উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি
পুলিশ পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়। ডলার দেওয়ার নামে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ। ফ্লাইটে যেতে পারবে না বলে ভয় দেখিয়ে যাত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায়সহ নানা প্রতারণা করে আসছিলেন মো. জাবেদ হোসেন (৪৭)। বারবার জেল খাটার পরও থামেনি তার প্রতারণা। আবারও গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আজ বুধবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে প্রতারক চক্রের মূল হোতা জাবেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি প্রতারক চক্র ‘জাবেদ গ্যাং’ এর প্রধান। গ্যাংটির কাজই হল বিমানবন্দরে আগত যাত্রী ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা। গ্রেপ্তার হওয়া জাবেদ হোসেন গাজীপুর সদর উপজেলার তরত্পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘‘কখনো ডলার করে দেওয়ার কথা বলে যাত্রীর টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া, কৌশলে যাত্রীর পাসপোর্ট এবং ট্রাভেল ডকুমেন্টস নিয়ে পালিয়ে যাওয়া, যাত্রী ফ্লাইটে যেতে পারবেন না বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে যাত্রীর আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করা এবং পুলিশ পরিচয়ে হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন জাবেদ।
‘জাবেদকে এর আগেও বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে অন্তত চার বার গ্রেপ্তার করে এপিবিএন। বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটে এবং জামিন পেয়ে বের হয়েই সে একই ধরনের প্রতারণার সঙ্গে আবার যুক্ত হয়। এভাবেই নিজের নামে তিনি বিমানবন্দরে একটি প্রতারক চক্রও গড়ে তুলেছে সে। তার এই চক্রে ৫-৬ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। যাদের বিভিন্ন সময়ে বিমানবন্দর এপিবিএন গ্রেপ্তার করেছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, গত ৩ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরগামী যাত্রী মো. শফিকুল ইসলাম ফ্লাইট মিস করেছেন বলে তার আত্মীয়স্বজনকে ফোন করে জানান জাবেদ। সেই সঙ্গে যাত্রীকে নতুন করে টিকিট করে দিতে হবে বলে আত্মীয়স্বজনকে যাত্রীর কণ্ঠ নকল করে ফোনে কান্নাকাটি করেও শোনান তিনি।
জাবেদ শফিকুলের স্বজনদের জানান, যাত্রী শফিকুলকে সিঙ্গাপুরে পাঠাতে হলে ৬৮ হাজার টাকা দিয়ে নতুন করে সরাসরি ফ্লাইটের টিকিট করতে হবে। উপায়ন্তর না দেখে যাত্রীর আত্মীয়স্বজন বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে ৩৭ হাজার ৪৫০ এবং ২৮ হাজার ১০০ টাকা মোট ৬৫ হাজার ৫৫০ টাকা জাবেদকে পাঠান। এদিকে যাত্রী শফিকুল ইসলাম তখন সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইটে ফ্লাই করছেন। যার কারণে তার ফোন তখন বন্ধ ছিল। আর ফোন বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীর আত্মীয়স্বজনও কোনো প্রকার সন্দেহ না করে যাত্রীর ফ্লাইটের জন্য জাবেদের কথামত এই টাকা নগদ ও বিকাশ করেন।’
জিয়াউল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কাছে অভিযোগ করলে প্রতারক জাবেদকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় দণ্ডবিধি আইনে মামলা করা হয়। বিমানবন্দরে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেট জাবেদকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানাতেও একাধিক মামলা রয়েছে। যেসব মামলায় জামিন পেয়ে তিনি বের হয়ে আসেন এবং একই ধরনের প্রতারণা শুরু করেন।’
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জাবেদ জানিয়েছেন, ‘২০০৩ সালে জাবেদ বিমানবন্দরে চাকরি নেয়। তখন থেকেই দেখে আসছেন সহকর্মীরা প্রতারণা করে আসছেন। সেখান থেকেই কৌশল রপ্ত করেন তিনি। যার কারণে ২০১৭ সালে চাকরি চলে যায় তার।’
প্রতারণার কৌশল হিসাবে জাবেদ জানান, প্রথমে যাত্রীদের লাগেজে থাকা ফোন নম্বরের ছবি তুলতেন তিনি। পরে এক সাইডে গিয়ে যাত্রীকে ফোন দিয়ে বলতেন বিমানবন্দর অফিস থেকে বলছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, যাত্রীটি ভেতরে ঢুকছে কি না। কোনো সমস্যা হলে ফোন দিতে ও বাড়ির অভিভাবকের মোবাইল নম্বর নিয়ে নিতেন।
পরে দূরে গিয়ে যাত্রীর অভিভাবককে ফোন দিয়ে বলতেন, আপনার ওমুকের তো টিকিট হারিয়ে গেছে। পরে অভিভাবকেরা যাত্রীকে চাইলে জাবেদ ওই যাত্রীর কণ্ঠ নকল করে কথা বলতেন। এভাবেই যাত্রীর স্বজনদের থেকে টাকা নিতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জাবেদ আরও বলেন, ‘২০১৭ সালে বিমানবন্দর থেকে চাকরি চলে যাওয়ার পর দুই বছর জেলে ছিলাম। জেল থেকে আইস্যা প্রতারণা করি আবার জেলে যাই। এভাবেই চলছে।’
পুলিশ পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়। ডলার দেওয়ার নামে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ। ফ্লাইটে যেতে পারবে না বলে ভয় দেখিয়ে যাত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায়সহ নানা প্রতারণা করে আসছিলেন মো. জাবেদ হোসেন (৪৭)। বারবার জেল খাটার পরও থামেনি তার প্রতারণা। আবারও গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আজ বুধবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে প্রতারক চক্রের মূল হোতা জাবেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি প্রতারক চক্র ‘জাবেদ গ্যাং’ এর প্রধান। গ্যাংটির কাজই হল বিমানবন্দরে আগত যাত্রী ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা। গ্রেপ্তার হওয়া জাবেদ হোসেন গাজীপুর সদর উপজেলার তরত্পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘‘কখনো ডলার করে দেওয়ার কথা বলে যাত্রীর টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া, কৌশলে যাত্রীর পাসপোর্ট এবং ট্রাভেল ডকুমেন্টস নিয়ে পালিয়ে যাওয়া, যাত্রী ফ্লাইটে যেতে পারবেন না বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে যাত্রীর আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করা এবং পুলিশ পরিচয়ে হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন জাবেদ।
‘জাবেদকে এর আগেও বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে অন্তত চার বার গ্রেপ্তার করে এপিবিএন। বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটে এবং জামিন পেয়ে বের হয়েই সে একই ধরনের প্রতারণার সঙ্গে আবার যুক্ত হয়। এভাবেই নিজের নামে তিনি বিমানবন্দরে একটি প্রতারক চক্রও গড়ে তুলেছে সে। তার এই চক্রে ৫-৬ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। যাদের বিভিন্ন সময়ে বিমানবন্দর এপিবিএন গ্রেপ্তার করেছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, গত ৩ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরগামী যাত্রী মো. শফিকুল ইসলাম ফ্লাইট মিস করেছেন বলে তার আত্মীয়স্বজনকে ফোন করে জানান জাবেদ। সেই সঙ্গে যাত্রীকে নতুন করে টিকিট করে দিতে হবে বলে আত্মীয়স্বজনকে যাত্রীর কণ্ঠ নকল করে ফোনে কান্নাকাটি করেও শোনান তিনি।
জাবেদ শফিকুলের স্বজনদের জানান, যাত্রী শফিকুলকে সিঙ্গাপুরে পাঠাতে হলে ৬৮ হাজার টাকা দিয়ে নতুন করে সরাসরি ফ্লাইটের টিকিট করতে হবে। উপায়ন্তর না দেখে যাত্রীর আত্মীয়স্বজন বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে ৩৭ হাজার ৪৫০ এবং ২৮ হাজার ১০০ টাকা মোট ৬৫ হাজার ৫৫০ টাকা জাবেদকে পাঠান। এদিকে যাত্রী শফিকুল ইসলাম তখন সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইটে ফ্লাই করছেন। যার কারণে তার ফোন তখন বন্ধ ছিল। আর ফোন বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীর আত্মীয়স্বজনও কোনো প্রকার সন্দেহ না করে যাত্রীর ফ্লাইটের জন্য জাবেদের কথামত এই টাকা নগদ ও বিকাশ করেন।’
জিয়াউল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কাছে অভিযোগ করলে প্রতারক জাবেদকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় দণ্ডবিধি আইনে মামলা করা হয়। বিমানবন্দরে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেট জাবেদকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানাতেও একাধিক মামলা রয়েছে। যেসব মামলায় জামিন পেয়ে তিনি বের হয়ে আসেন এবং একই ধরনের প্রতারণা শুরু করেন।’
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জাবেদ জানিয়েছেন, ‘২০০৩ সালে জাবেদ বিমানবন্দরে চাকরি নেয়। তখন থেকেই দেখে আসছেন সহকর্মীরা প্রতারণা করে আসছেন। সেখান থেকেই কৌশল রপ্ত করেন তিনি। যার কারণে ২০১৭ সালে চাকরি চলে যায় তার।’
প্রতারণার কৌশল হিসাবে জাবেদ জানান, প্রথমে যাত্রীদের লাগেজে থাকা ফোন নম্বরের ছবি তুলতেন তিনি। পরে এক সাইডে গিয়ে যাত্রীকে ফোন দিয়ে বলতেন বিমানবন্দর অফিস থেকে বলছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, যাত্রীটি ভেতরে ঢুকছে কি না। কোনো সমস্যা হলে ফোন দিতে ও বাড়ির অভিভাবকের মোবাইল নম্বর নিয়ে নিতেন।
পরে দূরে গিয়ে যাত্রীর অভিভাবককে ফোন দিয়ে বলতেন, আপনার ওমুকের তো টিকিট হারিয়ে গেছে। পরে অভিভাবকেরা যাত্রীকে চাইলে জাবেদ ওই যাত্রীর কণ্ঠ নকল করে কথা বলতেন। এভাবেই যাত্রীর স্বজনদের থেকে টাকা নিতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জাবেদ আরও বলেন, ‘২০১৭ সালে বিমানবন্দর থেকে চাকরি চলে যাওয়ার পর দুই বছর জেলে ছিলাম। জেল থেকে আইস্যা প্রতারণা করি আবার জেলে যাই। এভাবেই চলছে।’
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার পাঁচজন আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহেদা আক্তার হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ মিনিট আগেনাটোর–পাবনা মহাসড়কের কদিমচিলান এলাকায় বনপাড়া থেকে রাজাপুরগামী ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানটিকে খুলনা থেকে নাটোরগামী ট্রাকে চাপা দেয়। এরপর ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
৪১ মিনিট আগেসিলেটে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিলাল আহমদ মুন্সী (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে সিলেট নগরের শাহপরান এলাকার বাহুবলে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন।
৪২ মিনিট আগেকক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭ বছরের তুলনায় গত দুই বছরে এই সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশ উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা।
১ ঘণ্টা আগে