নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা)
রাজধানীর দক্ষিণখানে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে ঢাকা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড। এ ঘটনায় দুপুর থেকে বিকেলে পর্যন্ত আন্দোলন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহক ও কোম্পানির মাঠ কর্মীরা। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত থানায় অবস্থান করেছেন তারা।
দক্ষিণখানের গাওয়াইর মোড়ের আদম আলী মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ওই কোম্পানির সামনের সড়কে বুধবার দুপুর আড়াই থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করে ভুক্তভোগীরা। এ সময় প্রায় তিন শতাধিক ভুক্তভোগী গ্রাহক ও কোম্পানিটির কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
আন্দোলনকালে ভুক্তভোগীরা দক্ষিণখানের কসাইবাড়ী টু কাঁচকুড়া সড়কের গাওয়াইর মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনও করেন তারা। পরে দক্ষিণখান থানা-পুলিশ বিকেলে ভুক্তভোগীদের থানায় নিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে অফিস থেকে ম্যানেজার আবুল গাজী ও মার্কেটিং ম্যানেজার জয়নালকে আটক করে পুলিশ। বিকেলের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আন্দোলনরত ভুক্তভোগীদের থানায় অবস্থান করতে দেখা যায়।
তারা জানান, গত বৃহস্পতিবারের পর থেকে পালিয়ে যায় অফিসটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহমুদুল হাসান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আকাশ খন্দকার ও তাদের পার্টনার ঝর্ণা আক্তার পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মার্কেটিং ম্যানেজার শাহিনুর আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৯ হাজার টাকা বেতনে আমি ওই অফিসে যোগদান করি। যোগদানের পরই অফিসের লোকজন আমাদেরকে জানায়, সদস্য ভর্তি না করাতে না পারলে বেতন দেবে না। পরে পরিচিত লোকজনের কাছে গিয়ে বলতাম-এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২০ লাখ টাকা লোন দেয়। কিন্তু এক লাখ টাকার জন্য ২০ হাজার টাকা করে সঞ্চয় দিতে হবে। এভাবে প্রায় এক কোটি টাকা লোন দিয়েছে। পরে পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’
শাহিনুর আক্তার বলেন, মাঠে লোকজনের কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য একজন ট্রেনিং ম্যান রাখছিল। উনি যেভাবে শিখিয়ে দিত, আমরা সেই ভাবেই বলতাম।’
শাহিনুর বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার অফিস খোলা ছিল। কিন্তু এর পর থেকে তারা লাপাত্তা ছিল। যে বাসায় থাকত সেই বাসা ছেড়ে দিয়েছে। অফিস থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, খাতা, কাগজপত্র সবকিছু নিয়ে গেছে।’
ভুক্তভোগী সাকিব বলেন, ‘দুই লাখ টাকা লোনের জন্য ৩০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিয়েছি। গত ২০ তারিখে লোন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো দেয় নাই। সিঁড়ির কাজের কথা বলে অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। আমার ভাই রাজন ৫ লাখ টাকা লোনের জন্য ৬০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিয়েছে।’
আরেক ভুক্তভোগী তাসলিমা বলেন, ‘আমার স্বামী রিপন দুই লাখ টাকা লোনের জন্য ৩৩ হাজার টাকা দিয়েছে। দুই মাস থেকে আমাদেরকে ঘুরাচ্ছিল। সর্বশেষ গত ২৭ মে আমাদেরকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু না দিয়ে পালিয়ে গেছে।’
তাসলিমা আরও বলেন, ‘আমাদের বাসার পাশের আরিফ নামের আরেকজন ১ লাখ ১১ হাজার টাকা দিয়েছে। তারও আমাদের মত অবস্থা হয়েছে।’
ভুক্তভোগীরা জানান, মা-বউয়ের স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রেখে ৭০ হাজার টাকা নেন সোহেল। পরে ছয় লাখ টাকা লোনের জন্য এই কোম্পানিতে সঞ্চয় দিয়েছে। হার্টের রোগী শারমিন চিকিৎসা করানোর জন্য ১০ লাখ টাকা লোনের আশায় দুই লাখ টাকা জমা দিয়েছে।
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণের নামে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল হোতাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
রাজধানীর দক্ষিণখানে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে ঢাকা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড। এ ঘটনায় দুপুর থেকে বিকেলে পর্যন্ত আন্দোলন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহক ও কোম্পানির মাঠ কর্মীরা। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত থানায় অবস্থান করেছেন তারা।
দক্ষিণখানের গাওয়াইর মোড়ের আদম আলী মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ওই কোম্পানির সামনের সড়কে বুধবার দুপুর আড়াই থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করে ভুক্তভোগীরা। এ সময় প্রায় তিন শতাধিক ভুক্তভোগী গ্রাহক ও কোম্পানিটির কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
আন্দোলনকালে ভুক্তভোগীরা দক্ষিণখানের কসাইবাড়ী টু কাঁচকুড়া সড়কের গাওয়াইর মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনও করেন তারা। পরে দক্ষিণখান থানা-পুলিশ বিকেলে ভুক্তভোগীদের থানায় নিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে অফিস থেকে ম্যানেজার আবুল গাজী ও মার্কেটিং ম্যানেজার জয়নালকে আটক করে পুলিশ। বিকেলের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আন্দোলনরত ভুক্তভোগীদের থানায় অবস্থান করতে দেখা যায়।
তারা জানান, গত বৃহস্পতিবারের পর থেকে পালিয়ে যায় অফিসটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহমুদুল হাসান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আকাশ খন্দকার ও তাদের পার্টনার ঝর্ণা আক্তার পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মার্কেটিং ম্যানেজার শাহিনুর আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৯ হাজার টাকা বেতনে আমি ওই অফিসে যোগদান করি। যোগদানের পরই অফিসের লোকজন আমাদেরকে জানায়, সদস্য ভর্তি না করাতে না পারলে বেতন দেবে না। পরে পরিচিত লোকজনের কাছে গিয়ে বলতাম-এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২০ লাখ টাকা লোন দেয়। কিন্তু এক লাখ টাকার জন্য ২০ হাজার টাকা করে সঞ্চয় দিতে হবে। এভাবে প্রায় এক কোটি টাকা লোন দিয়েছে। পরে পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’
শাহিনুর আক্তার বলেন, মাঠে লোকজনের কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য একজন ট্রেনিং ম্যান রাখছিল। উনি যেভাবে শিখিয়ে দিত, আমরা সেই ভাবেই বলতাম।’
শাহিনুর বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার অফিস খোলা ছিল। কিন্তু এর পর থেকে তারা লাপাত্তা ছিল। যে বাসায় থাকত সেই বাসা ছেড়ে দিয়েছে। অফিস থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, খাতা, কাগজপত্র সবকিছু নিয়ে গেছে।’
ভুক্তভোগী সাকিব বলেন, ‘দুই লাখ টাকা লোনের জন্য ৩০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিয়েছি। গত ২০ তারিখে লোন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো দেয় নাই। সিঁড়ির কাজের কথা বলে অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। আমার ভাই রাজন ৫ লাখ টাকা লোনের জন্য ৬০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিয়েছে।’
আরেক ভুক্তভোগী তাসলিমা বলেন, ‘আমার স্বামী রিপন দুই লাখ টাকা লোনের জন্য ৩৩ হাজার টাকা দিয়েছে। দুই মাস থেকে আমাদেরকে ঘুরাচ্ছিল। সর্বশেষ গত ২৭ মে আমাদেরকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু না দিয়ে পালিয়ে গেছে।’
তাসলিমা আরও বলেন, ‘আমাদের বাসার পাশের আরিফ নামের আরেকজন ১ লাখ ১১ হাজার টাকা দিয়েছে। তারও আমাদের মত অবস্থা হয়েছে।’
ভুক্তভোগীরা জানান, মা-বউয়ের স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রেখে ৭০ হাজার টাকা নেন সোহেল। পরে ছয় লাখ টাকা লোনের জন্য এই কোম্পানিতে সঞ্চয় দিয়েছে। হার্টের রোগী শারমিন চিকিৎসা করানোর জন্য ১০ লাখ টাকা লোনের আশায় দুই লাখ টাকা জমা দিয়েছে।
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণের নামে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল হোতাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
১৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৩৭ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে