নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সড়ক জুড়ে থমকে আছে সারি সারি গাড়ি। ঘড়ির কাটা ঘুরলেও ঘুরছে না গাড়ির চাকা। গাড়িগুলো একটু সামনে এগোলে আবার ট্রাফিক পুলিশের সিগন্যাল। চৈত্রের অস্বস্তিকর গরম আর তীব্র যানজটে এভাবেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ঢাকার নগর জীবন।
আজ বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ দিন সরেজমিনে রাজধানীর মালিবাগ, পল্টন, শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, কারওয়ান বাজার ও মহাখালীসহ প্রায় বেশির ভাগ এলাকায় এমন তীব্র যানজট দেখা গেছে।
শ্যামলীর বাসিন্দা সৌরভ আহমদ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। সৌরভ বলেন, ‘বাসা থেকে বাইকে অফিসে যাতায়াত করতে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট লাগে। কিন্তু আজকে (বৃহস্পতিবার) আগারগাঁও, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, বনানীতে ধাপে ধাপে পড়তে হয়েছে জ্যামে। এতে অফিসে পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় দুই ঘণ্টা।’
গুলিস্থানের ফুলবাড়িয়া থেকে শাহবাগ ফার্মগেট হয়ে উত্তরা আবদুল্লাহপুর রুটে চলাচল করে এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিবহন। বাসটির সুপার ভাইজার আব্দুল মুন্নাফের সঙ্গে কথা হয় বাংলামোটর মোড়ে। তিনি বলেন, ‘যাত্রা শুরুর পর মৎসভবন ও শাহবাগে দীর্ঘ সময় জ্যামে পড়তে হয়েছে। এখনো গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। সামনেতো আরও মহা জ্যাম অপেক্ষা করছে।’
হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্টের বাসিন্দা হৃদয় হাসান মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে কাজ করেন। হৃদয় বলেন, ‘যানজট এড়াতে কিছু দূর হেঁটে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে এসে বাসে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম ফ্লাইওভারে উঠলে আর জ্যামে পড়ব না। কিন্তু ফ্লাইওভারে ওঠেও দীর্ঘ জ্যামের মুখে পড়তে হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টাওয়ারে লিফট ম্যানের কাজ করেন ইমন মাহমুদ। মিরপুর ১৪’ তে থাকেন তিনি। তিনি জানান, বাসা থেকে দুই ঘণ্টা আগে বের হয়েও অনেক দিন সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেননি। তাই আজ তিনি বাসা থেকে বেশি সময় হাতে নিয়ে বের হয়েছেন।
মোহাম্মদপুরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন রাবেয়া আক্তার। প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় ভালোভাবে ইফতারের আয়োজন করতে পারেন না বলে জানান তিনি। রাবেয়া জানান, এমনিতেই পাঁচ বছর ধরে এই জ্যাম ঠেলে সেই রাজারবাজার থেকে যাতায়াত করি স্কুলে। এই রমজান মাসে যেন আর সহ্যই হচ্ছে না। বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে ইফতারের আয়োজন শেষ না হতেই সময় শেষ হয়ে যায়।
কারওয়ান বাজার মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ রাজিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকার অন্য এলাকার চেয়ে কারওয়ান বাজার এলাকার হিসেব ভিন্ন। রমজান শুরু হওয়ার পর কারওয়ান বাজার এলাকায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। এখানে কাঁচাবাজার, মাছবাজার, অফিস পাড়া, বেশ কিছু স্কুল রয়েছে। রমজানে প্রায় সারা দিনই জ্যাম থাকে কারওয়ান বাজার মোড়ে, সকাল আটটা থেকে জ্যাম শুরু হয়ে শেষ হয় ইফতারের পর।’
সড়ক জুড়ে থমকে আছে সারি সারি গাড়ি। ঘড়ির কাটা ঘুরলেও ঘুরছে না গাড়ির চাকা। গাড়িগুলো একটু সামনে এগোলে আবার ট্রাফিক পুলিশের সিগন্যাল। চৈত্রের অস্বস্তিকর গরম আর তীব্র যানজটে এভাবেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ঢাকার নগর জীবন।
আজ বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ দিন সরেজমিনে রাজধানীর মালিবাগ, পল্টন, শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, কারওয়ান বাজার ও মহাখালীসহ প্রায় বেশির ভাগ এলাকায় এমন তীব্র যানজট দেখা গেছে।
শ্যামলীর বাসিন্দা সৌরভ আহমদ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। সৌরভ বলেন, ‘বাসা থেকে বাইকে অফিসে যাতায়াত করতে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট লাগে। কিন্তু আজকে (বৃহস্পতিবার) আগারগাঁও, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, বনানীতে ধাপে ধাপে পড়তে হয়েছে জ্যামে। এতে অফিসে পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় দুই ঘণ্টা।’
গুলিস্থানের ফুলবাড়িয়া থেকে শাহবাগ ফার্মগেট হয়ে উত্তরা আবদুল্লাহপুর রুটে চলাচল করে এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিবহন। বাসটির সুপার ভাইজার আব্দুল মুন্নাফের সঙ্গে কথা হয় বাংলামোটর মোড়ে। তিনি বলেন, ‘যাত্রা শুরুর পর মৎসভবন ও শাহবাগে দীর্ঘ সময় জ্যামে পড়তে হয়েছে। এখনো গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। সামনেতো আরও মহা জ্যাম অপেক্ষা করছে।’
হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্টের বাসিন্দা হৃদয় হাসান মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে কাজ করেন। হৃদয় বলেন, ‘যানজট এড়াতে কিছু দূর হেঁটে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে এসে বাসে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম ফ্লাইওভারে উঠলে আর জ্যামে পড়ব না। কিন্তু ফ্লাইওভারে ওঠেও দীর্ঘ জ্যামের মুখে পড়তে হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টাওয়ারে লিফট ম্যানের কাজ করেন ইমন মাহমুদ। মিরপুর ১৪’ তে থাকেন তিনি। তিনি জানান, বাসা থেকে দুই ঘণ্টা আগে বের হয়েও অনেক দিন সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেননি। তাই আজ তিনি বাসা থেকে বেশি সময় হাতে নিয়ে বের হয়েছেন।
মোহাম্মদপুরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন রাবেয়া আক্তার। প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় ভালোভাবে ইফতারের আয়োজন করতে পারেন না বলে জানান তিনি। রাবেয়া জানান, এমনিতেই পাঁচ বছর ধরে এই জ্যাম ঠেলে সেই রাজারবাজার থেকে যাতায়াত করি স্কুলে। এই রমজান মাসে যেন আর সহ্যই হচ্ছে না। বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে ইফতারের আয়োজন শেষ না হতেই সময় শেষ হয়ে যায়।
কারওয়ান বাজার মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ রাজিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকার অন্য এলাকার চেয়ে কারওয়ান বাজার এলাকার হিসেব ভিন্ন। রমজান শুরু হওয়ার পর কারওয়ান বাজার এলাকায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। এখানে কাঁচাবাজার, মাছবাজার, অফিস পাড়া, বেশ কিছু স্কুল রয়েছে। রমজানে প্রায় সারা দিনই জ্যাম থাকে কারওয়ান বাজার মোড়ে, সকাল আটটা থেকে জ্যাম শুরু হয়ে শেষ হয় ইফতারের পর।’
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৪০ মিনিট আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে