আউটসোর্সিং মুক্ত হতে চান এলডিডিপির সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২২: ২৮
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ০৩
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সামনে এলডিডিপির সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এলডিডিপি প্রকল্পের প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের (এলইও) আউটসোর্সিং মুক্ত করে প্রকল্পের অধীনে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার এ দাবিতে তাঁরা রাজধানীর প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচির আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী এলইও পরিষদ।

আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা প্রত্যেকে কৃষিবিদ। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন। সরকারের আউট সোর্সিং নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে (এলডিডিপি) আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সারা দেশে ৪৮৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান পাথমার্ক অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড এলইও কর্মকর্তাদের বেতনের ১০ শতাংশ কমিশন পাচ্ছে। এই কোম্পানি মালিক ফ্যাসিবাদের দোসর।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাথমার্ক কোম্পানির মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমামের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম।

এলডিডিপির প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয় রোববার থেকে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শতাধিক আন্দোলনকারী অফিস চলাকালীন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।

তাদের একটি ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের আউটসোর্সিং মুক্ত করে প্রকল্পের অধীনে স্থানান্তরের দাবি’। আরেকটি ব্যানারে লেখা, ‘ফ্যাসিবাদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না। গণহত্যাকারীদের পুনরুত্থান প্রতিরোধে কর্মসূচি।’

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. মহিউদ্দিন আকরাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও এলডিডিপি প্রকল্পের পিডির সঙ্গে মিটিং করেছি। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে এলডিডিপির চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী ব্যস্ততার অজুহাতে এড়িয়ে গেছেন।

তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জসিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে নবম গ্রেডে আউট সোর্সিং হয় না। ওদের গোঁজামিল দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এত দিন চাকরি করে দক্ষতা অর্জন করেছে, তারা এখন চাকরির নিশ্চয়তা চায়। আমরা তাদের কথা শুনেছি, তাদের দক্ষতা কীভাবে কাজে লাগানো যায় তার জন্য আমরা চেষ্টা করব। সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।’

উল্লেখ্য, প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো ও খামারিদের ভাগ্যোন্নয়নে ২০১৯ সালে হাতে নেওয়া হয় এলডিডিপি প্রকল্প। বিশ্ব ব্যাংকের ঋণে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত এই প্রকল্প শুরু থেকে অনেক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

এলডিডিপি প্রকল্প নিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘৫ হাজার কোটির প্রকল্পে লুট’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। এর কয়েক দিন পরেই দুর্নীতি ও অপচয় কমাতে এলডিডিপি প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে এক হাজার ৭৩ কোটি ৫৪ লাখ ৭২ হাজার টাকার কার্যক্রম বাতিল করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন:

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত