Ajker Patrika

ঘুমন্ত সন্তানকে বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপ দেন মা, এখন লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে

আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
ঘুমন্ত সন্তানকে বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপ দেন মা, এখন লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে

তীব্র শীতে কাঁপছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। ঠান্ডা বাতাসে শরীরে কাঁপুনি ধরা আর ক্লান্তি শরীর নিয়ে হয়তো একটু আগেই ঘুমিয়ে যাওয়া শুরু করেছিলেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মোল্লাবাড়ি বস্তির বাসিন্দারা। তাই তো কয়েক দিন ধরে রাত নামার পর বস্তিজুড়ে বিরাজ করত নীরবতা। কিন্তু গত শুক্রবার দিবাগত রাত প্রায় আড়াইটার দিকে হঠাৎ করেই আগুন চিৎকারে ঘুম ভাঙে সবার। অন্যদের মতো ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন নাজমা বেগম ও ওমর ফারুক দম্পতিও। কোথায় আগুন লেগেছে সেটি দেখতে বের হয়ে দেখেন, নিজেদের ঘরেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছে। আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁদের মাথায়। ঘরের ভেতরে তখন ঘুমিয়ে ছিল সাড়ে তিন বছরের সন্তান। 

নিজের জীবনের পরোয়া না করে দাউ দাউ করে জ্বলা আগুনের ঘরেই ঝাঁপিয়ে পড়েন নাজমা। তিন বছরের ছেলে নজরুল ইসলামকে বুকে জড়িয়ে দগ্ধ অবস্থায় ঘর থেকে বেড়িয়ে আসেন। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নাজমা বেগম। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শ্বাসনালিসহ তাঁর শরীরের ২৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

নাজমা ছাড়াও আরও দুজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁরা হলেন—নাজমার চাচা নুর মোহাম্মদ (২৮) ও লিয়ন (১২)। তাঁদের মধ্যে শুধু নাজমাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রাখা হয়েছে। 

নাজমার শ্বশুর আব্দুল মালেক জানান, তাঁদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দাসপাড়া গ্রামে। বর্তমানে মোল্লাবাড়ি বস্তিতে আশরাফ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁর ছেলে ওমর ফারুকের কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। কারওয়ান বাজারের মাছ বাজারে মাথায় করে বোঝা বহন করে সে। ওমরের স্ত্রী নাজমা শ্বশুরের ভাতের দোকানে কাজ করে। তাঁদের দুই ছেলে নজরুল ইসলাম (৩) ও নাজমুল ইসলাম (৭)। নাজমুল মাদ্রাসায় পড়ে এবং সেখানেই থাকে। 

অগ্নিকাণ্ডের সময় বাড়িতে পাশাপাশি দুটি কক্ষে ছিল তাঁরা। মাঝরাতে আগুন লাগলে মানুষের চিৎকারে তাদের ঘুম ভাঙে। ছেলে নজরুলকে রেখেই তার বাবা-মা বাইরে বের হয়ে দেখেন, তাদের পাশের ঘর পর্যন্ত দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। মুহূর্তেই তাদের ঘরেও আগুন ধরে যায়। তখন তাদের মনে পড়ে ঘরের ভেতর ছেলে ঘুমিয়ে আছে। ততক্ষণে দরজায় আগুন ধরে যাওয়ায় ঘরে ঢোকার কোনো রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাঁরা। এ সময় শিশু নজরুলের দূরসম্পর্কের চাচা নুর মোহাম্মদ ওই ঘরের টিন ভেঙে ঘরে ঢোকার জায়গা করেন। সেখান দিয়ে নাজমা ভেতরে ঢুকে ছেলেকে নিয়ে বের হওয়ার সময় আগুনের তাপে ঝলসে যায় তাঁর দুই হাত, মুখমণ্ডল ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান। পুড়ে যায় শিশুটির দুই হাত ও মুখমণ্ডল। দুই হাতে সামান্য দগ্ধ হয় নুর মোহাম্মদেরও। 

নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আগুন লাগার পরে ঘরের কোনো মালামাল সরাতে পারিনি। পরনের শার্ট আর লুঙি ছাড়া সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরে ৬০-৭০ হাজার টাকা ছিল। ভাতের দোকানের লাভ থেকে কিছু কিছু করে জমাচ্ছিলাম গ্রামের বাড়িতে একটা ঘর করব বলে। কিন্তু আগুনে সব পুড়ে গেছে। একটা টিভি ছিল, ফ্রিজ ছিল, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নতুন করে করে ভাতের দোকান শুরু করাও এখন সম্ভব না।’ 

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, মোল্লাবাড়ি বস্তির আগুনের ঘটনায় মা-ছেলেকে নিয়ে আসা হয়। মা নাজমার শরীরের ২৩ শতাংশ ও শিশুটির ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। নাজমাকে ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছে। তবে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নাজমার অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

এই ঘটনায় বস্তির ৩০০ ঘর পুড়েছে। আগুনে পুড়ে মারা গেছে জামালপুরের শারমিন আক্তার ও তার দুই বছরের ছেলে নাফি ইসলাম। শারমিনের মা–বাবার বাসা ওই বস্তিতে। সেখানে গত ডিসেম্বরে বেড়াতে আসেন। তার স্বামী মিজানুর রহমান থাকেন তেজগাঁও মহিলা কলেজের পাশের একটি মেসে। আগুনের খবর শুনে তিনি বস্তিতে রাতেই আসেন। তবে স্ত্রী ও সন্তানকে পান শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। তবে খালি চোখে তাঁদের চেনা যায় না। তবুও স্ত্রী সন্তানকে চিনেছেন মিজানুর রহমান। 

মিজানুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি স্ত্রীর হাতের চুড়ি দেখে চিনতে পেরেছি। আমি যে চুড়ি কিনে দিয়েছিলাম, সেই চুড়ি হাতে দেখেই আমি আমার স্ত্রীকে চিনেছি।’ তবে পুলিশ তাঁদের ডিএনএ পরীক্ষা করবে বলে জানা গেছে। 

এদিকে এই ঘটনা নাশকতা নাকি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মোল্লাবাড়ি বস্তির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। কমিটি আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সভাপতি ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্যসচিব উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন, সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক, উপসহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম ও সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন। 

এদিকে ভুক্তভোগীদের ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসি)। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মোল্লা বাড়ির বস্তিটি একটি বেসরকারি মালিকানাধীন। এখানে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। সরেজমিনে এসে দেখলাম প্রায় সবগুলো ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। এই তীব্র শীতে যেন তাদের কষ্ট না হয় সে জন্য পর্যাপ্ত কম্বল সরবরাহ করা হবে। ইতিমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে শুকনো খাবার ও কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত