নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুলিশ হেফাজতে রানা নামে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফরমান আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন রানার স্ত্রী সোনিয়া বেগম।
বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং আগামী ১২ মে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি ফরমান আলী ছাড়া অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব, পুলিশের এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, মো. মিজানুর রহমান, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর, জোনাব আলী, মোবারক, পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ বাদীর স্বামী মো. রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যান। সেখানে তারা রানাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালান। এমনকি পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে দেন এবং বুকের মাঝে ও মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন।
ভিকটিমকে নির্যাতন করার সময় আসামি সবুজ বাদীকে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে মারধর ও কান্নার আওয়াজ শোনান এবং বলেন ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে মারধর বন্ধ হবে।
তখন বাদী বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, যা পারি জোগাড় করে নিয়ে আসছি। আপনারা আমার স্বামীকে বাঁচান।’
এরপর বাদী ২০ হাজার টাকা এনে সবুজের হাতে দেন। তখন বাদীকে এসআই মিজানুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বাদীকে গালিগালাজ করেন। এসময় বাদী কান্নাকাটি করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। বাদীকে পুলিশ পেটাতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে তার ছোট ছেলে রাতুল অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফেরানো হয়। পরে পুলিশ বাদীকে আদালতে গিয়ে রানার খোঁজ নিতে বলেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ মার্চ আদালতে যান বাদী। রানার সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানকার হাজতখানায় যান তিনি। সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ না পেয়ে বাসায় চলে আসেন বাদী।
এরপর ১৯ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) গিয়ে রানাকে দেখার জন্য টিকিট কাটেন। জেল কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানায়, রানা জেলে নেই। তখন বাদী চিন্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে আবার যাত্রাবাড়ী থানায় আসেন। থানা থেকে কোনো তথ্য না দেওয়ায় আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানান।
পরদিন ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে। সেখানে গিয়ে বাদী ভিকটিম রানাকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন।
পুলিশ হেফাজতে রানা নামে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফরমান আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন রানার স্ত্রী সোনিয়া বেগম।
বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং আগামী ১২ মে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি ফরমান আলী ছাড়া অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব, পুলিশের এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, মো. মিজানুর রহমান, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর, জোনাব আলী, মোবারক, পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ বাদীর স্বামী মো. রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যান। সেখানে তারা রানাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালান। এমনকি পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে দেন এবং বুকের মাঝে ও মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন।
ভিকটিমকে নির্যাতন করার সময় আসামি সবুজ বাদীকে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে মারধর ও কান্নার আওয়াজ শোনান এবং বলেন ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে মারধর বন্ধ হবে।
তখন বাদী বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, যা পারি জোগাড় করে নিয়ে আসছি। আপনারা আমার স্বামীকে বাঁচান।’
এরপর বাদী ২০ হাজার টাকা এনে সবুজের হাতে দেন। তখন বাদীকে এসআই মিজানুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বাদীকে গালিগালাজ করেন। এসময় বাদী কান্নাকাটি করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। বাদীকে পুলিশ পেটাতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে তার ছোট ছেলে রাতুল অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফেরানো হয়। পরে পুলিশ বাদীকে আদালতে গিয়ে রানার খোঁজ নিতে বলেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ মার্চ আদালতে যান বাদী। রানার সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানকার হাজতখানায় যান তিনি। সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ না পেয়ে বাসায় চলে আসেন বাদী।
এরপর ১৯ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) গিয়ে রানাকে দেখার জন্য টিকিট কাটেন। জেল কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানায়, রানা জেলে নেই। তখন বাদী চিন্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে আবার যাত্রাবাড়ী থানায় আসেন। থানা থেকে কোনো তথ্য না দেওয়ায় আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানান।
পরদিন ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে। সেখানে গিয়ে বাদী ভিকটিম রানাকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন।
‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
৬ ঘণ্টা আগেকেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু...
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর দক্ষিণখানে ওভারটাইমের টাকা কম দেওয়ায় ‘নিপা ফ্যাশন ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’ নামের একটি গার্মেন্টস ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় গার্মেন্টসটির ভেতরে থাকা ৫-৬টি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে