স্ত্রীর পাশে শায়িত হলেন গাফ্ফার চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ মে ২০২২, ১৯: ৩১
Thumbnail image

কালজয়ী ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা, বরেণ্য সাংবাদিক, কলাম লেখক ও গীতিকার আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রী সেলিমা আফরোজ চৌধুরীর কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়। 

এর আগে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহবাহী বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ২০২ ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে থেকে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন। 

সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ১টা ১৫ মিনিটে তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ ছাড়া সেখানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁদের সামরিক সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, গণমাধ্যম কর্মীরাসহ সর্বস্তরের মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। 

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ৩টায় গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হয়। সেখানে ৩টা ২২ মিনিটে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ৩টা ৪০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিকেল ৪টা ৭ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবে গাফ্ফার চৌধুরীর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

জাতীয় প্রেসক্লাবে জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় তাঁর মরদেহ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকেল সাড়ে ৫টায় দাফন সম্পন্ন হয়। 

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়া গ্রামে। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। স্কুলে পড়ার সময় কংগ্রেস নেতা দুর্গা মোহন সেন সম্পাদিত কংগ্রেস হিতৈষী পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯ মে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত