁদামুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, নিরাপদ যাত্রীবান্ধব ও সুশৃঙ্খল সড়ক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। এ সময় ভাড়া সরকার থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করা হয়ে থাকে, তাই ভাড়ার বিষয়টি বাদে অন্যান্য দুর্ভোগ এখন থেকে কমানোর চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি। 

চাঁদাবাজি না থাকলে সেটা যাত্রীদের ভাড়ার ওপর কোনো ইতিবাচক প্রভাব রাখবে কি না জানতে চাইলে সাইফুল আলম বলেন, চাঁদার সঙ্গে ভাড়ার বিষয়টি প্রাসঙ্গিক নয়। ভাড়া নির্ধারণ সরকার থেকে করা হয়। চাঁদাবাজির কারণে যানজট, দুর্ভোগ, নৈরাজ্য তৈরি হয়। সেগুলো এখন থেকে যাতে না হয়, সেই বিষয়ে তাঁরা খেয়াল রাখবেন। 

রাজধানীর ভেতর চলাচলকারী বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাসশ্রমিকদের বিরোধ হয়। সে ক্ষেত্রে ভাড়া যারা বেশি নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়ে সাইফুল আলম বলেন, এই ভাড়াও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত। তবে যেসব বাস কোম্পানি তাদের মনমতো ভাড়া নির্ধারণ করে, সেগুলো মালিক সমিতি বন্ধ করবে। 

চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুল আলম বলেন, কমিউনিটি ট্রাফিকের নামে বাসপ্রতি ১০ টাকা, টার্মিনাল ও অন্যান্য চার্জ ২০ টাকা। এ ছাড়া মালিক সমিতি নিত ৩০ টাকা করে। এই টাকাটা বৈধভাবেই নেওয়া হতো। এর বাইরে কোনো টাকা চাঁদা নেওয়ার সুযোগ নেই। 

মতবিনিময় সভায় সড়কে বিশৃঙ্খলার ৮০ ভাগের জন্য দায়ী সরকার ও প্রশাসন বলে অভিযোগ করেন বাস মালিক সমিতির নেতারা। 

সভায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম কাজল বলেন, পরিবহন সেক্টরের বেশির ভাগ সমস্যাই কাঠামোগত। ৮০ ভাগ সমস্যা সরকার ও প্রশাসনের জন্য হয়। এখানে বাসমালিকদের সমস্যা মাত্র ২০ ভাগ হতে পারে। 

বিশৃঙ্খলা শুধু বাসমালিকেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না জানিয়ে সাইফুল আলম বলেন, একই সড়কের যন্ত্রচালিত যানবাহন এবং অযন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া অবৈধ যেসব যানবাহন রয়েছে, সেগুলো বন্ধ সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। হাঁটার জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে এবং বাসস্টপেজ নিশ্চিত করতে হবে। 

মতবিনিময় সভা থেকে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ছয়টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃত্বে যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধ ও যাত্রীবান্ধব পরিবহনসেবা নিশ্চিত করা। সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য মালিক/শ্রমিক ও প্রশাসনের সহযোগিতায় চেষ্টা অব্যাহত রাখা। টার্মিনালে চালক-শ্রমিকদের নিয়মিত কাউন্সেলিং/মোটিভেশন সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত