ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
ফসলের ক্ষতি করতে পটু ইঁদুর। যদিও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই প্রাণীর প্রয়োজন আছে। তাই ইঁদুর না মেরে তালপাতা ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল রক্ষা করে আসছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার নালী ইউনিয়নের হেলাচিয়া চকে গিয়ে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে পাকা ও আধা পাকা বোরো ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখানে রয়েছে মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, ঢ্যাঁড়সসহ বিভিন্ন সবজিখেত। ধানের খেতে বাঁশের চটা পোঁতা, এর সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়েছে একটি করে বড় শুকনো তালপাতা। তালপাতার ওপর পাখি ওড়াউড়ি করছে, আবার তাতে বসে পোকামাকড় খাচ্ছে।
কয়েকজন কৃষক জানান, ফসলের খেতে তালপাতার ব্যবহার রাতে ইঁদুর তাড়াতে সাহায্য করে। এটা হচ্ছে ইঁদুর তাড়ানোর অতি প্রাচীন পদ্ধতি। এটি অনেক বেশি কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব। এখন অধিকাংশ অঞ্চলে এই পদ্ধতি তেমন ব্যবহার না হলেও নালী ইউনিয়নের কৃষকেরা ইঁদুর তাড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
হেলাচিয়া গ্রামের প্রবীণ কৃষক আতাব আলী বলেন, ‘খেতের ইঁদুর তাড়াতে ও পাখি বসতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। এতে জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব কমে যায় এবং ফলন ভালো পাওয়া যায়। আর ইঁদুর মারার ঝামেলা হয় না।’
তেরোদোনা গ্রামের কৃষক মো. সমেজ উদ্দিন বলেন, ‘শুকনা তালপাতার ডাল বোরো ধানের জমিতে পুঁতে রাখলে বাতাসে ছনছন শব্দে ইঁদুর পালিয়ে যায়। ধান ও খেসারির জমিতে এই পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছি।’
ফসলে ইঁদুর ক্ষতি করার বিষয়ে গাংডুবি গ্রামের কৃষক (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) মনীন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘ধানখেতে ইঁদুরের আক্রমণে অনেক গাছের গোড়া কেটে ফেলে। খেতে অনেক বড় বড় গর্ত তৈরি করে পাকা ধান নিয়ে সেই গর্ত ভরে। দিনের বেলা মানুষের উপস্থিতির কারণে তাঁরা কম আক্রমণ করে। তবে রাত হলে উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই এই তালপাতা ব্যবহার করা হয়। রাতে শুকনা তালপাতা বাতাসে নড়ে উচ্চ শব্দে ছন ছন করে ওঠে, এতে ইঁদুর পালিয়ে যায়।’
তালপাতা ব্যবহারের পদ্ধতি তৈরি করতে বাঁশ, দড়ি, বাঁশের কঞ্চি ও বড় আকারের শুকনো তালপাতা লাগে বলে জানান স্থানীয় কৃষি গবেষক সুবীর সরকার। তিনি বলেন, ‘ইঁদুর প্রাণীটি না মেরে তা তাড়াতে এটি একটি বিলুপ্তপ্রায় পরিবেশবান্ধব আদি পদ্ধতি। তবে তালপাতার অপ্রতুলতা এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে এই পদ্ধতি এখন চোখে পড়ে না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘তালপাতা পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন খুব কম কৃষকই করছেন। এই পদ্ধতি পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। এটা তৈরিতে খুব বেশি টাকার দরকার হয় না।’
ফসলের ক্ষতি করতে পটু ইঁদুর। যদিও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই প্রাণীর প্রয়োজন আছে। তাই ইঁদুর না মেরে তালপাতা ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল রক্ষা করে আসছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার নালী ইউনিয়নের হেলাচিয়া চকে গিয়ে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে পাকা ও আধা পাকা বোরো ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখানে রয়েছে মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, ঢ্যাঁড়সসহ বিভিন্ন সবজিখেত। ধানের খেতে বাঁশের চটা পোঁতা, এর সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়েছে একটি করে বড় শুকনো তালপাতা। তালপাতার ওপর পাখি ওড়াউড়ি করছে, আবার তাতে বসে পোকামাকড় খাচ্ছে।
কয়েকজন কৃষক জানান, ফসলের খেতে তালপাতার ব্যবহার রাতে ইঁদুর তাড়াতে সাহায্য করে। এটা হচ্ছে ইঁদুর তাড়ানোর অতি প্রাচীন পদ্ধতি। এটি অনেক বেশি কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব। এখন অধিকাংশ অঞ্চলে এই পদ্ধতি তেমন ব্যবহার না হলেও নালী ইউনিয়নের কৃষকেরা ইঁদুর তাড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
হেলাচিয়া গ্রামের প্রবীণ কৃষক আতাব আলী বলেন, ‘খেতের ইঁদুর তাড়াতে ও পাখি বসতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। এতে জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব কমে যায় এবং ফলন ভালো পাওয়া যায়। আর ইঁদুর মারার ঝামেলা হয় না।’
তেরোদোনা গ্রামের কৃষক মো. সমেজ উদ্দিন বলেন, ‘শুকনা তালপাতার ডাল বোরো ধানের জমিতে পুঁতে রাখলে বাতাসে ছনছন শব্দে ইঁদুর পালিয়ে যায়। ধান ও খেসারির জমিতে এই পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছি।’
ফসলে ইঁদুর ক্ষতি করার বিষয়ে গাংডুবি গ্রামের কৃষক (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) মনীন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘ধানখেতে ইঁদুরের আক্রমণে অনেক গাছের গোড়া কেটে ফেলে। খেতে অনেক বড় বড় গর্ত তৈরি করে পাকা ধান নিয়ে সেই গর্ত ভরে। দিনের বেলা মানুষের উপস্থিতির কারণে তাঁরা কম আক্রমণ করে। তবে রাত হলে উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই এই তালপাতা ব্যবহার করা হয়। রাতে শুকনা তালপাতা বাতাসে নড়ে উচ্চ শব্দে ছন ছন করে ওঠে, এতে ইঁদুর পালিয়ে যায়।’
তালপাতা ব্যবহারের পদ্ধতি তৈরি করতে বাঁশ, দড়ি, বাঁশের কঞ্চি ও বড় আকারের শুকনো তালপাতা লাগে বলে জানান স্থানীয় কৃষি গবেষক সুবীর সরকার। তিনি বলেন, ‘ইঁদুর প্রাণীটি না মেরে তা তাড়াতে এটি একটি বিলুপ্তপ্রায় পরিবেশবান্ধব আদি পদ্ধতি। তবে তালপাতার অপ্রতুলতা এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে এই পদ্ধতি এখন চোখে পড়ে না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘তালপাতা পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন খুব কম কৃষকই করছেন। এই পদ্ধতি পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। এটা তৈরিতে খুব বেশি টাকার দরকার হয় না।’
পশ্চিম শিবরামপুর কোম্পানি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোরী দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে। এই ঘটনায় পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
৫ মিনিট আগেপিস্তল–গুলিসহ বাগেরহাটের রামপালে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারের একটি রাইস মিল থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ২৫ রাউন্ড শটগানের গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ (শনিবার) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
৬ মিনিট আগেজনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কোটা প্রশাসন ক্যাডারের জন্য বরাদ্দ রাখা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান।
৮ মিনিট আগেখুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বিরাট গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জীবনে পরিবর্তনের আশা জাগাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ‘প্রজেক্ট সমৃদ্ধি’। পুরোনো কাপড় আর পাটের সৃজনশীল ব্যবহারের মাধ্যমে শুধু পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি নয় নারীদের স্বাবলম্বী করার পথ দেখাচ্ছে। পাশাপাশি, শিশুদের সৃজনশীল
৯ মিনিট আগে