নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রেলস্টেশনে মানুষের ভিড়ই বলে দিচ্ছে ঈদ কড়া নাড়ছে। যাঁরা অনেক যুদ্ধ করে অগ্রিম টিকিট কাটতে পেরেছিলেন, এবার তাঁরা কিছুটা আরামে নির্বিঘ্নে যাত্রা করতে পারছেন। তবে স্টেশনে টিকিট ছাড়াও অনেক যাত্রী আসছেন। এসব যাত্রীর ট্রেনে বাড়ি যেতে ভরসা এখন স্ট্যান্ডিং টিকিট। যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী এবার রেল কর্তৃপক্ষ প্রতি ট্রেনের ২০ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করছেন। এর ফলে টিকিটবিহীন যাত্রী ট্রেনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
এমনই একজন যাত্রী মোহাম্মদ জুয়েল রানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করেন। শনিবার সকালেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রেনে এসেছেন ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন। ছুটিতে যাবেন গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। ট্রেনের টিকিট নেই, তাই ৫২০ টাকা দিয়ে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেছেন।
এই টিকিট দিয়ে বিমানবন্দর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যাবেন। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কাটতে পারিনি। শেষ সময়ে এসে এখন আসলে কিছু করার নেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যেতেই হবে। সেটা যেভাবেই হোক। সড়কপথে যানজট এড়াতে বাসের টিকিট কাটিনি। আর গতকাল রাতে যারা বাসে রওনা দিয়েছেন, তারা এখনো গন্তব্যে যেতে পারেননি। তাই একটু কষ্ট হলেও ট্রেনে যাওয়াই ভালো, এতে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।’
বিমানবন্দর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই স্টেশনের সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীর চাপ থাকলেও নির্বিঘ্নেই ট্রেনযাত্রা চলছে। কমলাপুর থেকে ট্রেন বিমানবন্দর স্টেশনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। প্রতিটি ট্রেন আসার আগেই যাত্রীদের ভিড় থাকলেও ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরে ভিড় কিছুটা কমে যাচ্ছে। তবে টিকিট ছাড়া যাত্রীর সংখ্যাও পর্যাপ্ত রয়েছে স্টেশনে। সবাই যাতে যেতে পারে, সে জন্য রেল কর্তৃপক্ষ স্ট্যান্ডিং টিকিটি দিয়ে যাত্রীদের যাত্রা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে প্রায় ২০টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ৫০ মিনিট, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস আধা ঘণ্টা এবং রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস আধা ঘণ্টা দেরিতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। এই প্রতিবেদনে লেখা পর্যন্ত পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস যথাসময়ে ছেড়ে যায়নি।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের ছুটি এবার বেশি হওয়ায় সবাই মোটামুটি আগেভাগেই চলে গেছে। যাত্রীদের একসঙ্গে যাওয়ার চাপ নেই। ফলে যে ধরনের চাপ হওয়ার কথা ছিল, সে ধরনের কোনো চাপ পড়ছে না ট্রেনে। ফলে ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত নির্বিঘ্ন হচ্ছে ট্রেনে। দু-একটি ট্রেন কিছুটা সময় দেরিতে যাচ্ছে, তবে সেটা স্বাভাবিক। ছাদে কোনো যাত্রী আমরা উঠতে দিচ্ছি না। সবাই যাতে বাড়ি যেতে পারে, তার জন্য আমরা ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিটও দিচ্ছি।’
ট্রেনের ঈদযাত্রা নিয়ে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী রুমানা হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমলাপুর থেকে যথাসময়ে ট্রেনটি ছেড়ে এসেছে। এসি সিট না পাওয়াই শোভন চেয়ারে যাচ্ছি। অতিরিক্ত গরমে ট্রেনের মধ্যে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেনে সিটের বাইরে অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে যাচ্ছে, ফলে অবস্থা আরও খারাপ। সব মিলিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।’
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ শনিবার ঢাকা থেকে আন্তনগর, এক্সপ্রেস, লোকাল, কমিউটারসহ মোট ১২২টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে আন্তনগর ও ঈদ স্পেশাল ট্রেনের সিট ক্যাপাসিটি আছে ৩৩ হাজার এবং লোকাল, কমিউটার, এক্সপ্রেস ট্রেনের সিট ক্যাপাসিটি আছে ৩০ হাজার। সব মিলে প্রতিদিন প্রায় ৬৩ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে ট্রেনে।
রেলস্টেশনে মানুষের ভিড়ই বলে দিচ্ছে ঈদ কড়া নাড়ছে। যাঁরা অনেক যুদ্ধ করে অগ্রিম টিকিট কাটতে পেরেছিলেন, এবার তাঁরা কিছুটা আরামে নির্বিঘ্নে যাত্রা করতে পারছেন। তবে স্টেশনে টিকিট ছাড়াও অনেক যাত্রী আসছেন। এসব যাত্রীর ট্রেনে বাড়ি যেতে ভরসা এখন স্ট্যান্ডিং টিকিট। যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী এবার রেল কর্তৃপক্ষ প্রতি ট্রেনের ২০ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করছেন। এর ফলে টিকিটবিহীন যাত্রী ট্রেনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
এমনই একজন যাত্রী মোহাম্মদ জুয়েল রানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করেন। শনিবার সকালেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রেনে এসেছেন ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন। ছুটিতে যাবেন গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। ট্রেনের টিকিট নেই, তাই ৫২০ টাকা দিয়ে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেছেন।
এই টিকিট দিয়ে বিমানবন্দর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যাবেন। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কাটতে পারিনি। শেষ সময়ে এসে এখন আসলে কিছু করার নেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যেতেই হবে। সেটা যেভাবেই হোক। সড়কপথে যানজট এড়াতে বাসের টিকিট কাটিনি। আর গতকাল রাতে যারা বাসে রওনা দিয়েছেন, তারা এখনো গন্তব্যে যেতে পারেননি। তাই একটু কষ্ট হলেও ট্রেনে যাওয়াই ভালো, এতে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।’
বিমানবন্দর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই স্টেশনের সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীর চাপ থাকলেও নির্বিঘ্নেই ট্রেনযাত্রা চলছে। কমলাপুর থেকে ট্রেন বিমানবন্দর স্টেশনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। প্রতিটি ট্রেন আসার আগেই যাত্রীদের ভিড় থাকলেও ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরে ভিড় কিছুটা কমে যাচ্ছে। তবে টিকিট ছাড়া যাত্রীর সংখ্যাও পর্যাপ্ত রয়েছে স্টেশনে। সবাই যাতে যেতে পারে, সে জন্য রেল কর্তৃপক্ষ স্ট্যান্ডিং টিকিটি দিয়ে যাত্রীদের যাত্রা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে প্রায় ২০টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ৫০ মিনিট, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস আধা ঘণ্টা এবং রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস আধা ঘণ্টা দেরিতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। এই প্রতিবেদনে লেখা পর্যন্ত পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস যথাসময়ে ছেড়ে যায়নি।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের ছুটি এবার বেশি হওয়ায় সবাই মোটামুটি আগেভাগেই চলে গেছে। যাত্রীদের একসঙ্গে যাওয়ার চাপ নেই। ফলে যে ধরনের চাপ হওয়ার কথা ছিল, সে ধরনের কোনো চাপ পড়ছে না ট্রেনে। ফলে ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত নির্বিঘ্ন হচ্ছে ট্রেনে। দু-একটি ট্রেন কিছুটা সময় দেরিতে যাচ্ছে, তবে সেটা স্বাভাবিক। ছাদে কোনো যাত্রী আমরা উঠতে দিচ্ছি না। সবাই যাতে বাড়ি যেতে পারে, তার জন্য আমরা ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিটও দিচ্ছি।’
ট্রেনের ঈদযাত্রা নিয়ে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী রুমানা হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমলাপুর থেকে যথাসময়ে ট্রেনটি ছেড়ে এসেছে। এসি সিট না পাওয়াই শোভন চেয়ারে যাচ্ছি। অতিরিক্ত গরমে ট্রেনের মধ্যে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেনে সিটের বাইরে অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে যাচ্ছে, ফলে অবস্থা আরও খারাপ। সব মিলিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।’
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ শনিবার ঢাকা থেকে আন্তনগর, এক্সপ্রেস, লোকাল, কমিউটারসহ মোট ১২২টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে আন্তনগর ও ঈদ স্পেশাল ট্রেনের সিট ক্যাপাসিটি আছে ৩৩ হাজার এবং লোকাল, কমিউটার, এক্সপ্রেস ট্রেনের সিট ক্যাপাসিটি আছে ৩০ হাজার। সব মিলে প্রতিদিন প্রায় ৬৩ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে ট্রেনে।
বিচার বিভাগীয় সংস্কারে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অপরিহার্য। কার্যকর এডিআর ব্যবস্থার মাধ্যমে মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও মামলা জট কমানো সম্ভব। ব্লাস্ট আয়োজিত ‘বিচার বিভাগীয় ও পুলিশ সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাবিত সুপারিশমালা’ শীর্ষক আলোচনায় এ সব কথা উঠে আসে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর বিশ্ব সাহিত
৪ মিনিট আগেনিহত শাহরিয়ার নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার চারকাতিয়া গ্রামের মো. ললিত মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার স্থানীয় মুনমুনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় প্যারামাউন্ট কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর মামা রনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের হুসেন আলীর ছেলে।
১১ মিনিট আগেমাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ ঠেঙ্গামারা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ১২টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেলগুলো উদ্ধার করে।
২০ মিনিট আগেশৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) পাঁচজন শিক্ষক, ছয়জন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ২১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম সিন্ডিকেট সভায় তাঁদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩৫ মিনিট আগে