মান্দি ডি কস্তা, ঢাকা
রেলের টিকিটের কালোবাজারি দূর করতে জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা গেছে কমলাপুর রেল স্টেশনে।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেলের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রোভার স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবীরা যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা দিচ্ছেন। তবে যাঁরা রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে সহায়তা দিচ্ছেন, তাঁরা নিজেরাই বিষয়গুলো পুরোপুরি জানেন না।
স্টেশনে যাত্রীদের সহায়তা দিচ্ছিলেন কমলাপুর রেল স্টেশনের পয়েন্টস ম্যান কানিজ ফাতেমা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘একবার রেজিস্ট্রেশন করলে আবার করতে হবে কি না, তা তো জানি না।’ এদিকে যাদের এনআইডি কার্ড নেই, জন্মনিবন্ধন দিয়ে তাদের রেজিস্ট্রেশনের কথা থাকলেও তা করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১০ ডিজিটের বেশি তো নিচ্ছে না। হয়তো সার্ভারে কোনো সমস্যা হয়েছে।’
টিকিট কাটতে আসা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা বলছে এক সপ্তাহে দুবারের বেশি ভ্রমণ করা যাবে না। কিন্তু ব্যবসার কাজে তো বারবার যাতায়াত করতে হয়। তো ব্যবসায়ীদের জন্য এটা সমস্যা। এটা তো ভালো হলো না। আর আমার এনআইডি ইনভ্যালিড দেখাচ্ছে। অবশ্য ছেলেরটা হয়েছে। ওরটা দিয়ে কেটে যেতে হবে।’
তবে অনেক যাত্রী বলেছেন, এই নিয়মের কারণে যদি কালোবাজারি দূর হয়, তবে এইটুকু কষ্ট তারা মেনে নেবেন। নেত্রকোনায় যাওয়ার জন্য টিকিট পেয়ে মো. মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশনও হয়েছে, টিকিটও পেয়েছি। যদি এর মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হয়, তাহলে তো আমাদেরই সুবিধা।’
কানাডায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করা রোকেয়ার রহমান বাংলাদেশে বেড়াতে এসে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য কমলাপুরে এসেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘কানাডায়ও ট্রেনের টিকিট কাটতে কার্ড দেখাতে হয় এবং সেখানকার সিস্টেম তো খুবই সুন্দর। আমার বোন রেজিস্ট্রেশন শেষে টিকিট কাটতে লাইনে দাঁড়িয়েছে। একটি সুন্দর ও সহজ সিস্টেম থাকলে সবার জন্যই ভালো।’
তবে পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়াই নতুন পদ্ধতি চালু করায় অনেক যাত্রীই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রংপুরে যাওয়ার জন্য লাইনে টিকিট কাটতে দাঁড়িয়ে মো. রিয়াদ ঢালী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘পরিবারের তিন সদস্যের এনআইডি দিয়ে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কারোরই মেসেজের উত্তর আসেনি। তবে আমারটা এসেছে। এক এনআইডি দিয়ে চারটি টিকিট কাটা যাচ্ছে। সদস্য পাঁচজন হলে তো টিকিটই কাটা হতো না।’
এদিকে টিকিট কালেক্টররা জানান, ‘৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ ধাপে টিকিট পরীক্ষা করা হবে। স্টেশনে ঢোকার সময়, গাড়িতে থাকার সময় এবং গাড়ি থেকে নেমে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় টিকিট পরীক্ষা করে দেখা হবে।’
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব সিদ্ধান্ত তো আমরা নিই না। আমরা বাস্তবায়ন করি। নতুন পদ্ধতিতে যেসব সমস্যা হচ্ছে, তার আপটুডেট মন্ত্রণালয়সহ কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। বিদেশি নাগরিকেরা পাসপোর্ট-ভিসা দিয়েই টিকিট নিতে পারবেন। আর বাংলাদেশি যাঁরা ভারতে যেতে চান, তাঁরাও এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট সেগুলোর পরিবর্তন করা হবে কি না, সেটা মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষই বিবেচনা করবে।’
আর বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্ট্যান্ডিং থেকে শুরু করে সব ধরনের টিকিটের ক্ষেত্রেই এখন থেকে নতুন পদ্ধতিতে টিকিট নিতে হবে। টিকিট কাটতে রেজিস্ট্রেশন একবার করলেই হবে কি না, সেটা আমারও জানা নেই। তবে রেজিস্ট্রেশনের এই নতুন নিয়মের কারণে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হয়ে যাবে। কালোবাজারি বন্ধ করার জন্যই এটি করা হয়েছে।’
রেলের টিকিটের কালোবাজারি দূর করতে জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা গেছে কমলাপুর রেল স্টেশনে।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেলের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রোভার স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবীরা যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা দিচ্ছেন। তবে যাঁরা রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে সহায়তা দিচ্ছেন, তাঁরা নিজেরাই বিষয়গুলো পুরোপুরি জানেন না।
স্টেশনে যাত্রীদের সহায়তা দিচ্ছিলেন কমলাপুর রেল স্টেশনের পয়েন্টস ম্যান কানিজ ফাতেমা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘একবার রেজিস্ট্রেশন করলে আবার করতে হবে কি না, তা তো জানি না।’ এদিকে যাদের এনআইডি কার্ড নেই, জন্মনিবন্ধন দিয়ে তাদের রেজিস্ট্রেশনের কথা থাকলেও তা করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১০ ডিজিটের বেশি তো নিচ্ছে না। হয়তো সার্ভারে কোনো সমস্যা হয়েছে।’
টিকিট কাটতে আসা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা বলছে এক সপ্তাহে দুবারের বেশি ভ্রমণ করা যাবে না। কিন্তু ব্যবসার কাজে তো বারবার যাতায়াত করতে হয়। তো ব্যবসায়ীদের জন্য এটা সমস্যা। এটা তো ভালো হলো না। আর আমার এনআইডি ইনভ্যালিড দেখাচ্ছে। অবশ্য ছেলেরটা হয়েছে। ওরটা দিয়ে কেটে যেতে হবে।’
তবে অনেক যাত্রী বলেছেন, এই নিয়মের কারণে যদি কালোবাজারি দূর হয়, তবে এইটুকু কষ্ট তারা মেনে নেবেন। নেত্রকোনায় যাওয়ার জন্য টিকিট পেয়ে মো. মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশনও হয়েছে, টিকিটও পেয়েছি। যদি এর মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হয়, তাহলে তো আমাদেরই সুবিধা।’
কানাডায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করা রোকেয়ার রহমান বাংলাদেশে বেড়াতে এসে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য কমলাপুরে এসেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘কানাডায়ও ট্রেনের টিকিট কাটতে কার্ড দেখাতে হয় এবং সেখানকার সিস্টেম তো খুবই সুন্দর। আমার বোন রেজিস্ট্রেশন শেষে টিকিট কাটতে লাইনে দাঁড়িয়েছে। একটি সুন্দর ও সহজ সিস্টেম থাকলে সবার জন্যই ভালো।’
তবে পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়াই নতুন পদ্ধতি চালু করায় অনেক যাত্রীই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রংপুরে যাওয়ার জন্য লাইনে টিকিট কাটতে দাঁড়িয়ে মো. রিয়াদ ঢালী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘পরিবারের তিন সদস্যের এনআইডি দিয়ে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কারোরই মেসেজের উত্তর আসেনি। তবে আমারটা এসেছে। এক এনআইডি দিয়ে চারটি টিকিট কাটা যাচ্ছে। সদস্য পাঁচজন হলে তো টিকিটই কাটা হতো না।’
এদিকে টিকিট কালেক্টররা জানান, ‘৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ ধাপে টিকিট পরীক্ষা করা হবে। স্টেশনে ঢোকার সময়, গাড়িতে থাকার সময় এবং গাড়ি থেকে নেমে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় টিকিট পরীক্ষা করে দেখা হবে।’
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব সিদ্ধান্ত তো আমরা নিই না। আমরা বাস্তবায়ন করি। নতুন পদ্ধতিতে যেসব সমস্যা হচ্ছে, তার আপটুডেট মন্ত্রণালয়সহ কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। বিদেশি নাগরিকেরা পাসপোর্ট-ভিসা দিয়েই টিকিট নিতে পারবেন। আর বাংলাদেশি যাঁরা ভারতে যেতে চান, তাঁরাও এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট সেগুলোর পরিবর্তন করা হবে কি না, সেটা মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষই বিবেচনা করবে।’
আর বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্ট্যান্ডিং থেকে শুরু করে সব ধরনের টিকিটের ক্ষেত্রেই এখন থেকে নতুন পদ্ধতিতে টিকিট নিতে হবে। টিকিট কাটতে রেজিস্ট্রেশন একবার করলেই হবে কি না, সেটা আমারও জানা নেই। তবে রেজিস্ট্রেশনের এই নতুন নিয়মের কারণে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হয়ে যাবে। কালোবাজারি বন্ধ করার জন্যই এটি করা হয়েছে।’
পদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
২ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১০ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
১২ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
৩২ মিনিট আগে