নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মহান ভাষা আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য, প্রবীণ সাংবাদিক, জাতির অভিভাবক অধ্যাপক আবদুল গফুর আর নেই। তিনি আজ শুক্রবার বেলা ২টা ৪৩ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে ও তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ আত্মীয়স্বজন এবং অসংখ্য অনুরাগী রেখে গেছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাতিজা মো. মুঈদুজ্জামান মহিত।
ভাষা আন্দোলনের কিংবদন্তি অধ্যাপক আবদুল গফুর ১৯২৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ীর দাদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র সৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি। ভাষা আন্দোলনের প্রথম সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিস পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তোলে। এ সময় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আবুল কাসেমের সঙ্গে অগ্রণী সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আবদুল গফুর।
১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর তমদ্দুন মজলিসের বাংলা মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হলে গফুর প্রথমে এর সহসম্পাদক এবং পরে সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সৈনিক পত্রিকার বিশেষ সংখ্যার শিরোনাম ছিল ‘শহিদ ছাত্রদের তাজা রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত, মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে ছাত্র সমাবেশে পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণ।’ এ কারণে ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ পত্রিকাটির অফিস অবরোধ করে সম্পাদক আবদুল গফুর ও প্রকাশক আবুল কাসেমকে গ্রেপ্তার করে।
ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০০৫ সালে একুশে পদক প্রদান করে। শিক্ষাজীবনে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ইন্টারমিডিয়েটে স্ট্যান্ড করা ছাত্র ছিলেন তিনি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অত্যন্ত সাদা মনের গুণী মানুষ অধ্যাপক আবদুল গফুর দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন।
তাঁর ছেলে সাংবাদিক তারেক আল বান্না সবার কাছে পিতার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
মহান ভাষা আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য, প্রবীণ সাংবাদিক, জাতির অভিভাবক অধ্যাপক আবদুল গফুর আর নেই। তিনি আজ শুক্রবার বেলা ২টা ৪৩ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে ও তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ আত্মীয়স্বজন এবং অসংখ্য অনুরাগী রেখে গেছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাতিজা মো. মুঈদুজ্জামান মহিত।
ভাষা আন্দোলনের কিংবদন্তি অধ্যাপক আবদুল গফুর ১৯২৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ীর দাদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র সৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি। ভাষা আন্দোলনের প্রথম সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিস পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তোলে। এ সময় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আবুল কাসেমের সঙ্গে অগ্রণী সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আবদুল গফুর।
১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর তমদ্দুন মজলিসের বাংলা মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হলে গফুর প্রথমে এর সহসম্পাদক এবং পরে সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সৈনিক পত্রিকার বিশেষ সংখ্যার শিরোনাম ছিল ‘শহিদ ছাত্রদের তাজা রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত, মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে ছাত্র সমাবেশে পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণ।’ এ কারণে ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ পত্রিকাটির অফিস অবরোধ করে সম্পাদক আবদুল গফুর ও প্রকাশক আবুল কাসেমকে গ্রেপ্তার করে।
ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০০৫ সালে একুশে পদক প্রদান করে। শিক্ষাজীবনে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ইন্টারমিডিয়েটে স্ট্যান্ড করা ছাত্র ছিলেন তিনি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অত্যন্ত সাদা মনের গুণী মানুষ অধ্যাপক আবদুল গফুর দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন।
তাঁর ছেলে সাংবাদিক তারেক আল বান্না সবার কাছে পিতার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে কোমরতাঁতে বোনা কাপড় খুবই জনপ্রিয়। আর এ কাপড় বোনেন পাহাড়ি নারীরা। তবে আধুনিক বয়নশিল্পের প্রভাব এবং সুতাসহ কাঁচামালের দাম বাড়ায় এখন আর পোষাতে পারছেন না তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকেও নেই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার কোনো উদ্যোগ। তাই হারাতে বসেছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী এ শিল
২৬ মিনিট আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে সাদিকুর রহমান সাদিক (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সন্দলপুরে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩২ মিনিট আগেডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে