অরিত্রী আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার রায় ঘোষণা হলো না, ফের তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৪, ১৭: ১১

রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার রায় দেওয়া হয়নি। ফের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ১২ তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুন আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনার ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

এর আগে, পাঁচবার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আজ রায় ঘোষণার ষষ্ঠবারের মতো তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু আদালত রায় ঘোষণা না করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ফের তদন্তের নির্দেশ দেন। 

ফের তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রায় শোনার জন্য আমি আদালতে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আদালত রায় ঘোষণা না করে পিবিআইকে ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি হতবাক। কি কারণে ফের নির্দেশ দেওয়া হলো তা আমি জানি না।’ 

দিলীপ অধিকারী আরও বলেন, ‘আট মাস রায়ের অপেক্ষায় থেকে এখন আবার তদন্ত। এটা মানসিক যন্ত্রণা। পরিবারের কাউকে মেয়ের প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে, তার বিচার করে সন্তুষ্ট করা গেল না। এখন কত দিন অপেক্ষা করতে হবে তা সৃষ্টিকর্তা জানেন।’

গত ২১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। এরপর তারিখ ধার্য করা হয় ৩ মার্চ। সেদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ৯ এপ্রিল তারিখ ধার্য করা হয়। ওই দিন রায় ঘোষণা না করে ৩ জুন তারিখ ধার্য করা হয়। ৩ জুন বিচারক ছুটিতে থাকায় রায়ের তারিখ আবার পরিবর্তন হয়। 

এর আগে গত বছর ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। মামলার দুই আসামি হলেন শিক্ষক নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার। 

২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন। 

মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে তাঁকে অনেক অপমান করে। এ অপমান ও পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। 

২০১৯ সালের ২০ মার্চ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। 

২০১৯ সালের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত