সোহেল রানাকে ফেরানোর বিষয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ      

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ২০: ০০

বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায়ের বিষয়েও প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ স্বরাষ্ট্রসচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এই নির্দেশ।

রোববার আইজিপির দেওয়া প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা আছে। ১৬ জানুয়ারি পাওয়া তথ্য অনুসারে, ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে প্রেসিডেন্সি কারেকশনাল হোম আলীপুর আটক ছিলেন। তবে পত্রিকায় দেখেছি জামিন নিয়ে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে গেছেন। আইজিপিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে, সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য পেলে আদালতকে জানানো হবে। 

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম বলেন, সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপের বিষয়ে হলফনামা দিতে এবং ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন করা হয়নি। আদালত বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান কোনো প্রতিবেদন দেননি? আবদুল কাইয়ুম বলেন, না। আদালত বলেন, যে আদেশগুলো দেওয়া হয়, তার একটি উদ্দেশ্য আছে। এটি যদি কাগজে–কলমে থেকে যায়, তাহলে সুফল পাওয়া যাবে না। আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, স্বরাষ্ট্রসচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরবর্তী তারিখে না পেলে কনটেম্পট (আদালত অবমাননা) রুল ইস্যু করে দেব। 

এর আগে ই-অরেঞ্জ থেকে পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ গ্রাহকের পক্ষে ছয়জনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে প্রতিবেদন চান। এরপর গত বছরের ৩ নভেম্বর বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের দেওয়া প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই দিন প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে নতুন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত বছরের ৩ নভেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের প্রতারিত করে সোহেল রানাদের ব্যাংকিং লেনদেন ছিল ৬৭৫ কোটি টাকার ওপরে। তার মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয় দেখা গেছে ২৩৩ কোটি টাকার মতো। এই টাকার মধ্যে বেশির ভাগ টাকাই সোহেলের বোন মেহজাবিন, ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী নাজনীন নাহার বিথি বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে উত্তোলন করেছেন। এ বিষয়ে গ্রাহকদের ১১টি মামলার মধ্যে ৯ টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত