নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম আগামী ২৯ আগস্ট নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
পিকে হালদার ছাড়াও অন্যান্য আসামিরা হলেন—পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা অনিন্দিতা, অনন্য মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
এর আগে গত ২৭ মার্চ পিকে হালদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সিনিয়র বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। পরে ৭ জুলাই মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-১০ এ স্থানান্তর করেন।
এই মামলায় অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে রয়েছেন।
আজ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কারাগারে থাকা দুই আসামির পক্ষে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এদিকে কারাগারে থাকা আসামি সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধার পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। জামিনের আবেদন শুনানির জন্যও ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পিকে হালদার নামী-বেনামি বিভিন্ন কোম্পানির নামে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার করেন। এই টাকা আর ফেরত না আসায় ওই ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। প্রতিষ্ঠান চারটি হলো—ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
টাকা হাতিয়ে নেওয়ার আগে শেয়ার কিনে তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি জানাজানি হয় ২০২০ সালের শুরুতে। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের শেষ দিকে দেশ ছাড়েন পিকে হালদার। পলাতক অবস্থায় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, পিকে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজার ৭৯০ শতাংশ জমি কিনেছেন। এই সম্পদের বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী এই সম্পদের মূল্য ৯৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিজের নামে তিনি জমি কিনেছেন ৪ হাজার ১৭৪ শতাংশ। এর দাম দলিলে দেখানো হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩০ টাকা। অথচ এই সম্পদের বর্তমান মূল্য ২২৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে পিকের নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, পিকে হালদার তাঁর নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদারের নামে উত্তরায় একটি ভবন ক্রয় করেন, যার দাম ১২ কোটি টাকা। আর পূর্ণিমার ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রির নামে তেজগাঁও, তেজতুরী বাজার ও গ্রিনরোডে ১০৯ শতাংশ জমি কেনেন। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। প্রশান্ত তাঁর কাগুজে কোম্পানি ক্লিউইস্টোন ফুডসের নামে কক্সবাজারে ২ একর জমির ওপর আটতলা হোটেল (রেডিসন নামে পরিচিত) তৈরি করেছেন। যার আর্থিক মূল্য এখন ২৪০ কোটি টাকা। এ ছাড়া পিকের খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী এবং অনঙ্গ মোহন রায়ের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০৪ শতাংশ জমি কিনেছেন, এর দাম ১৬৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও কানাডীয় ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিকে হালদার ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তাঁর ভাই প্রীতিশ হালদারের কাছে ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৬৪ কানাডীয় ডলার পাচার করেন। বাংলাদেশি টাকায় তা দাঁড়ায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা।
মামলায় বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।
উল্লেখ্য পিকে হালদার বর্তমানে ভারতের একটি কারাগারে বন্দী আছেন।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম আগামী ২৯ আগস্ট নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
পিকে হালদার ছাড়াও অন্যান্য আসামিরা হলেন—পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা অনিন্দিতা, অনন্য মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
এর আগে গত ২৭ মার্চ পিকে হালদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সিনিয়র বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। পরে ৭ জুলাই মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-১০ এ স্থানান্তর করেন।
এই মামলায় অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে রয়েছেন।
আজ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কারাগারে থাকা দুই আসামির পক্ষে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এদিকে কারাগারে থাকা আসামি সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধার পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। জামিনের আবেদন শুনানির জন্যও ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পিকে হালদার নামী-বেনামি বিভিন্ন কোম্পানির নামে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার করেন। এই টাকা আর ফেরত না আসায় ওই ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। প্রতিষ্ঠান চারটি হলো—ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
টাকা হাতিয়ে নেওয়ার আগে শেয়ার কিনে তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি জানাজানি হয় ২০২০ সালের শুরুতে। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের শেষ দিকে দেশ ছাড়েন পিকে হালদার। পলাতক অবস্থায় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, পিকে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজার ৭৯০ শতাংশ জমি কিনেছেন। এই সম্পদের বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী এই সম্পদের মূল্য ৯৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিজের নামে তিনি জমি কিনেছেন ৪ হাজার ১৭৪ শতাংশ। এর দাম দলিলে দেখানো হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩০ টাকা। অথচ এই সম্পদের বর্তমান মূল্য ২২৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে পিকের নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, পিকে হালদার তাঁর নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদারের নামে উত্তরায় একটি ভবন ক্রয় করেন, যার দাম ১২ কোটি টাকা। আর পূর্ণিমার ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রির নামে তেজগাঁও, তেজতুরী বাজার ও গ্রিনরোডে ১০৯ শতাংশ জমি কেনেন। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। প্রশান্ত তাঁর কাগুজে কোম্পানি ক্লিউইস্টোন ফুডসের নামে কক্সবাজারে ২ একর জমির ওপর আটতলা হোটেল (রেডিসন নামে পরিচিত) তৈরি করেছেন। যার আর্থিক মূল্য এখন ২৪০ কোটি টাকা। এ ছাড়া পিকের খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী এবং অনঙ্গ মোহন রায়ের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০৪ শতাংশ জমি কিনেছেন, এর দাম ১৬৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও কানাডীয় ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিকে হালদার ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তাঁর ভাই প্রীতিশ হালদারের কাছে ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৬৪ কানাডীয় ডলার পাচার করেন। বাংলাদেশি টাকায় তা দাঁড়ায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা।
মামলায় বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।
উল্লেখ্য পিকে হালদার বর্তমানে ভারতের একটি কারাগারে বন্দী আছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সংস্কৃতির নতুন রূপ হচ্ছে সিনেমা, যা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখে চলেছে। সিনেমার মাধ্যমে একটি জাতিকে উজ্জীবিত করা যায়। তাই ভালো সিনেমা বিনির্মাণের বিকল্প নেই।
৬ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কক্সবাজারগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহ আমানত সেতুর টোলবক্সের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে পড়ে। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
২৬ মিনিট আগেআহত শিক্ষার্থী সোহেলুল হক বলেন, “আমরা গিয়ে বলেছিলাম স্যার আমাদের জীবনটা বাঁচান স্যার। তিন বছরেও আপনি কিছু করতে পারেননি। আমরা এনওসি এনেছি। আপনি সাইন করে দেন। এনওসিতে লেখা ছিল, ‘আমরা যেহেতু ওদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে পারছি না। অন্য কোথাও পড়াশোনা করলে আমাদের আপত্তি নেই।’ এই এনওসিতে তিনি...
৩০ মিনিট আগেবরিশালের গৌরনদীতে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীতে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তাঁরাকূপি আরিফ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে